নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লায় রান্না ঘরে ঢুকে গৃহবধূ শানু বেগম (৫০) কে গলা কেটে হত্যা দায়ে প্রতিবেশী মো. দেলোয়ার হোসেন নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন হলেন কুমিল্লার সদর উপজেলার কালীরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণা কালে আসামি দেলোয়ার হোসেন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে গোয়াল ঘরের জায়গার সীমানা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ভোরবেলা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের শানু বেগমের সঙ্গে (৫০) আগ থেকেই বিরোধ ছিল। ওইদিন তেলের পিঠা বানানোর সময় প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন রান্না ঘরে প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দা দিয়ে শানু বেগমের গলার কন্ঠনালী কেটে কুপিয়ে হত্যা করে ঘর থেকে পালিয়ে যান। তখন প্রত্যক্ষদর্শী রেহেনা ও জুবায়েরের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় এবং ভিকটিম শানু বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর শানু বেগমের স্বামী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার হাতিগাড়া গ্রামের প্রয়াত বসত আলীর ছেলে মো. ফরিদ (৬০) বাদী হয়ে প্রতিবেশী প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৬) কে একমাত্র আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার তদন্ত করেন। আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ১৯ মে দণ্ডবিধির আইনের ৩০২ ধারার বিধানমতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে এলে আসামি দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী বলেন- আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে, আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ ক্ষুদ্ধ। আসামিপক্ষ রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
কুমিল্লায় রান্না ঘরে ঢুকে গৃহবধূ শানু বেগম (৫০) কে গলা কেটে হত্যা দায়ে প্রতিবেশী মো. দেলোয়ার হোসেন নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার একটি আদালত। আজ রোববার কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত একমাত্র আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন হলেন কুমিল্লার সদর উপজেলার কালীরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণা কালে আসামি দেলোয়ার হোসেন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে গোয়াল ঘরের জায়গার সীমানা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর ভোরবেলা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কালিরবাজার ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের শানু বেগমের সঙ্গে (৫০) আগ থেকেই বিরোধ ছিল। ওইদিন তেলের পিঠা বানানোর সময় প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেন রান্না ঘরে প্রবেশ করার কারণ জানতে চাইলে দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে বটি দা দিয়ে শানু বেগমের গলার কন্ঠনালী কেটে কুপিয়ে হত্যা করে ঘর থেকে পালিয়ে যান। তখন প্রত্যক্ষদর্শী রেহেনা ও জুবায়েরের শোর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয় এবং ভিকটিম শানু বেগমকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৫ নভেম্বর শানু বেগমের স্বামী কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার হাতিগাড়া গ্রামের প্রয়াত বসত আলীর ছেলে মো. ফরিদ (৬০) বাদী হয়ে প্রতিবেশী প্রয়াত আব্দুর রহমানের ছেলে মো. দেলোয়ার হোসেন (৩৬) কে একমাত্র আসামি করে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল ঘটনার তদন্ত করেন। আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ১৯ মে দণ্ডবিধির আইনের ৩০২ ধারার বিধানমতে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে এলে আসামি দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় চার্জগঠনক্রমে রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পরে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পর্যালোচনাক্রমে আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ ইউসুফ আলী বলেন- আমরা আশা করছি উচ্চ আদালত এ রায় বহাল রেখে দ্রুত বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে, আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ সালাউদ্দিন। তিনি বলেন- এ রায়ে আসামিপক্ষ ক্ষুদ্ধ। আসামিপক্ষ রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।