দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজ
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজের একমাত্র ছাত্রীনিবাসে ৩০ বছরেও কোন আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ১৯৯৫ সালে ওই ছাত্রীনিবাস নির্মাণ হয়। তবে ছাত্রাবাসে রয়েছে অব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তাহীনতা, পানি-বিদ্যুৎ সংকট। ভবনটি জরাজীর্ণ ও অরক্ষিত। ১০০ শিক্ষার্থীর ওই ছাত্রাবাসে একসময় গাদাগাদি করে ৩০০ জনের মতো ছাত্র থাকতো। এখন থাকে মাত্র ২২ জন।
ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী মো. সৈকত হোসেন অভি বলেন, ছাত্রাবাসের সামনের রাস্তা ও আশপাশের জায়গা পরিচর্যার অভাবে কাদা পানি জমে ঝোঁপজঙ্গলে ভরে গেছে। ছাত্রাবাসের আশপাশ সংস্কার করা দরকার।
স্নাতক সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো নিরাপত্তাহীনতা। দুর্বল সীমানা প্রাচীর ও প্রহরীর অভাবে বাইরের লোকজন রাতে প্রবেশ করে চুরি ও অশোভন আচরণের ঘটনাও ঘটছে।’
আরেক শিক্ষার্থী ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারি কলেজের ছাত্র, অথচ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। শৌচাগারগুলো নোংরা, দুর্গন্ধে টেকা যায় না। রান্নাঘরে জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের অভাব। বাধ্য হয়ে অনেকে বাইরে হোটেলে খেতে যান।’
দেবীদ্বার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আহসান পারভেজ খোকন বলেন, ‘ছাত্রাবাসের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতে দ্রুত মেরামত, রং, নতুন পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া জরুরি। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। বারবার প্রস্তাব পাঠানো হলেও এখনো অনুমোদন মেলেনি। ছাত্রীনিবাসের বিষয়ে আমরা সভা করে সিদ্ধান্ত নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজটি সরকারি হওয়ায় আমরা অধ্যক্ষ ও এসিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রাবাসটি কীভাবে বাসযোগ্য করা যায়, তা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেব।’
কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ দেবীদ্বার সুজাত আলী সরকারি কলেজের একমাত্র ছাত্রীনিবাসে ৩০ বছরেও কোন আসন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। ১৯৯৫ সালে ওই ছাত্রীনিবাস নির্মাণ হয়। তবে ছাত্রাবাসে রয়েছে অব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তাহীনতা, পানি-বিদ্যুৎ সংকট। ভবনটি জরাজীর্ণ ও অরক্ষিত। ১০০ শিক্ষার্থীর ওই ছাত্রাবাসে একসময় গাদাগাদি করে ৩০০ জনের মতো ছাত্র থাকতো। এখন থাকে মাত্র ২২ জন।
ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থী মো. সৈকত হোসেন অভি বলেন, ছাত্রাবাসের সামনের রাস্তা ও আশপাশের জায়গা পরিচর্যার অভাবে কাদা পানি জমে ঝোঁপজঙ্গলে ভরে গেছে। ছাত্রাবাসের আশপাশ সংস্কার করা দরকার।
স্নাতক সম্মান চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হলো নিরাপত্তাহীনতা। দুর্বল সীমানা প্রাচীর ও প্রহরীর অভাবে বাইরের লোকজন রাতে প্রবেশ করে চুরি ও অশোভন আচরণের ঘটনাও ঘটছে।’
আরেক শিক্ষার্থী ছানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারি কলেজের ছাত্র, অথচ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছি। শৌচাগারগুলো নোংরা, দুর্গন্ধে টেকা যায় না। রান্নাঘরে জ্বালানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের অভাব। বাধ্য হয়ে অনেকে বাইরে হোটেলে খেতে যান।’
দেবীদ্বার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আহসান পারভেজ খোকন বলেন, ‘ছাত্রাবাসের সংস্কার এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পড়াশোনার উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিতে দ্রুত মেরামত, রং, নতুন পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া জরুরি। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না। বারবার প্রস্তাব পাঠানো হলেও এখনো অনুমোদন মেলেনি। ছাত্রীনিবাসের বিষয়ে আমরা সভা করে সিদ্ধান্ত নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজটি সরকারি হওয়ায় আমরা অধ্যক্ষ ও এসিল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনা করে ছাত্রাবাসটি কীভাবে বাসযোগ্য করা যায়, তা দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেব।’