কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জনবল বাড়াতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা ৩০ মিনিটে স্থানীয় সরকার বিভাগে অর্গানুগ্রাম ও চাকরি নিয়োগবিধি সভা হবে। ওই সভায় যোগদান করবেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি সিটি করপোরেশনের প্রশাসক পদে যোগদান করেন। যোগদান করার পর জনবলের শূন্যতা দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। এরপর তিনি জনবল আনার বিষয়ে তৎপর হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সভা ডাকা হয়েছে। এতে মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
নগর ভবনের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানিয়েছেন,কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোতে ২৪২ টি পদ সৃজনের সরকারি মঞ্জুরি (জিও) হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে নগর ভবনের কোন কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগাযোগ করেননি বছরের পর বছর। ফলে সেটি ওই অবস্থায় পড়ে ছিল। প্রশাসক মো. শাহ আলম যোগদানের একমাসের মধ্যে ওই নথি নড়াচড়া শুরু হয়।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৪ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লা পৌরসভা ও ২০০৩ সালের ৩০ জুলাই সদর দক্ষিণ পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই দুইটি পৌরসভা একীভূত কওে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। তখন দুই পৌরসভার আয়তন ,ওয়ার্ড ও জনবলও একত্র করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন, ওয়ার্ড ও জনবল বাড়েনি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সবই হয়, লোকবলবাড়ানো হয় না।
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ১১৭ জন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ৮৩ জন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ৭১ জন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই সংখ্যা ছিল ৬৮ জনে। বর্তমানে ৬৬ জন স্থায়ী লোকবল আছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা। তিনি বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ১৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প পরিচালক ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে প্রকল্পের কাজ দেখতে মাঠে যাওয়া, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সভা করা, ঢাকায় সভাতে অংশ নিতেও যান।
আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈনউদ্দিন চিশতি নিজ দায়িত্বে অতিরিক্ত হিসেবে এস্টেট অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডেও কাউন্সিলরের দায়িত্বও পালন করছেন।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, অগ্রানোগ্রাম অনুমোদন হলে তাঁরা পদোন্নতি পেতেন। তখন তাঁদের সুযোগ সুবিধা বাড়তো। এখন তাঁরা সার্বক্ষণিক খাটছেন। সিটি করপোরেশনে সমস্যা বেড়েছে। নগরে লোক বেড়েছে। সমস্যাও বেড়েছে। কিন্তু কাজের মনিটরিং করা যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, জনবল ছাড়া একটি সিটি করপোরেশন চলতে পারে না। আমরা দ্রুত জনবল নিয়োগ দেব। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ৬৬ জন স্থায়ী জনবল দিয়ে চলছে। এটা দিয়ে প্রত্যাশিত নাগরিক সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন অর্গানুগ্রাম নিয়ে সভা হবে। এরপর আমরা আশা করি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব।

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের জনবল বাড়াতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা ৩০ মিনিটে স্থানীয় সরকার বিভাগে অর্গানুগ্রাম ও চাকরি নিয়োগবিধি সভা হবে। ওই সভায় যোগদান করবেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম। গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি সিটি করপোরেশনের প্রশাসক পদে যোগদান করেন। যোগদান করার পর জনবলের শূন্যতা দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। এরপর তিনি জনবল আনার বিষয়ে তৎপর হন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সভা ডাকা হয়েছে। এতে মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
নগর ভবনের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানিয়েছেন,কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাংগঠনিক কাঠামোতে ২৪২ টি পদ সৃজনের সরকারি মঞ্জুরি (জিও) হয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে নগর ভবনের কোন কর্মকর্তা স্থানীয় সরকার বিভাগে যোগাযোগ করেননি বছরের পর বছর। ফলে সেটি ওই অবস্থায় পড়ে ছিল। প্রশাসক মো. শাহ আলম যোগদানের একমাসের মধ্যে ওই নথি নড়াচড়া শুরু হয়।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৪ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লা পৌরসভা ও ২০০৩ সালের ৩০ জুলাই সদর দক্ষিণ পৌরসভা প্রতিষ্ঠা হয়। ২০১১ সালের ১০ জুলাই দুইটি পৌরসভা একীভূত কওে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। তখন দুই পৌরসভার আয়তন ,ওয়ার্ড ও জনবলও একত্র করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের আয়তন, ওয়ার্ড ও জনবল বাড়েনি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে সবই হয়, লোকবলবাড়ানো হয় না।
২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ১১৭ জন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল ছিল ৮৩ জন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ৭১ জন। চলতি বছরের মার্চ মাসে ওই সংখ্যা ছিল ৬৮ জনে। বর্তমানে ৬৬ জন স্থায়ী লোকবল আছে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁঞা। তিনি বর্তমানে প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ১৫৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকার প্রকল্প পরিচালক ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। এর বাইরে প্রকল্পের কাজ দেখতে মাঠে যাওয়া, বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সভা করা, ঢাকায় সভাতে অংশ নিতেও যান।
আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈনউদ্দিন চিশতি নিজ দায়িত্বে অতিরিক্ত হিসেবে এস্টেট অফিসারের দায়িত্বও পালন করছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তারা বর্তমানে সিটি করপোরেশনের ২৭ টি ওয়ার্ডেও কাউন্সিলরের দায়িত্বও পালন করছেন।
কর্মকর্তাদের ভাষ্য, অগ্রানোগ্রাম অনুমোদন হলে তাঁরা পদোন্নতি পেতেন। তখন তাঁদের সুযোগ সুবিধা বাড়তো। এখন তাঁরা সার্বক্ষণিক খাটছেন। সিটি করপোরেশনে সমস্যা বেড়েছে। নগরে লোক বেড়েছে। সমস্যাও বেড়েছে। কিন্তু কাজের মনিটরিং করা যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন, জনবল ছাড়া একটি সিটি করপোরেশন চলতে পারে না। আমরা দ্রুত জনবল নিয়োগ দেব। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ৬৬ জন স্থায়ী জনবল দিয়ে চলছে। এটা দিয়ে প্রত্যাশিত নাগরিক সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এখন অর্গানুগ্রাম নিয়ে সভা হবে। এরপর আমরা আশা করি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করব।