গাজীউল হক সোহাগ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পূর্ণকালীন প্রশাসক পদে যোগদান করেছেন সরকারের যুগ্মসচিব মো. শাহ আলম। আজ রোববার অপরাহ্নে তিনি নগর ভবনে আসেন। এসেই তিনি নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরুড়া উপজেলার জোড়পুকুরিয়া (পূর্ব) গ্রামে। তিনি ১৮তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পঞ্চম প্রশাসক।
আজ রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন শাখা-১ এর যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার ( সিটি করপোরেশন)(সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ২৫ ক এর উপধারা (১) প্রয়োগ কওে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পূর্ণকালীন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
মো. শাহ আলম ১৯৮৬ সালে কুমিল্লার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তিনি দিল্লীতে চ্যান্সেলর কর্তৃক স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তিনি লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও নোয়াখালী জেলার চাটখিলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২০১১ সালের ৭ আগস্ট প্রথম প্রশাসক পদে যোগ দেন যুগ্ম সচিব মো. নাছির উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। পরে দ্বিতীয় প্রশাসক হিসেবে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ১৭ মে পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সময়ে ছিলেন কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম। ২০২২ সালের ১৭ মে থেকে ২০২২ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত তৃতীয় প্রশাসক ছিলেন উপসচিব ড. সফিকুল ইসলাম। ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত প্রশাসক ছিলেন বার্ডের মহাপরিচালক ( অতিরিক্ত সচিব) সাইফ উদ্দিন আহমেদ।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে পরিকল্পিতভাবে গড়ার জন্য বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া।
জানতে চাইলে প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন,‘ আমি কুমিল্লার সন্তান। কুমিল্লা শহরে আমার কলেজ জীবন কেটেছে। এই শহর আমাদের প্রাণের শহর। এই শহরের উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে চাই। এককালের ছিমচাম সাজানো গুছানো মায়াময় শহরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা দ্রুত জনবল আনব। ক্লিন সিটি গড়ব। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সবার সহযোগিতা নেব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। ন্যায়ের পথে থেকে কাজ করব।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুগ্ম সচিব মো. শাহ আলম অসংখ্য শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রেরণা দিতেন। বরুড়া এলাকায় তাঁকে অনুসরণ করে বহু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়েছে। তিনি ছোট বড় সবার সঙ্গে মিশতেন। যেখানে দায়িত্ব পেতেন বীরের মতো কাজ করতেন। বক্তৃতায়ও তিনি অসাধারণ।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পূর্ণকালীন প্রশাসক পদে যোগদান করেছেন সরকারের যুগ্মসচিব মো. শাহ আলম। আজ রোববার অপরাহ্নে তিনি নগর ভবনে আসেন। এসেই তিনি নগর ভবনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি বরুড়া উপজেলার জোড়পুকুরিয়া (পূর্ব) গ্রামে। তিনি ১৮তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তা। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পঞ্চম প্রশাসক।
আজ রোববার স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন শাখা-১ এর যুগ্ম সচিব মাহবুবা আইরিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ওই তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার ( সিটি করপোরেশন)(সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪ এর ধারা ২৫ ক এর উপধারা (১) প্রয়োগ কওে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাঁকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের পূর্ণকালীন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
মো. শাহ আলম ১৯৮৬ সালে কুমিল্লার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৮৮ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। তিনি দিল্লীতে চ্যান্সেলর কর্তৃক স্বর্ণপদক পেয়েছেন। তিনি লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও নোয়াখালী জেলার চাটখিলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
নগর ভবন সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১০ জুলাই কুমিল্লা সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২০১১ সালের ৭ আগস্ট প্রথম প্রশাসক পদে যোগ দেন যুগ্ম সচিব মো. নাছির উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি ২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিলেন। পরে দ্বিতীয় প্রশাসক হিসেবে ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ১৭ মে পর্যন্ত নির্বাচনকালীন সময়ে ছিলেন কুমিল্লার তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম। ২০২২ সালের ১৭ মে থেকে ২০২২ সালের ৬ জুলাই পর্যন্ত তৃতীয় প্রশাসক ছিলেন উপসচিব ড. সফিকুল ইসলাম। ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত প্রশাসক ছিলেন বার্ডের মহাপরিচালক ( অতিরিক্ত সচিব) সাইফ উদ্দিন আহমেদ।
গতকাল বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এতে তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনকে পরিকল্পিতভাবে গড়ার জন্য বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু সায়েম ভূঁইয়া।
জানতে চাইলে প্রশাসক মো. শাহ আলম বলেন,‘ আমি কুমিল্লার সন্তান। কুমিল্লা শহরে আমার কলেজ জীবন কেটেছে। এই শহর আমাদের প্রাণের শহর। এই শহরের উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করতে চাই। এককালের ছিমচাম সাজানো গুছানো মায়াময় শহরের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা দ্রুত জনবল আনব। ক্লিন সিটি গড়ব। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে সবার সহযোগিতা নেব। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব। ন্যায়ের পথে থেকে কাজ করব।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যুগ্ম সচিব মো. শাহ আলম অসংখ্য শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রেরণা দিতেন। বরুড়া এলাকায় তাঁকে অনুসরণ করে বহু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গিয়েছে। তিনি ছোট বড় সবার সঙ্গে মিশতেন। যেখানে দায়িত্ব পেতেন বীরের মতো কাজ করতেন। বক্তৃতায়ও তিনি অসাধারণ।