চান্দিনা প্রতিনিধি

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনা প্রসূত। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমূহ মতামত, ভিন্নমত ও নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ করে জাতীয় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচনা করা এবং জনগণের সম্মতি গ্রহণের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোটের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপিও একই দিনে গণভোট আয়োজনের পক্ষে মতামত দিয়েছে।’
গতকাল শনিবার বিকেলে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৭ অক্টোবর আমরা যখন জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করি তখন ‘জাতীয় জুলাই সনদ ২০২৫’ এর প্রিন্ট কপি আমাদেরকে সরবরাহ করা হয়নি। পরবর্তীতে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর শেষে বাড়ি ফেরার পথে ‘জাতীয় জুলাই সনদ ২০২৫’ এর একটি ছাপানো বই সকলকে সরবরাহ করা হয়। এই জুলাই সনদ যেই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে তা সঠিকভাবে বহুক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়নি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সূচিতে ‘সংবিধান সংশোধন পরিষদ’ গঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ সম্পর্কে কোনো আলোচনাও হয়নি। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করতে হলে তা পরবর্তী জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত নন। ঐকমত্য কমিশনের এই ভৌতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে সংস্কার কার্য সম্পাদন করতে ব্যর্থ হলে গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিলটি সয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হবে। যা সম্পূর্ণভাবে আইন ও বিধি বহির্ভূত, অযৌক্তিক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে সব বিষয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিলানা, আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি, ঐকমত্য কমিশনের ওই সকল সুপারিশ অগ্রহণযোগ্য, তাই আমরা এই সমস্ত প্রস্তাবের সাথে একমত নই। ঐকমত্য কমিশনের অযৌক্তিক প্রস্তাব ও সুপারিশ জাতীয় ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। জাতিকে বিভক্ত করবে। এই মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জন্য একটি অশনি সংকেত।
এ সময় তিনি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চান্দিনা উপজেলা সভাপতি একেএম শামসুল হক মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা গণতান্ত্রিক যুবদল সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি মহাসচিব সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণভোট অনুষ্ঠান অপ্রয়োজনীয়, অযৌক্তিক ও অবিবেচনা প্রসূত। বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল সমূহ মতামত, ভিন্নমত ও নোট অব ডিসেন্ট উল্লেখ করে জাতীয় জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি রচনা করা এবং জনগণের সম্মতি গ্রহণের জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোটের প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপিও একই দিনে গণভোট আয়োজনের পক্ষে মতামত দিয়েছে।’
গতকাল শনিবার বিকেলে চান্দিনা রেদোয়ান আহমেদ কলেজের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৭ অক্টোবর আমরা যখন জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করি তখন ‘জাতীয় জুলাই সনদ ২০২৫’ এর প্রিন্ট কপি আমাদেরকে সরবরাহ করা হয়নি। পরবর্তীতে অঙ্গীকার নামায় স্বাক্ষর শেষে বাড়ি ফেরার পথে ‘জাতীয় জুলাই সনদ ২০২৫’ এর একটি ছাপানো বই সকলকে সরবরাহ করা হয়। এই জুলাই সনদ যেই ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রণয়ন করা হয়েছে তা সঠিকভাবে বহুক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়নি।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সূচিতে ‘সংবিধান সংশোধন পরিষদ’ গঠনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না। এ সম্পর্কে কোনো আলোচনাও হয়নি। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠন করতে হলে তা পরবর্তী জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত। সংবিধান সংস্কার পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ক্ষমতা প্রাপ্ত নন। ঐকমত্য কমিশনের এই ভৌতিক প্রস্তাবে বলা হয়েছে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদ’ প্রথম অধিবেশন শুরুর তারিখ হতে ২৭০ পঞ্জিকা দিবসের মধ্যে সংস্কার কার্য সম্পাদন করতে ব্যর্থ হলে গণভোটে অনুমোদিত সংবিধান সংস্কার বিলটি সয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত হবে। যা সম্পূর্ণভাবে আইন ও বিধি বহির্ভূত, অযৌক্তিক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্তিমূলক।
সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, যে সব বিষয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত ছিলানা, আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি, ঐকমত্য কমিশনের ওই সকল সুপারিশ অগ্রহণযোগ্য, তাই আমরা এই সমস্ত প্রস্তাবের সাথে একমত নই। ঐকমত্য কমিশনের অযৌক্তিক প্রস্তাব ও সুপারিশ জাতীয় ঐক্যের বদলে অনৈক্য সৃষ্টি করবে। জাতিকে বিভক্ত করবে। এই মনগড়া সংস্কার প্রস্তাব জাতির জন্য একটি অশনি সংকেত।
এ সময় তিনি ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চান্দিনা উপজেলা সভাপতি একেএম শামসুল হক মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের, সাংগঠনিক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়া, উপজেলা গণতান্ত্রিক যুবদল সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহমেদ ভূঁইয়া প্রমুখ।