বুড়িচংয়ে দুই লাখ টাকায় প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ০৭ জুলাই ২০২৫, ১০: ৪০
Thumbnail image

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে প্রবাসীর স্ত্রীকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে হত্যার পর মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় সেপটিক ট্যাংকে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক এতথ্য জানান।

এর আগে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে নিখোঁজের ৫ দিন পর বাড়ির পাশের সেফটি ট্যাংক থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহটি উদ্ধার করেন বুড়িচং থানা পুলিশ।

নিহত গৃহবধুর নাম ফেরদৌসী বেগম (৫২), সে বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মোহাম্মদ শামসুল আলমের স্ত্রী। নিহত ফেরদৌসী বেগম চার সন্তানের জননী ছিলেন।

ঘটনাটি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ আজিজুল হক। ওসি জানান, গত ২৭ জুন শুক্রবার গৃহবধূ ফেরদৌসী বেগম নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পর থেকেই পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজিসহ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে ২শ গজ দূরে একটি নির্জন বাগানের সেপটিক ট্যাংকে বস্তাবন্দি লাশের সন্ধান পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বুড়িচং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেফটি ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, গত ২৭ জুন ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পর তার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেওয়া হয়। নিখোঁজ হওয়ার পাঁচদিন পর স্থানীয়রা ফেরদৌসী বেগমের মরদেহ পান। পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল হক বলেন, দক্ষিণ গ্রামের ফেরদৌসী বেগম ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী নুরজাহান বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিরোধ মীমাংসা না হওয়ায় নুরজাহান বেগম ফেরদৌসী বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তিনি মাদকাসক্ত আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে দুই লাখ টাকার চুক্তি করেন।”

তিনি আরো জানান, আনোয়ার হোসেনের সহযোগী হিসেবে ছিলেন মমতাজ উদ্দিনের ছেলে রুবেল আহমেদ মিন্টু ও খোরশেদ আলমের ছেলে মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু। তারা সবাই একযোগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত।”

তিনি জানায়, নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান ২৯ জুন বুড়িচং থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মায়ের নিখোঁজের অভিযোগে। এরপর স্থানীয়রা ১ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে ২০০ গজ দূরে নির্জন বাগানের ভেতরে থাকা সেপটিক ট্যাংক থেকে বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে নিহতের কানের দুল ও গলার চেইন জব্দ করে। পরে তাদের কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।”

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত