মিতা মিয়াজী, দাউদকান্দি
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ মাস পর আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগষ্ট গৌরীপুর বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামের সুলতান মিয়া(৪০) মারা যায়। তার স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে গত ৩০ জুন দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রিফাত এবং মো. বাবুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ মাস পর আরো একটি হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ মাস পর দায়ের করা মামলায় কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি- তিতাস) আসনের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী আবদুস সবুর,দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী, দাউদকান্দি পৌরসভার সাবেক মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ৩৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। তাছাড়া এ মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত বছরের ৫ আগষ্ট কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সুলতান মিয়া ছাত্রজনতার পক্ষে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
ঐ সময় এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গৌরীপুর বাজারে অবস্থান করে এবং দেশীয় তৈরীসহ অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে আসামীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতারী গুলিবর্ষণ শুরু করে৷ গুলিতে মো. সুলতান মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। আহত সুলতান মিয়েকে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়।অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. সুলতান মিয়া পথেই মারা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত সুলতান মিয়াকে নিয়ে পৌঁছার পর ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুলতান মিয়ার স্বজনদের কাছ থেকে সুলতান মিয়ার লাশ রেখে দেন। গত বছরের ৭ আগষ্ট দুপুরে শাহবাগ থানা পুলিশ সুলতান মিয়ার মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে, সুলতান মিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে তার স্বামী মো. সুৱলতান মিয়া অংশগ্রহন করে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে
ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি কোন রকমে বেঁচে আছেন। মামলা করে বাড়তি খরচ হবে, এমনটা ভেবে ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা করেননি।তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) জুনায়েত চৌধুরী আরো বলেন, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুলতান মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩০ জুন থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে মো. রিফাত ও মো. বাবু হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মো. রিফাত এবং মো. বাবু হত্যা মামলার কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে । অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ মাস পর আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগষ্ট গৌরীপুর বাজারে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের শোলাকান্দি গ্রামের সুলতান মিয়া(৪০) মারা যায়। তার স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে গত ৩০ জুন দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. রিফাত এবং মো. বাবুকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুনায়েত চৌধুরী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১১ মাস পর আরো একটি হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১১ মাস পর দায়ের করা মামলায় কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি- তিতাস) আসনের সাবেক সাংসদ প্রকৌশলী আবদুস সবুর,দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী, দাউদকান্দি পৌরসভার সাবেক মেয়র নাইম ইউসুফ সেইনসহ ৩৮ জনকে আসামী করা হয়েছে। তাছাড়া এ মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে গত বছরের ৫ আগষ্ট কুমিল্লার তিতাস উপজেলার শোলাকান্দি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক সুলতান মিয়া ছাত্রজনতার পক্ষে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর বাজারে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।
ঐ সময় এজাহার নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জন আওয়ামী লীগের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গৌরীপুর বাজারে অবস্থান করে এবং দেশীয় তৈরীসহ অস্ত্রের মহড়া প্রদর্শন করেন। একপর্যায়ে আসামীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রজনতাকে লক্ষ্য করে এলোপাতারী গুলিবর্ষণ শুরু করে৷ গুলিতে মো. সুলতান মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। আহত সুলতান মিয়েকে প্রথমে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা দেওয়া হয়।অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মো. সুলতান মিয়া পথেই মারা যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত সুলতান মিয়াকে নিয়ে পৌঁছার পর ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সুলতান মিয়ার স্বজনদের কাছ থেকে সুলতান মিয়ার লাশ রেখে দেন। গত বছরের ৭ আগষ্ট দুপুরে শাহবাগ থানা পুলিশ সুলতান মিয়ার মরদেহ সুরতহাল প্রতিবেদন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে, সুলতান মিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে তার স্বামী মো. সুৱলতান মিয়া অংশগ্রহন করে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে, পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে
ছেলে-মেয়ে নিয়ে তিনি কোন রকমে বেঁচে আছেন। মামলা করে বাড়তি খরচ হবে, এমনটা ভেবে ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও মামলা করেননি।তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) জুনায়েত চৌধুরী আরো বলেন, গত বছরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে সুলতান মিয়া নামের এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় ৩০ জুন থানায় আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে মো. রিফাত ও মো. বাবু হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। মো. রিফাত এবং মো. বাবু হত্যা মামলার কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে । অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে
কুমিল্লার মুরাদনগরে ‘মব’ সৃষ্টি করে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
১৫ ঘণ্টা আগে