মাছ শূন্য জগন্নাথ দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতা!
মাছ শূন্য জগন্নাথ দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতা!
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই দিঘিতে আগামীকাল শুক্রবার ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজন চলছে । ইতোমধ্যে প্রতিটি টিকেটের দাম ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে শতাধিক টিকেট বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের আমলাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফ্রি টিকিট দেওয়া হয়েছে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত রওেয়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দিঘি ইজারা নেওয়া চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সফিউল ইসলাম মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মৎস্যপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা ও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধের দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তের ফলে জগন্নাথ দিঘিটি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে। হামলা-মামলার ভয়ে জগন্নাথ দিঘি লিজ নেওয়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহিবুল আলম কানন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও সাধারণ লোকজন দফায় দফায় জাল পেলে দিঘি থেকে মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এভাবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই যে যার মতো করে দিঘি থেকে মাছ ধরে। ফলে দিঘিটি মাছ শূন্য হয়ে পড়ে। চলতি বছরে এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে জগন্নাথ দিঘিটি চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড ৫ বছরের জন্য লিজ পাওয়ার পর বিভিন্ন জাতের কিছু মাছের পোনা উন্মুক্ত করা হলেও এই ৪-৫ মাসের ব্যবধানে সেই মাছগুলো খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়নি। কিন্তু জগন্নাথ দিঘি মানে বৃহত্তর কুমিল্লার বড় ও ঐতিহ্যবাহী দিঘি, এই কথাকে পুঁজি করে মাছ শূন্য বিষয়টি আড়াল করে তড়িঘড়ি করে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মৎস্যপ্রেমীদের পকেট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে এমন প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রকাশ ফয়সাল। সে চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট হ্যাচারি থেকে লোক দেখানো স্বল্প পরিমাণে কিছু বড় মাছ এনে তা দিঘিতে উন্মুক্ত করে ভিডিওধারণ করে। এই ভিডিও ধারণ ও চটকদার বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে মাছ শিকারিদের বিভিন্ন গ্রুপে তা ছড়িয়ে দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করে ২৮ হাজার টাকা হারে টিকেট বিক্রি শুরু করে। অতীতে কখনো এই দিঘিতে ৫ হাজার টাকার উপরে বড়শি প্রতিযোগিতার টিকেটের মূল্য ছিল না। এতে করে ফখরুল ইসলাম ফয়সাল প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের দিন থেকে টানা ৮-৯ মাস স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্তের শত শত মানুষ দিঘির মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে দিঘির ইজারাদাররা এপ্রিল মাসে দিঘি বুঝে পেয়ে কিছু মাছের পোনা উন্মুক্ত করে। কিন্তু বড়শি প্রতিযোগিতা দেওয়ার মতো মাছ দিঘিতে নেই।
দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা সামছুল হক জানান, চৌদ্দগ্রামসহ আশেপাশের সবাই জানে দিঘিতে কোনো মাছই নেই। তাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী এলাকায় লিফলেট ছাপিয়ে তাদের আকৃষ্ট করে উচ্চমূল্যে টিকেট বিক্রি করে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মাছ শিকারিদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
কেছকিমুড়া গ্রামের হানিফ মিয়া জানান, মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার বিষয়টি আয়োজক ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে সে ধমকি দিয়ে বলেন, তোমাদের এত কথা বলার দরকার আছে। এখানে ফেনী, কুমিল্লার ডিসি-এসপি, সচিবসহ অনেক উচ্চ পর্য়ায়ের লোক উপস্থিত থাকবে।
চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সফিউল ইসলাম জানান, দিঘিটি লিজ নেওয়ার পর থেকেই আমাদের সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফয়সাল কিছু কুচক্রী মহলের উন্ধনে নানান তালবাহানা শুরু করে। সে মানুষ ঠকানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে, যার ফলে তার সঙ্গে আমাদের সমিতির অপরাপর সদস্যদের মতবিরোধ তৈরি হয়। এরই মধ্যে দিঘি লিজ নেওয়ার মাত্র ৫ মাসের মাথায় ফখরুল ইসলাম একক মতামতে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করে। আমি এমন অন্যায় কাজ মেনে নিতে পারি না বলে এই বড়শি প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। আশা করি, তা এটি বন্ধের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার বিষয়ে চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার অন্য চাষকৃত দিঘি থেকে মাছ এনে জগন্নাথ দিঘিতে উন্মুক্ত করা হয়। লিজ নেওয়ার মাত্র ৫ মাসের মাথায় এমন প্রতিযোগিতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানা, আমরা ইতোমধ্যে দিঘিতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছি। তা তো এখান থেকে ব্যবসা করে তুলে নিতে হবে। আর এটাই আমার বিজনেস।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন জানান, দিঘিটি লিজ দেওয়া হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে। আমরা মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মৎস্য শিকারিদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেই আলোকে উপজেলা সমবায় অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এই দিঘিতে আগামীকাল শুক্রবার ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী বড়শি প্রতিযোগিতার আয়োজন চলছে । ইতোমধ্যে প্রতিটি টিকেটের দাম ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করে শতাধিক টিকেট বিক্রি করে ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের আমলাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফ্রি টিকিট দেওয়া হয়েছে বলেও প্রচার করা হচ্ছে। স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত রওেয়ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
দিঘি ইজারা নেওয়া চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সফিউল ইসলাম মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মৎস্যপ্রেমীদের সঙ্গে প্রতারণা ও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টা বন্ধের দাবি জানিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তের ফলে জগন্নাথ দিঘিটি অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে। হামলা-মামলার ভয়ে জগন্নাথ দিঘি লিজ নেওয়া চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহিবুল আলম কানন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ও সাধারণ লোকজন দফায় দফায় জাল পেলে দিঘি থেকে মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। এভাবে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কোন ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই যে যার মতো করে দিঘি থেকে মাছ ধরে। ফলে দিঘিটি মাছ শূন্য হয়ে পড়ে। চলতি বছরে এপ্রিল মাসের ১৬ তারিখে জগন্নাথ দিঘিটি চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেড ৫ বছরের জন্য লিজ পাওয়ার পর বিভিন্ন জাতের কিছু মাছের পোনা উন্মুক্ত করা হলেও এই ৪-৫ মাসের ব্যবধানে সেই মাছগুলো খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়নি। কিন্তু জগন্নাথ দিঘি মানে বৃহত্তর কুমিল্লার বড় ও ঐতিহ্যবাহী দিঘি, এই কথাকে পুঁজি করে মাছ শূন্য বিষয়টি আড়াল করে তড়িঘড়ি করে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মৎস্যপ্রেমীদের পকেট থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে এমন প্রতারণামূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছে সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম প্রকাশ ফয়সাল। সে চট্টগ্রামের বারইয়ারহাট হ্যাচারি থেকে লোক দেখানো স্বল্প পরিমাণে কিছু বড় মাছ এনে তা দিঘিতে উন্মুক্ত করে ভিডিওধারণ করে। এই ভিডিও ধারণ ও চটকদার বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে মাছ শিকারিদের বিভিন্ন গ্রুপে তা ছড়িয়ে দিয়ে তাদের আকৃষ্ট করে ২৮ হাজার টাকা হারে টিকেট বিক্রি শুরু করে। অতীতে কখনো এই দিঘিতে ৫ হাজার টাকার উপরে বড়শি প্রতিযোগিতার টিকেটের মূল্য ছিল না। এতে করে ফখরুল ইসলাম ফয়সাল প্রায় ২৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন জানান, ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের দিন থেকে টানা ৮-৯ মাস স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্তের শত শত মানুষ দিঘির মাছ লুটপাট করে নিয়ে যায়। বর্তমানে দিঘির ইজারাদাররা এপ্রিল মাসে দিঘি বুঝে পেয়ে কিছু মাছের পোনা উন্মুক্ত করে। কিন্তু বড়শি প্রতিযোগিতা দেওয়ার মতো মাছ দিঘিতে নেই।
দিঘিরপাড়ের বাসিন্দা সামছুল হক জানান, চৌদ্দগ্রামসহ আশেপাশের সবাই জানে দিঘিতে কোনো মাছই নেই। তাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ফেনী এলাকায় লিফলেট ছাপিয়ে তাদের আকৃষ্ট করে উচ্চমূল্যে টিকেট বিক্রি করে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মাছ শিকারিদের সঙ্গে প্রতারণা করছে।
কেছকিমুড়া গ্রামের হানিফ মিয়া জানান, মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার বিষয়টি আয়োজক ফখরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে সে ধমকি দিয়ে বলেন, তোমাদের এত কথা বলার দরকার আছে। এখানে ফেনী, কুমিল্লার ডিসি-এসপি, সচিবসহ অনেক উচ্চ পর্য়ায়ের লোক উপস্থিত থাকবে।
চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক সফিউল ইসলাম জানান, দিঘিটি লিজ নেওয়ার পর থেকেই আমাদের সমিতির সভাপতি ফখরুল ইসলাম ফয়সাল কিছু কুচক্রী মহলের উন্ধনে নানান তালবাহানা শুরু করে। সে মানুষ ঠকানোর জন্য উঠেপড়ে লাগে, যার ফলে তার সঙ্গে আমাদের সমিতির অপরাপর সদস্যদের মতবিরোধ তৈরি হয়। এরই মধ্যে দিঘি লিজ নেওয়ার মাত্র ৫ মাসের মাথায় ফখরুল ইসলাম একক মতামতে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করে। আমি এমন অন্যায় কাজ মেনে নিতে পারি না বলে এই বড়শি প্রতিযোগিতা বন্ধের জন্য কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছি। আশা করি, তা এটি বন্ধের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার বিষয়ে চিওড়া মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার অন্য চাষকৃত দিঘি থেকে মাছ এনে জগন্নাথ দিঘিতে উন্মুক্ত করা হয়। লিজ নেওয়ার মাত্র ৫ মাসের মাথায় এমন প্রতিযোগিতার বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানা, আমরা ইতোমধ্যে দিঘিতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছি। তা তো এখান থেকে ব্যবসা করে তুলে নিতে হবে। আর এটাই আমার বিজনেস।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জামাল হোসেন জানান, দিঘিটি লিজ দেওয়া হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে। আমরা মাছ শূন্য দিঘিতে বড়শি প্রতিযোগিতার নামে মৎস্য শিকারিদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেই আলোকে উপজেলা সমবায় অফিসারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।
বিষয়:
