বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বরকত উল্লাহ বুলু
বুড়িচং প্রতিনিধি
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া 'নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার মা-বোনদের বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপক ভূমিকা। বেগম খালেদা জিয়া নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। গ্রাম বাংলার মা-বোনদের যে বিবর্তন সংস্কৃতির যে বিবর্তন তার একমাত্র কারণ খালেদা জিয়া। ৯১ সালে তিনি ক্ষমতায় এসে মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তখন অনেকে আমাকে বলেছিলেন 'মেয়েদের ফ্রী লেখাপড়া হচ্ছে; ছেলেদের কি হবে'? তখন আমি খালেদা জিয়াকে বিষয়টি বললাম, এর উত্তরে তিনি বললেন- 'আজকে যেসব মেয়েরা লেখাপড়া করছে তারাই একদিন মা হবেন। যে পরিবারে মা শিক্ষিত সেই পরিবারের সন্তান শিক্ষিত হয়।' তার এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত- মা বোনদের বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
আজ রোববার সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই সম্মেলন হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন।
সম্মেলনে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে। সেই অভ্যুত্থানের পর চাইলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা ক্ষমতা নেয়নি। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনী। ৯১ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
বুলু বলেন, শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন । কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশাল বহাল না রেখে কেউ কোন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার কথা বলেন। এরপরেই আব্দুল মালেক উকিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনরায় গঠন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চান।
আওয়ামী লীগ- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুদানের প্রাপ্ত আওয়ামী লীগ। সেদিন যদি মালিক উকিলের আবেদনে জিয়াউর রহমান সাড়া না দিতেন তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না।
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয় উল্লেখ করে বুলু বলেন, দেশি-বিদেশি অনেক শক্তিই বিএনপি'র বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে সারা বিশ্বের অনেক ঈগল পাখির চোখ বাংলাদেশে। সেই চোখ উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য বিএনপির বিকল্প নেই। আমরা উগ্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশে তাদের ভোট চাওয়ার অধিকার নাই রাজনীতি করার অধিকার নাই।
নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এমন কোন আচরণ করবেন না, যে আচরণের কারণে বিএনপিকে নিয়ে কথা উঠে, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা উঠে, তারেক রহমানকে নিয়ে কথা উঠে। আর কেউ যদি এমন আচরণ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন হাইব্রিড যেন বিএনপিতে স্থান না পায় সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
প্রধান বক্তা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সংগাঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া।
সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মিজানুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মো. কবির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. কামাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মো.হুমায়ূন কবির বাবুল।
আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হ মো. জসিম উদ্দিন ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ভিপি, যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ জামাল হোসেন খন্দকার,
আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজলা সভাপতি এডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম ।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া 'নোবেল পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। তিনি বলেন, গ্রাম বাংলার মা-বোনদের বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাপক ভূমিকা। বেগম খালেদা জিয়া নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য। গ্রাম বাংলার মা-বোনদের যে বিবর্তন সংস্কৃতির যে বিবর্তন তার একমাত্র কারণ খালেদা জিয়া। ৯১ সালে তিনি ক্ষমতায় এসে মেয়েদের বিনা বেতনে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করেছেন। উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তখন অনেকে আমাকে বলেছিলেন 'মেয়েদের ফ্রী লেখাপড়া হচ্ছে; ছেলেদের কি হবে'? তখন আমি খালেদা জিয়াকে বিষয়টি বললাম, এর উত্তরে তিনি বললেন- 'আজকে যেসব মেয়েরা লেখাপড়া করছে তারাই একদিন মা হবেন। যে পরিবারে মা শিক্ষিত সেই পরিবারের সন্তান শিক্ষিত হয়।' তার এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত- মা বোনদের বিবর্তন ও সাংস্কৃতিক বিবর্তনে অন্যতম অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
আজ রোববার সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুড়িচং আনন্দ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই সম্মেলন হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এবং কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সাবেক সংসদ সদস্য জাকারিয়া তাহের সুমন।
সম্মেলনে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বের কারণেই সম্ভব হয়েছে। সেই অভ্যুত্থানের পর চাইলে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নিয়ে যেতে পারত। কিন্তু তারা ক্ষমতা নেয়নি। কারণ আমাদের সেনাবাহিনী দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, মুক্তিযুদ্ধের সেনাবাহিনী। ৯১ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে। যে নির্বাচনে বেগম খালেদা জিয়া প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
বুলু বলেন, শেখ মুজিব বাকশাল গঠন করে সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন । কিন্তু পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বাকশাল বহাল না রেখে কেউ কোন নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করতে চাইলে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার কথা বলেন। এরপরেই আব্দুল মালেক উকিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কাছে আওয়ামী লীগকে পুনরায় গঠন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি চান।
আওয়ামী লীগ- শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অনুদানের প্রাপ্ত আওয়ামী লীগ। সেদিন যদি মালিক উকিলের আবেদনে জিয়াউর রহমান সাড়া না দিতেন তাহলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকত না।
আগামী নির্বাচন বিএনপির জন্য সহজ নয় উল্লেখ করে বুলু বলেন, দেশি-বিদেশি অনেক শক্তিই বিএনপি'র বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। ভূ-রাজনৈতিক কারণে সারা বিশ্বের অনেক ঈগল পাখির চোখ বাংলাদেশে। সেই চোখ উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য বিএনপির বিকল্প নেই। আমরা উগ্র রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। যারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না, যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণাকে বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশে তাদের ভোট চাওয়ার অধিকার নাই রাজনীতি করার অধিকার নাই।
নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা এমন কোন আচরণ করবেন না, যে আচরণের কারণে বিএনপিকে নিয়ে কথা উঠে, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কথা উঠে, তারেক রহমানকে নিয়ে কথা উঠে। আর কেউ যদি এমন আচরণ করেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন হাইব্রিড যেন বিএনপিতে স্থান না পায় সে বিষয়ে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
প্রধান বক্তা জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সংগাঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) মোস্তাক মিয়া।
সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মিজানুর রহমান এবং পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মো. কবির হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. কামাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক মো.হুমায়ূন কবির বাবুল।
আরও বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক হ মো. জসিম উদ্দিন ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারী আবু, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম ভিপি, যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য এডভোকেট সাবেরা আলাউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য মোঃ জামাল হোসেন খন্দকার,
আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক উপজলা সভাপতি এডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম ।