চান্দিনা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চান্দিনায় পরিকল্পিতভাবে মারধর ও দড়ি পেচিয়ে ছাবিনা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আবুল খায়ের কে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাত ৮ টায় উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ছাবিনা আক্তার মহিচাইল ইউনিয়নের হারালদার গ্রামের ময়নাল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর গ্রামের আবুল খায়ের এর স্ত্রী । ছাবিনার সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ সোমবার নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন চান্দিনা থানায় স্বামী আবুল খায়ের ও তার বোন শিউলী আক্তার এবং ভাগিনা রুবেলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে ছাবিনাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন সৃষ্টি হয়। পরে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, হত্যার পর মরদেহ দ্রুত সরানোর চেষ্টা চলছিল এবং প্রথমে তা বাথরুমে রেখে গোপন করার চেষ্টা করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে— স্বামী আবুল খায়েরের পাশাপাশি তার বোন শিউলি আক্তার ও ভাগিনা রুবেলও নিয়মিত ছাবিনাকে নির্যাতন করত। তারা একই বাড়িতে থাকত এবং বিভিন্ন অজুহাতে ছাবিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করত। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, এ বিষয়ে বহুবার স্বামী আবুল খায়েরকে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি; বরং নির্যাতনের মাত্রা সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে।
নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের ওপর অত্যাচার চলে আসছিল। বহুবার আলাপ-আলোচনা করেও কোনও সুরাহা হয়নি। রবিবার রাতেও ছাবিনার সঙ্গে যোগাযোগ না পেয়ে সন্দেহ হয়। স্বামী খায়ের রাতে কল করে বলে ছাবিনা মারা গেছে। তারা বাড়িতে গিয়ে তাকে বাথরুমে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
ঘটনার খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে ঘটনার পর হোসেনপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি—ছাবিনার ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালানো হলেও কেউ পদক্ষেপ নেয়নি, শেষ পর্যন্ত তা হত্যায় পরিণত হয়েছে। দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । স্বামী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।

কুমিল্লার চান্দিনায় পরিকল্পিতভাবে মারধর ও দড়ি পেচিয়ে ছাবিনা আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হত্যার পর মরদেহ ঘরের বাথরুমে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের। এ ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী আবুল খায়ের কে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার রাত ৮ টায় উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নিহত ছাবিনা আক্তার মহিচাইল ইউনিয়নের হারালদার গ্রামের ময়নাল হোসেনের মেয়ে ও হোসেনপুর গ্রামের আবুল খায়ের এর স্ত্রী । ছাবিনার সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন উদ্বিগ্ন পরিবার ও স্থানীয়রা।
আজ সোমবার নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন চান্দিনা থানায় স্বামী আবুল খায়ের ও তার বোন শিউলী আক্তার এবং ভাগিনা রুবেলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
পরিবার ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার রাত ৮টার দিকে ছাবিনাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন সৃষ্টি হয়। পরে প্লাস্টিকের দড়ি দিয়ে গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, হত্যার পর মরদেহ দ্রুত সরানোর চেষ্টা চলছিল এবং প্রথমে তা বাথরুমে রেখে গোপন করার চেষ্টা করা হয়।
এজাহারে আরও উল্লেখ রয়েছে— স্বামী আবুল খায়েরের পাশাপাশি তার বোন শিউলি আক্তার ও ভাগিনা রুবেলও নিয়মিত ছাবিনাকে নির্যাতন করত। তারা একই বাড়িতে থাকত এবং বিভিন্ন অজুহাতে ছাবিনার ওপর শারীরিক ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করত। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, এ বিষয়ে বহুবার স্বামী আবুল খায়েরকে জানালেও কোনো সমাধান হয়নি; বরং নির্যাতনের মাত্রা সময়ের সঙ্গে আরও বেড়েছে।
নিহতের বাবা ময়নাল হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই মেয়ের ওপর অত্যাচার চলে আসছিল। বহুবার আলাপ-আলোচনা করেও কোনও সুরাহা হয়নি। রবিবার রাতেও ছাবিনার সঙ্গে যোগাযোগ না পেয়ে সন্দেহ হয়। স্বামী খায়ের রাতে কল করে বলে ছাবিনা মারা গেছে। তারা বাড়িতে গিয়ে তাকে বাথরুমে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
ঘটনার খবর পেয়ে চান্দিনা থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে ঘটনার পর হোসেনপুর গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবি—ছাবিনার ওপর দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন চালানো হলেও কেউ পদক্ষেপ নেয়নি, শেষ পর্যন্ত তা হত্যায় পরিণত হয়েছে। দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে । স্বামী আবুল খায়েরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্য দুই আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।