• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> ব্রাহ্মণপাড়া

৪শ বছর আগের দিঘীরপাড় জামে মসজিদ

কুমিল্লার যে মসজিদে নয়জন নামাজ পড়তেন

মোহাম্মদ শরীফ
প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৪১
logo

কুমিল্লার যে মসজিদে নয়জন নামাজ পড়তেন

মোহাম্মদ শরীফ

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১১: ৪১
Photo

দিঘীরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রায় ৪০০ বছর আগে মুঘল স্থাপত্যের আদলে নির্মিত হয় মসজিদটি। ইয়েমেন দেশ থেকে আশা তিনজন ইসলাম ধর্মের প্রচারক এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মূল মসজিদটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে নানা কারুকার্য। এটি নির্মাণে কেবল চুন-সুরকির ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে শুরুতে কেবল নয়জন ব্যক্তি নামাজ আদায় করতেন। তবে এর ধারণ ক্ষমতা তখন ছিল ২৭ জনের। পুরনো মসজিদের স্থাপত্য ঠিক রেখে ২০০৬ সালে মসজিদটির পূর্বপাশ ধরে এর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সংস্কারের পর এটি দুই গম্বুজ ও চার মিনার বিশিষ্ট করা হয়েছে। এখানে দুই শতাধিক মানুষ এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্ব পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর। এর পাশে নির্মাণ করা নান্দনিক ঘাট। এটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। কথিত আছে, মসজিদের সামনের বিশাল দিঘির নামেই এই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।

মসজিদের খাদেম মাওলানা রুকুন উদ্দিন বলেন, শেখ রহিম, শেখ সুমন, শেখ মঙ্গল নামে তিনজন ইসলাম ধর্মের প্রচারক ইয়েমেন দেশ থেকে এখানে আসেন। তারা এই অঞ্চলে ইসলামের প্রচার করেন। এই ধর্ম প্রচারকগণ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের পাশে বর্তমানে ভূঁইয়া বাড়িতে তারা বসতি স্থাপন করেন। এটি যখন নির্মাণ করা হয় আশেপাশের গ্রামগুলোতে মসজিদ ছিল না। জনবসতিও ছিল অনেক কম। তাই ২৭ জন মানুষের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও নামাজ পড়তেন নয়জন মানুষ।

প্রজাপতি বাজার হতে লাড়ুচৌ গ্রামের পথ ধরে কিছু পথ হাঁটলেই দিঘীরপাড় গ্রাম। সড়কের পশ্চিম পাশে দীঘিরপাড় খেলার মাঠ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। বয়ে চলা খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হলেই চোখে পড়বে নান্দনিক এই মসজিদটি। নানান গাছের ছায়ায় গ্রামীণ পরিবেশে মসজিদটি অবস্থিত। দেবীদ্বার উপজেলার মুগসাইর গ্রাম থেকে মাসুক মিয়া, আদিল আহনাফ রবি ও পশ্চিম পোমকাড়া গ্রাম থেকে আনোয়ার পারভেজ নিলয় মসজিদটি দেখতে এসেছেন। তারা জানান, গ্রামীণ পরিবেশে এত সুন্দর একটি মসজিদ দেখে ভালো লাগছে। এর নির্মাণশৈলী একেবারে আলাদা। মসজিদে নামাজ আদায় করে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। পুকুর ও ঘাট মসজিদের সৌন্দর্যকে পূর্ণতা দিয়েছে। এটি নির্মাণের ইতিহাস জেনে অবাক হয়েছি। এমন প্রত্যন্ত গ্রামে ইসলাম ধর্মের প্রচারকগণ সুদূর ইয়েমেন দেশ থেকে এসেছেন।

ইয়েমেন থেকে আসা ধর্ম প্রচারকগণের বংশদ্ভূত ও প্রজাপতি উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মো. ইউনুস ভূঁইয়া বলেন, মূল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে চুন-সুরকি দিয়ে। এর দেয়ালের পুরত্ব ৪৩ ইঞ্চি। মূল মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট হলেও দুই গম্বুজ বিশিষ্ট হয়েছে। যারা মসজিদটি নির্মাণ করেছেন তাদের বংশধরেরা এখনো এই গ্রামে আছেন। এখানে দর্শনার্থীরা মসজিদটি দেখতে নানা জায়গা থেকে আসেন।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি আবদুস ছাত্তার বলেন, ষোড়শ শতাব্দীতে ইয়েমেন থেকে আসা আপন তিন ভাই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি একটি সুবিশাল পুকুর খনন করেন। এখানে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমার নামাজ আদায় করা হয়। এটি গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদ। দুই শতাধিক মানুষ মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

Thumbnail image

দিঘীরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। প্রায় ৪০০ বছর আগে মুঘল স্থাপত্যের আদলে নির্মিত হয় মসজিদটি। ইয়েমেন দেশ থেকে আশা তিনজন ইসলাম ধর্মের প্রচারক এই মসজিদটি নির্মাণ করেন। এক গম্বুজ বিশিষ্ট মূল মসজিদটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে নানা কারুকার্য। এটি নির্মাণে কেবল চুন-সুরকির ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদটিতে শুরুতে কেবল নয়জন ব্যক্তি নামাজ আদায় করতেন। তবে এর ধারণ ক্ষমতা তখন ছিল ২৭ জনের। পুরনো মসজিদের স্থাপত্য ঠিক রেখে ২০০৬ সালে মসজিদটির পূর্বপাশ ধরে এর ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সংস্কারের পর এটি দুই গম্বুজ ও চার মিনার বিশিষ্ট করা হয়েছে। এখানে দুই শতাধিক মানুষ এক সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের পূর্ব পাশে রয়েছে বিশাল পুকুর। এর পাশে নির্মাণ করা নান্দনিক ঘাট। এটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অসংখ্য মানুষ ছুটে আসেন।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দিঘীরপাড় গ্রামে মসজিদটি অবস্থিত। কথিত আছে, মসজিদের সামনের বিশাল দিঘির নামেই এই গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।

মসজিদের খাদেম মাওলানা রুকুন উদ্দিন বলেন, শেখ রহিম, শেখ সুমন, শেখ মঙ্গল নামে তিনজন ইসলাম ধর্মের প্রচারক ইয়েমেন দেশ থেকে এখানে আসেন। তারা এই অঞ্চলে ইসলামের প্রচার করেন। এই ধর্ম প্রচারকগণ মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদের পাশে বর্তমানে ভূঁইয়া বাড়িতে তারা বসতি স্থাপন করেন। এটি যখন নির্মাণ করা হয় আশেপাশের গ্রামগুলোতে মসজিদ ছিল না। জনবসতিও ছিল অনেক কম। তাই ২৭ জন মানুষের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও নামাজ পড়তেন নয়জন মানুষ।

প্রজাপতি বাজার হতে লাড়ুচৌ গ্রামের পথ ধরে কিছু পথ হাঁটলেই দিঘীরপাড় গ্রাম। সড়কের পশ্চিম পাশে দীঘিরপাড় খেলার মাঠ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। বয়ে চলা খালের ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো পার হলেই চোখে পড়বে নান্দনিক এই মসজিদটি। নানান গাছের ছায়ায় গ্রামীণ পরিবেশে মসজিদটি অবস্থিত। দেবীদ্বার উপজেলার মুগসাইর গ্রাম থেকে মাসুক মিয়া, আদিল আহনাফ রবি ও পশ্চিম পোমকাড়া গ্রাম থেকে আনোয়ার পারভেজ নিলয় মসজিদটি দেখতে এসেছেন। তারা জানান, গ্রামীণ পরিবেশে এত সুন্দর একটি মসজিদ দেখে ভালো লাগছে। এর নির্মাণশৈলী একেবারে আলাদা। মসজিদে নামাজ আদায় করে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। পুকুর ও ঘাট মসজিদের সৌন্দর্যকে পূর্ণতা দিয়েছে। এটি নির্মাণের ইতিহাস জেনে অবাক হয়েছি। এমন প্রত্যন্ত গ্রামে ইসলাম ধর্মের প্রচারকগণ সুদূর ইয়েমেন দেশ থেকে এসেছেন।

ইয়েমেন থেকে আসা ধর্ম প্রচারকগণের বংশদ্ভূত ও প্রজাপতি উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক মো. ইউনুস ভূঁইয়া বলেন, মূল মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে চুন-সুরকি দিয়ে। এর দেয়ালের পুরত্ব ৪৩ ইঞ্চি। মূল মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট হলেও দুই গম্বুজ বিশিষ্ট হয়েছে। যারা মসজিদটি নির্মাণ করেছেন তাদের বংশধরেরা এখনো এই গ্রামে আছেন। এখানে দর্শনার্থীরা মসজিদটি দেখতে নানা জায়গা থেকে আসেন।

মসজিদের ইমাম মাওলানা মুফতি আবদুস ছাত্তার বলেন, ষোড়শ শতাব্দীতে ইয়েমেন থেকে আসা আপন তিন ভাই মসজিদটি নির্মাণ করেন। মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি একটি সুবিশাল পুকুর খনন করেন। এখানে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত ও জুমার নামাজ আদায় করা হয়। এটি গ্রামের কেন্দ্রীয় মসজিদ। দুই শতাধিক মানুষ মসজিদটিতে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

চৌদ্দগ্রামে অভিমানে মাদরাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

২

চান্দিনায় প্রেমিক যুগলের অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ, দারোয়ানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

৩

গ্রাম আদালতে সম্পর্কে জনগণকে জানাতে সোয়া লাখ লিফলেট ছাপা হয়েছে

৪

ভরাসার বাজারে যুবদল নেতার নেতৃত্বে জায়গা দখল করতে গিয়ে বিএনপিনেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

৫

হোমনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে অভিমানে মাদরাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

চৌদ্দগ্রামে অভিমানে মাদরাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

২ ঘণ্টা আগে
চান্দিনায় প্রেমিক যুগলের অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ, দারোয়ানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

চান্দিনায় প্রেমিক যুগলের অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ, দারোয়ানকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

২ ঘণ্টা আগে
গ্রাম আদালতে সম্পর্কে জনগণকে জানাতে সোয়া লাখ লিফলেট ছাপা হয়েছে

গ্রাম আদালতে সম্পর্কে জনগণকে জানাতে সোয়া লাখ লিফলেট ছাপা হয়েছে

৩ ঘণ্টা আগে
ভরাসার বাজারে যুবদল নেতার নেতৃত্বে জায়গা দখল করতে গিয়ে বিএনপিনেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

ভরাসার বাজারে যুবদল নেতার নেতৃত্বে জায়গা দখল করতে গিয়ে বিএনপিনেতাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে