কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণার তিন বছর পাঁচ মাস পূর্ণ হলো আজ। দীর্ঘ সময়েও সম্মেলন করতে পারেনি আহবায়ক কমিটি। শেষ করতে পারেনি উপজেলা ও পৌর বিএনপির সব সম্মেলন। কোন কোন উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিও হয়নি। এ অবস্থায় আহবায়ক কমিটিতেই আটকে আছে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।
তবে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন পাওয়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা সম্মেলন করার পর জেলা সম্মেলন করেছে। কুমিল্লা মহানগর বিএনপিও সম্মেলন করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ মে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি হয়। এতে তিতাসের মো. আক্তারুজ্জামান সরকারকে আহবায়ক ও দেবীদ্বারের এ এফ এম তারেক মুন্সীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা উত্তর জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার বাড়ি। কমিটি নিয়ে তাঁদেরও একটা প্রভাব আছে। চাপ আছে। সময়ক্ষেপন ছিল। দেবীদ্বারে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সীর মধ্যে দুরত্ব আছে। আছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতা। তাঁদের দ্বন্দ্বে দেবীদ্বার উপজেলা ও পৌরসভা সম্মেলন হচ্ছে না। কায়কোবাদ দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন। তিনি এখনও ইউনিয়ন সম্মেলন করতে পারেননি। যে কারণে মুরাদনগর উপজেলা সম্মেলন হয়নি। দাউদকান্দি উপজেলা ও দাউদকান্দি পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন হয়নি।
সম্মেলন হয়েছে হোমনা উপজেলা, হোমনা পৌরসভা, মেঘনা উপজেলা, চান্দিনা উপজেলা , চান্দিনা পৌরসভা ও তিতাস উপজেলা। সম্মেলন হয়নি মুরাদনগর, দেবীদ্বার উপজেলা ও দেবীদ্বার পৌরসভা, দাউদকান্দি উপজেলা ও দাউদকান্দি পৌরসভার।
কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আহবায়ক কমিটিতে কুমিল্লা-৪ আসনের(দেবীদ্বার) সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী এবং তঁর ছেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজবিউল আহসান মুন্সীকে রাখা হয়নি। তবে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর স্ত্রী বেগম মাজেদা আহসান মুন্সীকে রাখা হয়। এরপর থেকে দেবীদ্বারের মুন্সী পরিবারের দ্বন্দ্ব।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী আওয়ামী পরিবারের লোক। এএফএম তারেক মুন্সী সাবেক উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রয়াত এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছোট ভাই । কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল হলেন তারেক মুন্সীর ভাতিজা। দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তারেক মুন্সীর ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সরাসরি মাঠে কাজ করেছিলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। ওই কারণে দেবীদ্বারের বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ তারেক মুন্সীর বিরুদ্ধে।
তবে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি। দলের সদস্য সচিব। সম্মেলন হবে। কিছু উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আছে পৌরসভা সম্মেলনও।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন,‘ আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বাধা ছিল। দলের বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল। সদস্য সংগ্রহ অভিযান ছিল। ৩১ দফার প্রচারণা ছিল। ওই কারণে যথাসময়ে সম্মেলন হয়নি। এখন অবশিষ্ট উপজেলা ও পৌরসভা সম্মেলন করে জেলার সম্মেলন করব।’
এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সীকে সভাপতি এবং মো. আক্তারুজ্জামান সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটি ভেঙে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছিল। এই আহবায়ক কমিটিও উত্তরের রাজনীতি জমাতে পারেনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লার ১১ টি আসনের মধ্যে উত্তরের দুইটি আসনে বিএনপি জয়ী হয়। এগুলো হল কুমিল্লা -২ আসনে এম কে আনোয়ার ও কুমিল্লা-৩ আসনে কায়কোবাদ।

কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণার তিন বছর পাঁচ মাস পূর্ণ হলো আজ। দীর্ঘ সময়েও সম্মেলন করতে পারেনি আহবায়ক কমিটি। শেষ করতে পারেনি উপজেলা ও পৌর বিএনপির সব সম্মেলন। কোন কোন উপজেলায় ইউনিয়ন বিএনপির কমিটিও হয়নি। এ অবস্থায় আহবায়ক কমিটিতেই আটকে আছে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি।
তবে চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি অনুমোদন পাওয়া কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, উপজেলা সম্মেলন করার পর জেলা সম্মেলন করেছে। কুমিল্লা মহানগর বিএনপিও সম্মেলন করেছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ মে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির ৪১ সদস্যবিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি হয়। এতে তিতাসের মো. আক্তারুজ্জামান সরকারকে আহবায়ক ও দেবীদ্বারের এ এফ এম তারেক মুন্সীকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা উত্তর জেলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার বাড়ি। কমিটি নিয়ে তাঁদেরও একটা প্রভাব আছে। চাপ আছে। সময়ক্ষেপন ছিল। দেবীদ্বারে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এ এফ এম তারেক মুন্সীর মধ্যে দুরত্ব আছে। আছে নেতৃত্বের দ্বন্দ্ব ও প্রতিযোগিতা। তাঁদের দ্বন্দ্বে দেবীদ্বার উপজেলা ও পৌরসভা সম্মেলন হচ্ছে না। কায়কোবাদ দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরেছেন। তিনি এখনও ইউনিয়ন সম্মেলন করতে পারেননি। যে কারণে মুরাদনগর উপজেলা সম্মেলন হয়নি। দাউদকান্দি উপজেলা ও দাউদকান্দি পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন হয়নি।
সম্মেলন হয়েছে হোমনা উপজেলা, হোমনা পৌরসভা, মেঘনা উপজেলা, চান্দিনা উপজেলা , চান্দিনা পৌরসভা ও তিতাস উপজেলা। সম্মেলন হয়নি মুরাদনগর, দেবীদ্বার উপজেলা ও দেবীদ্বার পৌরসভা, দাউদকান্দি উপজেলা ও দাউদকান্দি পৌরসভার।
কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত আহবায়ক কমিটিতে কুমিল্লা-৪ আসনের(দেবীদ্বার) সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সী এবং তঁর ছেলে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার রিজবিউল আহসান মুন্সীকে রাখা হয়নি। তবে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর স্ত্রী বেগম মাজেদা আহসান মুন্সীকে রাখা হয়। এরপর থেকে দেবীদ্বারের মুন্সী পরিবারের দ্বন্দ্ব।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী আওয়ামী পরিবারের লোক। এএফএম তারেক মুন্সী সাবেক উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রয়াত এএফএম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছোট ভাই । কুমিল্লা-৪ দেবীদ্বার নির্বাচনী এলাকার আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল হলেন তারেক মুন্সীর ভাতিজা। দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে তারেক মুন্সীর ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে সরাসরি মাঠে কাজ করেছিলেন রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। ওই কারণে দেবীদ্বারের বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুদ্ধ তারেক মুন্সীর বিরুদ্ধে।
তবে এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, আমি বিএনপির রাজনীতি করি। দলের সদস্য সচিব। সম্মেলন হবে। কিছু উপজেলা সম্মেলন বাকি আছে। আছে পৌরসভা সম্মেলনও।
কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন,‘ আহবায়ক কমিটি হওয়ার পর আওয়ামী লীগের বাধা ছিল। দলের বিভিন্ন কর্মসূচি ছিল। সদস্য সংগ্রহ অভিযান ছিল। ৩১ দফার প্রচারণা ছিল। ওই কারণে যথাসময়ে সম্মেলন হয়নি। এখন অবশিষ্ট উপজেলা ও পৌরসভা সম্মেলন করে জেলার সম্মেলন করব।’
এর আগে ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মূন্সীকে সভাপতি এবং মো. আক্তারুজ্জামান সরকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কমিটি ভেঙে আহবায়ক কমিটি করা হয়েছিল। এই আহবায়ক কমিটিও উত্তরের রাজনীতি জমাতে পারেনি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লার ১১ টি আসনের মধ্যে উত্তরের দুইটি আসনে বিএনপি জয়ী হয়। এগুলো হল কুমিল্লা -২ আসনে এম কে আনোয়ার ও কুমিল্লা-৩ আসনে কায়কোবাদ।