মিতা মিয়াজী, দাউদকান্দি
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই এলাকায় ঢাকা-পেন্নাই-মতলব সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। পৃথক স্থানে সড়কের ২৫৬ ফুট অংশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে শুরু হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। সংস্কারের অভাবে পাঁচ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী, চালক ও সাধারণ মানুষকে।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন সড়কের ওই অংশ সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যানবাহনের কয়েকজন চালক জানালেন, বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-সংলগ্ন স্থান থেকে বনফুল রেস্টুরেন্ট এবং লামিয়া এন্টারপ্রাইজ থেকে কাশেম অটোবাজাজের দোকান পর্যন্ত ২৫৬ ফুট অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। সংস্কারের অভাবে দিন দিন এসব খানাখন্দ গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে বড় হচ্ছে।
এ সড়কে চলাচলকারী জৈনপুরী পরিবহনের বাসের চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। টানা পাঁচ বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত কেউ গর্তগুলো ভরাট করার কাজ করছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে পানি থইথই করছে। এর মধ্যেই চলছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃষ্টির পানি জমায় গাড়ি চলছে ধীরে। লোকজন যে আশপাশ দিয়ে হাঁটবেন, তারও কোনো উপায় নেই। ইউনুস আলী নামের এক ব্যক্তির দোকানের সামনে পরপর কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে যায়। নারী-শিশুসহ বিভিন্ন যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
খানাখন্দে ভরা সড়কের ছবি তুলতে গেলে দাউদকান্দির স্বল্পপেন্নাই গ্রামের বাসিন্দা শরীফ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, 'ছবি তুলে ভিডিও কোনো লাভ নেই। অনেকেই শুধু শুধু ছবি তুলে নিয়ে যান। রাস্তা মেরামতের কোনো কাজ হয় না। কিছু ইট-সুরকি ফেলে রাখলেও তো চলাচল করা যেত।'
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাঁচিয়ারা গ্রামের সমাজসেবক জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে উল্টে যায়, যাত্রীরা আহত হন।
মতলব এক্সপ্রেস বাসের চালক আলম মিয়া বলেন, এ সড়ক দিয়ে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, দাউদকান্দি উপজেলা দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করেন। সড়কের গর্তে চাকা আটকে ও ধাক্কা লেগে প্রায়ই গাড়ি নষ্ট হয়।
ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ তাছলিমা আক্তারের ভাষ্য, ভাঙা সড়ক দিয়ে অসুস্থ মানুষকে, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৃষ্টি শেষ হলে সড়কের এ অংশে সংস্কার করা হবে।
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার পেন্নাই এলাকায় ঢাকা-পেন্নাই-মতলব সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। পৃথক স্থানে সড়কের ২৫৬ ফুট অংশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে শুরু হয় সীমাহীন দুর্ভোগ। সংস্কারের অভাবে পাঁচ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী, বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী, চালক ও সাধারণ মানুষকে।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন সড়কের ওই অংশ সংস্কারের দাবি জানালেও কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। যানবাহনের কয়েকজন চালক জানালেন, বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক-সংলগ্ন স্থান থেকে বনফুল রেস্টুরেন্ট এবং লামিয়া এন্টারপ্রাইজ থেকে কাশেম অটোবাজাজের দোকান পর্যন্ত ২৫৬ ফুট অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। সংস্কারের অভাবে দিন দিন এসব খানাখন্দ গাড়ির চাকার চাপে ভাঙতে ভাঙতে বড় হচ্ছে।
এ সড়কে চলাচলকারী জৈনপুরী পরিবহনের বাসের চালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। টানা পাঁচ বছর হয়ে গেল এখন পর্যন্ত কেউ গর্তগুলো ভরাট করার কাজ করছেন না।
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে পানি থইথই করছে। এর মধ্যেই চলছে বিভিন্ন যানবাহন। বৃষ্টির পানি জমায় গাড়ি চলছে ধীরে। লোকজন যে আশপাশ দিয়ে হাঁটবেন, তারও কোনো উপায় নেই। ইউনুস আলী নামের এক ব্যক্তির দোকানের সামনে পরপর কয়েকটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা উল্টে যায়। নারী-শিশুসহ বিভিন্ন যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
খানাখন্দে ভরা সড়কের ছবি তুলতে গেলে দাউদকান্দির স্বল্পপেন্নাই গ্রামের বাসিন্দা শরীফ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন, 'ছবি তুলে ভিডিও কোনো লাভ নেই। অনেকেই শুধু শুধু ছবি তুলে নিয়ে যান। রাস্তা মেরামতের কোনো কাজ হয় না। কিছু ইট-সুরকি ফেলে রাখলেও তো চলাচল করা যেত।'
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাঁচিয়ারা গ্রামের সমাজসেবক জসিম উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, সড়কের গর্তে গাড়ি আটকে উল্টে যায়, যাত্রীরা আহত হন।
মতলব এক্সপ্রেস বাসের চালক আলম মিয়া বলেন, এ সড়ক দিয়ে চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাইমচর, মতলব দক্ষিণ, হাজীগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর, দাউদকান্দি উপজেলা দক্ষিণ অঞ্চলের লোকজন নিয়মিত যাতায়াত করেন। সড়কের গর্তে চাকা আটকে ও ধাক্কা লেগে প্রায়ই গাড়ি নষ্ট হয়।
ইছাপুর গ্রামের বাসিন্দা গৃহবধূ তাছলিমা আক্তারের ভাষ্য, ভাঙা সড়ক দিয়ে অসুস্থ মানুষকে, বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ (সওজ) কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, বৃষ্টি শেষ হলে সড়কের এ অংশে সংস্কার করা হবে।