বাদলের মাস্তানি থামছে না
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগর ভবনের ঠিকাদার মো. বাদল মিয়ার হাতে এবার লাঞ্ছিত হয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ( চলতি দায়িত্ব) মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী। গত ৩১ আগস্ট দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষেই বিলের জন্য তাঁর টুটি চেপে ধরেন বাদল। এই সময়ে বাদল দৈনিক মজুরি ভিত্তিক এক কর্মচারীকে থাপ্পড় (চড়) মারেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগ, এর আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলামকে মারধর করেন বাদল। খারাপ ব্যবহার করেছেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ, সিটি করপোরেশনের উর্ধতন একাধিক কর্মকর্তাকেও নাজেহাল করেন।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের ( ইউডিসিজিপি) আওতায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় দুই কোটি টাকার সড়ক বাতির কাজ করান মো. বাদল মিয়া। ওই কাজের বিল ও নথি পাঠায় সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে। এলজিইডি বিল দেওয়ার আগে কাজের মান পরীক্ষা করে। মান ভালো হলে বিল দ্রুত দেয়। মান খারাপ হলে অনুসন্ধান করে। একই সঙ্গে সমস্যার সমাধান করে দিলে পরে বিল দেয়। বিল পেতে দেরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন ঠিকাদার মো. বাদল মিয়া। ওই কারণে গত ৩১ আগস্ট দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে নগর ভবনে যান তিনি। এরপর তৃতীয়তলার পশ্চিম পাশে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন চিশতীর কক্ষে ঢুকে আতকা দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর বিল নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একই সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী দরজা বন্ধ করার কারণ জানতে চান। তখন অকথ্য ভাষায় তুই তুকারি করেন নির্বাহী প্রকৌশলীকে। এক পর্যায়ে তাঁকে মারার জন্য তেড়ে যান। তখন এক কর্মচারী প্রতিবাদ করেন। এরপর তাঁকেও চড় দেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীর গলা চেপে ধরেন। এই সময়ে ওই কক্ষে আরও অন্তত তিনজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনার পর বাদল আর নগর ভবনে যাচ্ছেন না। তবে তাঁকে গতকাল বুধবার দুপুরে ও বিকেলে তাঁকে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দেখা গেছে। অন্যদিকে প্রকৌশলী চিশতি সোমবার অফিস করেননি। মঙ্গলবার থেকে অফিস করছেন। চিশতি কোন বিচার চাননি। তিনি চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বিচার দেন।
চিশতীর সহকর্মীদের ভাষ্য, অভিযোগ দিলে কোন লাভ হবে না। বাদলকে নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভয় পান। অতীতেও তিনি এই ধরনের কাজ করেছিলেন। বাদলের কিচ্ছু হয়নি। কেউ তাঁর বিচার করেননি। উল্টো আসকারা দিয়ে তাঁর অন্যায়কে নিরবে সহ্য করে গেছে।
বর্তমানে হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন,‘ বাদল আমাকে সহ বহু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হয়রানি করেছে। গায়ে হাত তুলেছে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন,‘ আমি ৩১ আগস্ট অপরাহ্নে কুমিল্লায় এসেছি। যোগদান করেছি। তার আগেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এরপর প্রকৌশলীকে বলেছি অভিযোগ দিতে। তিনি এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
বাদলের হাতে বিভিন্ন সময়ে অপদস্তের শিকার অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানিয়েছেন, নগর ভবনে অন্তত ৩৫০-৪০০ জনের মতো ঠিকাদার আছেন। বাদলের মতো এমন খারাপ ব্যবহার আর কোন ঠিকাদার কখনো করেনি। গত দেড় দশক ধরে ( রিফাত ও সূচীর সময় ছাড়া) তাঁর কাছে জিম্মি নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ঘটনার পরপরই মো. বাদল মিয়ার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ( চলতি দায়িত্ব) মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি আল্লাহর কাছে চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে বিচার দিয়েছেন।
স্থানীয় ঠিকাদারেরা বলেন, বাদলের একসময় সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল। তিনি নগর ভবনের তিনতলার একটি কক্ষে বসে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর ভয়ে নগর ভবনে একটা আতংক সবসময়ই বিরাজ করে।
নগর ভবনের ঠিকাদার মো. বাদল মিয়ার হাতে এবার লাঞ্ছিত হয়েছেন কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ( চলতি দায়িত্ব) মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী। গত ৩১ আগস্ট দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে নির্বাহী প্রকৌশলীর কক্ষেই বিলের জন্য তাঁর টুটি চেপে ধরেন বাদল। এই সময়ে বাদল দৈনিক মজুরি ভিত্তিক এক কর্মচারীকে থাপ্পড় (চড়) মারেন। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অভিযোগ, এর আগে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলামকে মারধর করেন বাদল। খারাপ ব্যবহার করেছেন সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. নুরুল্লাহ, সিটি করপোরেশনের উর্ধতন একাধিক কর্মকর্তাকেও নাজেহাল করেন।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সিটি গভর্নেন্স প্রজেক্টের ( ইউডিসিজিপি) আওতায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় দুই কোটি টাকার সড়ক বাতির কাজ করান মো. বাদল মিয়া। ওই কাজের বিল ও নথি পাঠায় সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঢাকার কার্যালয়ে। এলজিইডি বিল দেওয়ার আগে কাজের মান পরীক্ষা করে। মান ভালো হলে বিল দ্রুত দেয়। মান খারাপ হলে অনুসন্ধান করে। একই সঙ্গে সমস্যার সমাধান করে দিলে পরে বিল দেয়। বিল পেতে দেরি হওয়ায় ক্ষুদ্ধ ছিলেন ঠিকাদার মো. বাদল মিয়া। ওই কারণে গত ৩১ আগস্ট দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিটে নগর ভবনে যান তিনি। এরপর তৃতীয়তলার পশ্চিম পাশে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন চিশতীর কক্ষে ঢুকে আতকা দরজা বন্ধ করে দেন। এরপর বিল নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একই সঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী দরজা বন্ধ করার কারণ জানতে চান। তখন অকথ্য ভাষায় তুই তুকারি করেন নির্বাহী প্রকৌশলীকে। এক পর্যায়ে তাঁকে মারার জন্য তেড়ে যান। তখন এক কর্মচারী প্রতিবাদ করেন। এরপর তাঁকেও চড় দেন। পরে নির্বাহী প্রকৌশলীর গলা চেপে ধরেন। এই সময়ে ওই কক্ষে আরও অন্তত তিনজন ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। এই ঘটনার পর বাদল আর নগর ভবনে যাচ্ছেন না। তবে তাঁকে গতকাল বুধবার দুপুরে ও বিকেলে তাঁকে সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দেখা গেছে। অন্যদিকে প্রকৌশলী চিশতি সোমবার অফিস করেননি। মঙ্গলবার থেকে অফিস করছেন। চিশতি কোন বিচার চাননি। তিনি চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে বিচার দেন।
চিশতীর সহকর্মীদের ভাষ্য, অভিযোগ দিলে কোন লাভ হবে না। বাদলকে নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ভয় পান। অতীতেও তিনি এই ধরনের কাজ করেছিলেন। বাদলের কিচ্ছু হয়নি। কেউ তাঁর বিচার করেননি। উল্টো আসকারা দিয়ে তাঁর অন্যায়কে নিরবে সহ্য করে গেছে।
বর্তমানে হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তারিকুল ইসলাম বলেন,‘ বাদল আমাকে সহ বহু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে হয়রানি করেছে। গায়ে হাত তুলেছে।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন,‘ আমি ৩১ আগস্ট অপরাহ্নে কুমিল্লায় এসেছি। যোগদান করেছি। তার আগেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি। এরপর প্রকৌশলীকে বলেছি অভিযোগ দিতে। তিনি এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
বাদলের হাতে বিভিন্ন সময়ে অপদস্তের শিকার অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী জানিয়েছেন, নগর ভবনে অন্তত ৩৫০-৪০০ জনের মতো ঠিকাদার আছেন। বাদলের মতো এমন খারাপ ব্যবহার আর কোন ঠিকাদার কখনো করেনি। গত দেড় দশক ধরে ( রিফাত ও সূচীর সময় ছাড়া) তাঁর কাছে জিম্মি নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে ঘটনার পরপরই মো. বাদল মিয়ার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি এই প্রতিবেদকের প্রশ্ন শুনে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী ( চলতি দায়িত্ব) মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি আল্লাহর কাছে চার রাকাত নফল নামাজ পড়ে বিচার দিয়েছেন।
স্থানীয় ঠিকাদারেরা বলেন, বাদলের একসময় সাতটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছিল। তিনি নগর ভবনের তিনতলার একটি কক্ষে বসে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ করতেন। তাঁর ভয়ে নগর ভবনে একটা আতংক সবসময়ই বিরাজ করে।
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় মোটর সাইকেলের ধাওয়া খাওয়ার পর নিজের প্রাইভেট কারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়া এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে হাসপাতালে।
১ দিন আগে