কুমিল্লায় বেসরকারি শিক্ষকদের কর্মবিরতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

সারাদেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লায়ও কর্মবিরতি পালন করেছেন এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষক-কর্মচারীরা। মূল বেতনভুক্ত বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ও উৎসব ভাতা বৃদ্ধিসহ পাঁচ দফা দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে কুমিল্লা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে প্রতিষ্ঠানের মাঠে বা বারান্দায় ব্যানার হাতে অবস্থান করছেন। কুমিল্লা মডার্ন হাই স্কুল, কুমিল্লা পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা হাই স্কুলসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে কোনো পাঠদান হয়নি।

জেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলনায় তারা অনেক কম সুবিধা পাচ্ছেন। তাদের দাবি, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ হারে প্রদান করতে হবে। সেই সঙ্গে অবসর ও কল্যাণ ট্রাস্টে অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের প্রক্রিয়া বাতিল করারও দাবি জানানো হয়।

কুমিল্লা মডার্ন হাইস্কুলে গিয়ে দেখা যায় পাঠদান বাদ দিয়ে মাঠে ও বারান্দায় শিক্ষকরা বসে আছেন। অনেকে শিক্ষক মিলনায়তনে বসে আছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলের শিক্ষক ১৪০ জন। তার মধ্যে এমপিও শিক্ষক আছেন ৪৮জন। আন্দোলনের কারণে ক্লাস ছেড়ে বসে আছেন তারা।

মডার্ন হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুসরাত জাহান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে আমাদের শিক্ষকরা এই আন্দোলনে আছে। আমরা ঢাকায় শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় মর্মাহত। তাদের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে একমত। তবে আমি শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি, যেন নির্বাচনের ভোটার তালিকার কাজটুকু শেষ করেন। যেহেতু নির্বাচন খুব নিকটে।

শিক্ষক-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এর মধ্যে যদি দাবি আদায়ে কোনো আশ্বাস না পাওয়া যায়, তবে ১৬ অক্টোবর থেকে তারা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে যাবেন এবং ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করবেন। এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এই আন্দোলনের ফলে কুমিল্লাসহ সারাদেশে শিক্ষা কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।

কুমিল্লা হাই স্কুলের অভিভাবক আবদুল আলীম বলেন, শিক্ষকদের এমন আন্দোলনে শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। শিক্ষার্থীরা স্কুল বিমুখ হচ্ছেন। আমরা চাই সরকার দ্রুত সমস্যার সমাধান করে শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফেরাক।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত