দেবীদ্বার প্রতিনিধি
সারা দেশে একদল উগ্র ধর্মান্ধ মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীর মাজার, দরবার ও খানকা শরীফে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মারধর এমনকি কবর থেকে লাশ তুলে আগুনে পোড়ানোর মতো বর্বরোচিত ঘটনায় ভক্ত-প্রেমীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই প্রভাব পড়েছে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলাতেও, যেখানে উল্লেখযোগ্য প্রায় অর্ধশতাধিক মাজার, দরবার ও খানকা শরীফ রয়েছে।
আজ রোববার দেবীদ্বারের বিভিন্ন দরবার শরীফে গিয়ে ও ভক্ত-প্রেমীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশব্যাপী মাজার-বিরোধী সহিংসতা তাদের চরম ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছে।
রাজামেহার গফুর শাহ মাজারের সভাপতি ও বিশিষ্ট সুফিবাদ গবেষক মো. মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ ফকির- দরবেশ- আউলিয়ার দেশ। বার আউলিয়া চট্টগ্রামে, ৩৬০ আউলিয়া সিলেটে আর কুমিল্লায় ৩০০ আউলিয়াদের অন্যতম বিচরণভূমি। যারা আজ আউলিয়া-বিরোধী, তাদের অস্তিত্বই তখন ছিল না। এরা আসলে ইসলাম-বিরোধী অপশক্তি। তাদের প্রতিহত করতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর আমরা দেবীদ্বারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছি।”
উজানীজোড়া দরবার শরীফের সভাপতি অধ্যাপক মো. মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “দেবীদ্বারে হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর দ্বিতীয় ধাপের শিষ্য হযরত শাহ কামাল (রাঃ) ও শাহ জামাল-এর মাজারসহ বহু ঐতিহাসিক দরবার রয়েছে। সম্প্রতি সারা দেশে মাজার-বিরোধী তৎপরতায় আমরা ভক্তরা আতঙ্কিত।”
সুফিবাদ গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দৌলতশাহ দরবার শরীফের সভাপতি মো. মোবারক হোসেন মুরাদ বলেন, “দেশব্যাপী যেভাবে মৌলবাদী জঙ্গীরা মাজার-বিরোধী তান্ডব চালাচ্ছে, তাতে সুফিবাদীরা আতঙ্কিত। যদিও দেবীদ্বারে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু সারা দেশের বিচ্ছিন্ন হামলাগুলো এখানকার ভক্তদেরও আতঙ্কিত করছে। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ দরগাহ্ মাজার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজবাড়ির নুরাল পাগলার বাড়িতে হামলা ও কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি।”
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “উপজেলার সব মাজার, দরবার ও খানকা শরীফকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সভা-সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে।”
/র
সারা দেশে একদল উগ্র ধর্মান্ধ মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীর মাজার, দরবার ও খানকা শরীফে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মারধর এমনকি কবর থেকে লাশ তুলে আগুনে পোড়ানোর মতো বর্বরোচিত ঘটনায় ভক্ত-প্রেমীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই প্রভাব পড়েছে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলাতেও, যেখানে উল্লেখযোগ্য প্রায় অর্ধশতাধিক মাজার, দরবার ও খানকা শরীফ রয়েছে।
আজ রোববার দেবীদ্বারের বিভিন্ন দরবার শরীফে গিয়ে ও ভক্ত-প্রেমীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশব্যাপী মাজার-বিরোধী সহিংসতা তাদের চরম ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলেছে।
রাজামেহার গফুর শাহ মাজারের সভাপতি ও বিশিষ্ট সুফিবাদ গবেষক মো. মোজাফ্ফর আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশ ফকির- দরবেশ- আউলিয়ার দেশ। বার আউলিয়া চট্টগ্রামে, ৩৬০ আউলিয়া সিলেটে আর কুমিল্লায় ৩০০ আউলিয়াদের অন্যতম বিচরণভূমি। যারা আজ আউলিয়া-বিরোধী, তাদের অস্তিত্বই তখন ছিল না। এরা আসলে ইসলাম-বিরোধী অপশক্তি। তাদের প্রতিহত করতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর আমরা দেবীদ্বারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছি।”
উজানীজোড়া দরবার শরীফের সভাপতি অধ্যাপক মো. মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “দেবীদ্বারে হযরত শাহ জালাল (রঃ)-এর দ্বিতীয় ধাপের শিষ্য হযরত শাহ কামাল (রাঃ) ও শাহ জামাল-এর মাজারসহ বহু ঐতিহাসিক দরবার রয়েছে। সম্প্রতি সারা দেশে মাজার-বিরোধী তৎপরতায় আমরা ভক্তরা আতঙ্কিত।”
সুফিবাদ গবেষণা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দৌলতশাহ দরবার শরীফের সভাপতি মো. মোবারক হোসেন মুরাদ বলেন, “দেশব্যাপী যেভাবে মৌলবাদী জঙ্গীরা মাজার-বিরোধী তান্ডব চালাচ্ছে, তাতে সুফিবাদীরা আতঙ্কিত। যদিও দেবীদ্বারে বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি, কিন্তু সারা দেশের বিচ্ছিন্ন হামলাগুলো এখানকার ভক্তদেরও আতঙ্কিত করছে। আমরা কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। গত শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলাদেশ দরগাহ্ মাজার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে রাজবাড়ির নুরাল পাগলার বাড়িতে হামলা ও কবর থেকে লাশ তুলে পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছি।”
এ বিষয়ে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “উপজেলার সব মাজার, দরবার ও খানকা শরীফকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকা ভিত্তিক তালিকা প্রণয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সভা-সমাবেশের প্রস্তুতি চলছে।”
/র