চান্দিনা মিনি স্টেডিয়াম
চান্দিনা প্রতিনিধি

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ক্রীড়াপ্রেমীদের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র ছিল চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। ১১০ বছরের পুরাতন বিশাল ওই খেলার মাঠটিতে বিকেল হলেই স্থানীয় ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের ভীড় জমতো। বছরের কয়েকটি টুর্ণামেন্টও অনুষ্ঠিত হতো এই মাঠে। বর্তমানে ওই মাঠটি সংস্কারের অভাবে প্রায় পাঁচ বছরেও বেশি দিন যাবৎ খেলাধুলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৬ সালে চান্দিনা উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয় চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের ১০০ গজের মধ্যে প্রায় আড়াই একর জমিতে নির্মিত হয় বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ। ওই মাঠে খেলাধুলা করে জাতীয় ফুটবল দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার। ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি মডেল প্রকল্পে যুক্ত হওয়ায় এবং ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়টির পূর্ণাঙ্গ নাম ‘চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’। এছাড়া ২০১৭ সালে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি মিনি স্টেডিয়াম করার প্রকল্পে চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠটি বর্তমানে চান্দিনা উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম নাম করণ করা হয়। এতে একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন, একটি শৌচাগার ও স্টেডিয়ামের পূর্বপাশে বসার জন্য পাকা কয়েকটি বেঞ্চ স্থাপন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এদিকে, বর্ষা কালে মাঠের পানি নিস্কাশনে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যত কোন ভূমিকা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠটিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পুরো বর্ষার মৌসুমে মাঠে গড়ায় না ফুটবল বা ক্রিকেট। বর্ষার জলাবদ্ধাতা থেকে সৃষ্ট আগাছা দিনে দিনে বেড়ে ঝোপ জঙ্গলে রূপ নিয়েছে।
চান্দিনা ফুটবল একাডেমি মাঠের একপাশ ব্যবহার করছে। অন্য পাশ ব্যবহার করতে পারছে না। ক্রীড়া পরিষদের দুই কক্ষের ভবনের তালা ভেঙ্গে খুলে নিয়ে গেছে বৈদ্যুতিক পাখা, চেয়ার, টেবিল সহ মূলমান সামগ্রী। ব্যবহার না করায় ভিতরে চরম নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোনে ওয়াস ব্লকটিতে ব্যবহার না থাকায় স্থানীয় এক নারী ছাগল পালন করছেন। এছাড়া মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে উপজেলা স্কাউটস ভবনটিরও যথাযথ ব্যবহার নেই। সরকারি এই মিনি স্টেডিয়ামে খেলাধুলার অনূকূল পরিবেশ না থাকার সুবাদে মাঠের আশ-পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নির্মাণ সামগ্রীর স্তুপ পড়ে আছে।
২০১৭ সালের পর স্থানীয় ভাবে মাত্র ২/৩টি টুর্ণামেন্ট ওই অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে গত পাঁচ বছরে মাঠের অর্ধেক অংশে স্কুল পর্যায়ের ফুটবল টুর্ণামেন্ট ব্যতিত তেমন কোন বড় টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থানীয় একটি ফুটবল একাডেমির সদস্যরা সকাল-বিকাল মাঠের একটি কোনে চর্চা করলেও মাঠজুড়ে খেলার সুযোগ নেই তাদের। মাঠটি সংস্কার না করায় উপজেলার ক্রীড়া অঙ্গন চলছে ধুকে ধুকে। ক্ষোভ বাড়ছে ক্রীড়া প্রেমীদের।
তাঁদের দাবি ভবন ও মাঠ দ্রুত সংস্কার করে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সচল করে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করা হোক।
স্টেডিয়ামের খেলোয়াড় ও চান্দিনা ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন- এই মাঠে খেলে বাদল রায়সহ অনেকে জাতীয় দল ও দেশসেরা টিমে চান্স পেয়েছে। অথচ স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে মাঠের ঘাস অনেক বড় হয়ে গেছে।
চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিকবার অবহিত করেছি। পৌরসভা থেকে মাঠটি সংস্কার করার কথা থাকলেও আজও হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলবো।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, চান্দিনা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা অধিদপ্তর থেকে কোন চিঠিও পাইনি। যার কারণে বরাদ্দ হচ্ছে না। স্থানীয় খেলোয়াড়রা আমার সাথে দেখা করেছেন। মাঠ উপযোগী করতে তাদের সবার্ত্মক সহযোগিতা করব।

কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার ক্রীড়াপ্রেমীদের অন্যতম প্রাণ কেন্দ্র ছিল চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ। ১১০ বছরের পুরাতন বিশাল ওই খেলার মাঠটিতে বিকেল হলেই স্থানীয় ফুটবলার ও ক্রিকেটারদের ভীড় জমতো। বছরের কয়েকটি টুর্ণামেন্টও অনুষ্ঠিত হতো এই মাঠে। বর্তমানে ওই মাঠটি সংস্কারের অভাবে প্রায় পাঁচ বছরেও বেশি দিন যাবৎ খেলাধুলা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। মাঠটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯১৬ সালে চান্দিনা উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠিত হয় চান্দিনা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির প্রধান ফটকের ১০০ গজের মধ্যে প্রায় আড়াই একর জমিতে নির্মিত হয় বিদ্যালয়টির খেলার মাঠ। ওই মাঠে খেলাধুলা করে জাতীয় ফুটবল দলেও জায়গা করে নিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার। ২০১২ সালে বিদ্যালয়টি মডেল প্রকল্পে যুক্ত হওয়ায় এবং ২০১৮ সালে জাতীয়করণ হওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়টির পূর্ণাঙ্গ নাম ‘চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়’। এছাড়া ২০১৭ সালে সারাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি মিনি স্টেডিয়াম করার প্রকল্পে চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠটি বর্তমানে চান্দিনা উপজেলা মিনি স্টেডিয়াম নাম করণ করা হয়। এতে একটি দুই কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন, একটি শৌচাগার ও স্টেডিয়ামের পূর্বপাশে বসার জন্য পাকা কয়েকটি বেঞ্চ স্থাপন করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এদিকে, বর্ষা কালে মাঠের পানি নিস্কাশনে পৌর কর্তৃপক্ষের কার্যত কোন ভূমিকা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠটিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। পুরো বর্ষার মৌসুমে মাঠে গড়ায় না ফুটবল বা ক্রিকেট। বর্ষার জলাবদ্ধাতা থেকে সৃষ্ট আগাছা দিনে দিনে বেড়ে ঝোপ জঙ্গলে রূপ নিয়েছে।
চান্দিনা ফুটবল একাডেমি মাঠের একপাশ ব্যবহার করছে। অন্য পাশ ব্যবহার করতে পারছে না। ক্রীড়া পরিষদের দুই কক্ষের ভবনের তালা ভেঙ্গে খুলে নিয়ে গেছে বৈদ্যুতিক পাখা, চেয়ার, টেবিল সহ মূলমান সামগ্রী। ব্যবহার না করায় ভিতরে চরম নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব কোনে ওয়াস ব্লকটিতে ব্যবহার না থাকায় স্থানীয় এক নারী ছাগল পালন করছেন। এছাড়া মাঠের দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে উপজেলা স্কাউটস ভবনটিরও যথাযথ ব্যবহার নেই। সরকারি এই মিনি স্টেডিয়ামে খেলাধুলার অনূকূল পরিবেশ না থাকার সুবাদে মাঠের আশ-পাশে নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নির্মাণ সামগ্রীর স্তুপ পড়ে আছে।
২০১৭ সালের পর স্থানীয় ভাবে মাত্র ২/৩টি টুর্ণামেন্ট ওই অনুষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে গত পাঁচ বছরে মাঠের অর্ধেক অংশে স্কুল পর্যায়ের ফুটবল টুর্ণামেন্ট ব্যতিত তেমন কোন বড় টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থানীয় একটি ফুটবল একাডেমির সদস্যরা সকাল-বিকাল মাঠের একটি কোনে চর্চা করলেও মাঠজুড়ে খেলার সুযোগ নেই তাদের। মাঠটি সংস্কার না করায় উপজেলার ক্রীড়া অঙ্গন চলছে ধুকে ধুকে। ক্ষোভ বাড়ছে ক্রীড়া প্রেমীদের।
তাঁদের দাবি ভবন ও মাঠ দ্রুত সংস্কার করে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সচল করে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করা হোক।
স্টেডিয়ামের খেলোয়াড় ও চান্দিনা ফুটবল একাডেমির চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন- এই মাঠে খেলে বাদল রায়সহ অনেকে জাতীয় দল ও দেশসেরা টিমে চান্স পেয়েছে। অথচ স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে মাঠের ঘাস অনেক বড় হয়ে গেছে।
চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে একাধিকবার অবহিত করেছি। পৌরসভা থেকে মাঠটি সংস্কার করার কথা থাকলেও আজও হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আবারও কথা বলবো।
চান্দিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, চান্দিনা ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জেলা ক্রীড়া সংস্থা বা অধিদপ্তর থেকে কোন চিঠিও পাইনি। যার কারণে বরাদ্দ হচ্ছে না। স্থানীয় খেলোয়াড়রা আমার সাথে দেখা করেছেন। মাঠ উপযোগী করতে তাদের সবার্ত্মক সহযোগিতা করব।