কর্নেল আকবরের পর এতো বড় দলীয় ঐক্য আর হয়নি
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা-৬( সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য টানা দুইবারের সাবেক সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু ভোটের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিয়ামক। দুই মনিরুলের ভোটে উজ্জীবিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। সঙ্গে আছেন বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন বীরপ্রতীকের পর সদর আসনে বিএনপিতে এতো বড় দলীয় ঐক্য আর হয়নি। মনিরুল হক চৌধুরীর মতো উচ্চশিক্ষিত হেভিওয়েট ব্যক্তিকে কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী করায় দলের সবাই এককাট্টা হয়েছেন। এ অবস্থায় সদর আসনে বিএনপি অনায়াসে জিতবে। এর বাইরে মনিরুল হক চৌধুরী ভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী, সুশীল সমাজের ভোট পাবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তপশিল হতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-৬ ( সদর) আসনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন প্রার্থী হন। পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পাঁচবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের ২৫ জুন সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেন বীরপ্রতীক মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর ইয়াছিন কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় রাজনীতি শুরু করেন। ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি বন্ধ হওয়া নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ও নির্বাচনী সভা করেন। তখন ইয়াছিন মনোনয়ন পাননি।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন ছিল আদর্শ সদর উপজেলা , কুমিল্লা পৌরসভা ও ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা নিয়ে। ওই নির্বাচনে ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পান। এতে ইয়াছিন ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফেল করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ( আদর্শ সদর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) নিয়ে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনেও ইয়াছিন ফেল করেন। এবার সদর দক্ষিণ উপজেলাকে কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় যুক্ত করা হয়। এ অবস্থায় বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী সদর আসনে ভোট করার ঘোষণা দেন। গত ৩ নভেম্বর মনিরুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পান। এরপর তিনি পুরো নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। তাঁর পক্ষে ২-৩ জন ছাড়া দলের সব নেতাকর্মী মাঠে নেমেছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দলের হাইকমান্ডকে বলেছি মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিতে। মনির ভাইয়ের নিজস্ব ভোট আছে। আমার নিজস্ব ভোট আছে। দুই ভাইয়ের ভোটের ওপরে আছে দলের ভোট। মার্কা ধানের শীষ। দলের সব নেতারা এক লাইনে এসেছেন, কাজ শুরু করেছেন মনিরুল হক চৌধুরীর জন্য। এতো বড় নেতা এসেছেন আকবর ভাইয়ের পর। ইনশাল্লাহ ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী জিতবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল হক চৌধুরী বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসন থেকে ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এমপি নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে কুমিল্লা-১০ আসনে নির্বাচন করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর মামলার আসামি। এই মামলায় তিনি জেল খাটেন।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কুমিল্লাবাসীর কাছে আমি একবার সুযোগ চাই। কুমিল্লার জন্য শেষ জীবনে আরও কাজ করতে চাই। এই আসনে কাজ করতে চাই। ইতিমধ্যে সদর আসনে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমার রাজনীতির বয়স ৫০ বছরের ওপরে। আমি আদি কুমিল্লার সন্তান। সিটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার বাপ দাদার আমল থেকে। আমার কর্মীরা ভোটের ব্যাপারে সোচ্চার। আমি কোতোয়ালির সন্তান।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন,‘আমি আদি বিএনপি। আমি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। যুবদলের সভাপতি ছিলাম। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ছিলাম। ওরা আমারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিল। এটা আমি কোনকালেই মানি না, বলিও না। বলতেও চাই না। এখন আমি দলে নেই। কুমিল্লার জনগণকে একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা ও এক ব্যক্তির শালার হাত থেকে রক্ষার করার জন্য মাঠে নেমেছি। আমি কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পরে মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের টানা দুইবার মেয়র ছিলাম। প্রথমবার বার ৩৪৩ ভোটে আমাকে ফেল দেখানো হয়। তখন শালা দুলাভাই আমার বিরুদ্ধে ছিল। এরপরের বার শালা দুলাভাই মিলে আমারে আবার ফেল করায়। দুইজনে ভোট করে আমার থেকে কম ভোট পেয়েছে। কারা তলে তলে এমপি বাহারের লগে যোগাযোগ করে আমাকে হারিয়েছে, আমি জানি। প্রমাণও আছে। আমি কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়ন করতে এমপির লগে ভাঁজ দিয়া চলছি। কাম করছি। আগামী নির্বাচনে এমপি নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল। মনির ভাই মনোনয়ন পাওয়ায় এখন আর নির্বাচন করব না। ইয়াছিন পাইলে নির্বাচন করতাম। আমরা বিএনপির সবাই একজোট। সবাই তো আমরা একলগে আছি।

কুমিল্লা-৬( সদর) আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সদস্য টানা দুইবারের সাবেক সিটি মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু ভোটের ক্ষেত্রে বড় ধরনের নিয়ামক। দুই মনিরুলের ভোটে উজ্জীবিত বিএনপির নেতাকর্মীরা। সঙ্গে আছেন বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মী।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি, সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন বীরপ্রতীকের পর সদর আসনে বিএনপিতে এতো বড় দলীয় ঐক্য আর হয়নি। মনিরুল হক চৌধুরীর মতো উচ্চশিক্ষিত হেভিওয়েট ব্যক্তিকে কুমিল্লার গুরুত্বপূর্ণ আসনে প্রার্থী করায় দলের সবাই এককাট্টা হয়েছেন। এ অবস্থায় সদর আসনে বিএনপি অনায়াসে জিতবে। এর বাইরে মনিরুল হক চৌধুরী ভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী, সুশীল সমাজের ভোট পাবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তপশিল হতে পারে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা-৬ ( সদর) আসনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৯ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন প্রার্থী হন। পাঁচটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তিনি পাঁচবারই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের ২৫ জুন সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত আকবর হোসেন বীরপ্রতীক মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর ইয়াছিন কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় রাজনীতি শুরু করেন। ২০০৭ সালের ৩১ জানুয়ারি বন্ধ হওয়া নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন ও নির্বাচনী সভা করেন। তখন ইয়াছিন মনোনয়ন পাননি।
পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কুমিল্লা-৬ আসন ছিল আদর্শ সদর উপজেলা , কুমিল্লা পৌরসভা ও ময়নামতি সেনানিবাস এলাকা নিয়ে। ওই নির্বাচনে ইয়াছিন দলীয় মনোনয়ন পান। এতে ইয়াছিন ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে ফেল করেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ( আদর্শ সদর, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, সেনানিবাস এলাকা) নিয়ে নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনেও ইয়াছিন ফেল করেন। এবার সদর দক্ষিণ উপজেলাকে কুমিল্লা-৬ নির্বাচনী এলাকায় যুক্ত করা হয়। এ অবস্থায় বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী সদর আসনে ভোট করার ঘোষণা দেন। গত ৩ নভেম্বর মনিরুল হক চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পান। এরপর তিনি পুরো নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা শুরু করেন। তাঁর পক্ষে ২-৩ জন ছাড়া দলের সব নেতাকর্মী মাঠে নেমেছেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু বলেন, দলের হাইকমান্ডকে বলেছি মনিরুল হক চৌধুরীকে মনোনয়ন দিতে। মনির ভাইয়ের নিজস্ব ভোট আছে। আমার নিজস্ব ভোট আছে। দুই ভাইয়ের ভোটের ওপরে আছে দলের ভোট। মার্কা ধানের শীষ। দলের সব নেতারা এক লাইনে এসেছেন, কাজ শুরু করেছেন মনিরুল হক চৌধুরীর জন্য। এতো বড় নেতা এসেছেন আকবর ভাইয়ের পর। ইনশাল্লাহ ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী জিতবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনিরুল হক চৌধুরী বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ আসন থেকে ১৯৮৮, ১৯৯১ ও ২০০১ সালে এমপি নির্বাচন করে জয়ী হন। তিনি বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে থেকে কুমিল্লা-১০ আসনে নির্বাচন করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানোর মামলার আসামি। এই মামলায় তিনি জেল খাটেন।
জানতে চাইলে বিএনপির প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, ‘কুমিল্লাবাসীর কাছে আমি একবার সুযোগ চাই। কুমিল্লার জন্য শেষ জীবনে আরও কাজ করতে চাই। এই আসনে কাজ করতে চাই। ইতিমধ্যে সদর আসনে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আমার রাজনীতির বয়স ৫০ বছরের ওপরে। আমি আদি কুমিল্লার সন্তান। সিটির ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার বাপ দাদার আমল থেকে। আমার কর্মীরা ভোটের ব্যাপারে সোচ্চার। আমি কোতোয়ালির সন্তান।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু আরও বলেন,‘আমি আদি বিএনপি। আমি বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। যুবদলের সভাপতি ছিলাম। কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ছিলাম। ওরা আমারে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বানিয়েছিল। এটা আমি কোনকালেই মানি না, বলিও না। বলতেও চাই না। এখন আমি দলে নেই। কুমিল্লার জনগণকে একনায়কতন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা ও এক ব্যক্তির শালার হাত থেকে রক্ষার করার জন্য মাঠে নেমেছি। আমি কুমিল্লা পৌরসভার চেয়ারম্যান ও পরে মেয়র ছিলাম। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের টানা দুইবার মেয়র ছিলাম। প্রথমবার বার ৩৪৩ ভোটে আমাকে ফেল দেখানো হয়। তখন শালা দুলাভাই আমার বিরুদ্ধে ছিল। এরপরের বার শালা দুলাভাই মিলে আমারে আবার ফেল করায়। দুইজনে ভোট করে আমার থেকে কম ভোট পেয়েছে। কারা তলে তলে এমপি বাহারের লগে যোগাযোগ করে আমাকে হারিয়েছে, আমি জানি। প্রমাণও আছে। আমি কুমিল্লা নগরবাসীর উন্নয়ন করতে এমপির লগে ভাঁজ দিয়া চলছি। কাম করছি। আগামী নির্বাচনে এমপি নির্বাচন করার ইচ্ছা ছিল। মনির ভাই মনোনয়ন পাওয়ায় এখন আর নির্বাচন করব না। ইয়াছিন পাইলে নির্বাচন করতাম। আমরা বিএনপির সবাই একজোট। সবাই তো আমরা একলগে আছি।