বাধা দিতে গেলে হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক
ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ফুলকুড়ি চাইল্ড একাডেমি স্কুলের মাঠের মাঝখান দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষকসহ অন্তত চারজন শিক্ষক আহত হন। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০-৬০ জন ব্যক্তি স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ, সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেন, ফরহাদ হোসেন ও মাসুদ পারভেজ রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আহত শিক্ষকরা বর্তমানে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, স্কুলটি আমার নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় শিশুদের জন্য একটি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছি। এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য রাস্তা নিয়ে আমার আপত্তি নেই, তবে সেটা স্কুলের মাঠের মাঝখান দিয়ে করা কখনোই নিরাপদ নয়। এখানে শিশুদের পাঠদান ও খেলাধুলা হয়। এমন জায়গায় রাস্তা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
তিনি আরও বলেন, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বাধা দিই। কোনো উপায় না দেখে ৯৯৯ নম্বরে কল করি। পুলিশ উপস্থিত হলেও তাদের সামনেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পরে স্কুলেও ভাঙচুর চালানো হয়।
পরে তিনি ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—নাজমুল হাসান (২৪), আরিফুল ইসলাম হৃদয় (২২), নয়ন মিয়া (১৯), এনামুল হক (৩০), দুলাল মিয়া (৪৫), সিয়াম (১৯), ফরিদ আহাম্মেদ (৫০), জাকির হোসেন (৪৫), আবু তাহের (৫৮), সফিকুল ইসলাম (৫০), মোস্তফা (৪৫), হাসান (৪৫), দুলাল হোসেন (৪৩), হোরণ মিয়া (৪০), শাহ আলম (৪০) ও রুবেল (৩৫)।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ বলেন, জমিটি মামুন স্যারের ঠিক আছে। তবে এলাকাবাসী বহুদিন ধরে এই পথ দিয়ে চলাচল করছে। আমরা অনেকবার বৈঠকের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি কখনো উপস্থিত হননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরা কাজ শুরু করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া বলেন, বুধবার মধ্যরাতে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশের একটি টহল টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ঘটনার পরের দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ফুলকুড়ি চাইল্ড একাডেমি স্কুলের মাঠের মাঝখান দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষকসহ অন্তত চারজন শিক্ষক আহত হন। গত বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫০-৬০ জন ব্যক্তি স্কুল প্রাঙ্গণে ঢুকে মাঠের মাঝখান দিয়ে রাস্তা নির্মাণ শুরু করে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রধান শিক্ষক মো. মামুনুর রশিদ, সহকারী শিক্ষক ইমাম হোসেন, ফরহাদ হোসেন ও মাসুদ পারভেজ রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। আহত শিক্ষকরা বর্তমানে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, স্কুলটি আমার নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে প্রতিষ্ঠিত। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় শিশুদের জন্য একটি মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছি। এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য রাস্তা নিয়ে আমার আপত্তি নেই, তবে সেটা স্কুলের মাঠের মাঝখান দিয়ে করা কখনোই নিরাপদ নয়। এখানে শিশুদের পাঠদান ও খেলাধুলা হয়। এমন জায়গায় রাস্তা হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যায়।
তিনি আরও বলেন, রাত ১২টার দিকে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই এবং বাধা দিই। কোনো উপায় না দেখে ৯৯৯ নম্বরে কল করি। পুলিশ উপস্থিত হলেও তাদের সামনেই আমাদের ওপর হামলা চালানো হয় এবং পরে স্কুলেও ভাঙচুর চালানো হয়।
পরে তিনি ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—নাজমুল হাসান (২৪), আরিফুল ইসলাম হৃদয় (২২), নয়ন মিয়া (১৯), এনামুল হক (৩০), দুলাল মিয়া (৪৫), সিয়াম (১৯), ফরিদ আহাম্মেদ (৫০), জাকির হোসেন (৪৫), আবু তাহের (৫৮), সফিকুল ইসলাম (৫০), মোস্তফা (৪৫), হাসান (৪৫), দুলাল হোসেন (৪৩), হোরণ মিয়া (৪০), শাহ আলম (৪০) ও রুবেল (৩৫)।
অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ বলেন, জমিটি মামুন স্যারের ঠিক আছে। তবে এলাকাবাসী বহুদিন ধরে এই পথ দিয়ে চলাচল করছে। আমরা অনেকবার বৈঠকের চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি কখনো উপস্থিত হননি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরা কাজ শুরু করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়ুয়া বলেন, বুধবার মধ্যরাতে ৯৯৯ এ কল পেয়ে পুলিশের একটি টহল টিম নিয়ে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ঘটনার পরের দিন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।