স্ত্রী,পুত্র,শ্যালকের নিখোঁজের নাটক
৩৫ দিন পর হাত-পা বাঁধা করিমের গলিত লাশ উদ্ধার
এবিএম আতিকুর রহমান বাশার ও আব্দুল আলীম, দেবীদ্বার
কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে করিম ভূঁইয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর শ্বশুর বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার ৩৫ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের গাবুদ্দি সরকার বাড়ির গোমতী নদীর সংযোগ খালের পাড়ে ওই সেফটি ট্যাঙ্কির অবস্থান।
তিনি উপজেলার বড়শালঘর মন্ত্রীপুল সংলগ্ন ভূঁইয়া বাড়ির প্রয়াত কাসেম ভূইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৪০), দুই ছেলে তানজিদ ভূঁইয়া (২২), তৌহিদ ভূঁইয়া (২১), দুই শ্যালক মোজাম্মেল হক (৪২) ও ইসরাফিল (৪০) কে আটক করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ও নিহতের বড় ভাই আমির হোসেনের (৬০) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার কেল্লা শাহ দরবারে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।
ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া ১৬ আগস্ট দেবীদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন । নিখোঁজ ডায়েরির পর আত্মীয় স্বজনের বাড়ি, নিজ এলাকায় এবং আখাউড়া কেল্লা শাহ মাজার এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিং করেও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মো. আমির হোসেনের ফোন নম্বরে একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ভাই করিম ভূঁইয়াকে পেতে আপনার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজলেই পেয়ে যাবেন। আমির হোসেন বিষয়টি বিশ্বাস না করলেও পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে পুলিশকে অবগত করেন। এবং পরে পুলিশসহ নিহতের শ্বশুর বাড়ি এবং আশপাশ এলাকায় খোঁজ খবর নিতে থাকে এক পর্যায়ে গোমতী নদীর সংযোগখালের পাড়ে তাদের নির্মাণাধীন একটি নতুন সেফটি ট্যাঙ্কির ঢাকনা খুলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূইয়ার গলিত লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া আরো জানান, আমার ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহে জড়িত থাকত। নারী নির্যাতন আইনে আমার ভাইকে জেলও খাটিয়েছে। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দুই ছেলে যুক্ত হয়ে রড দিয়ে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করত। ভাইয়ের স্ত্রী গত ১৩ আগস্ট আখাউড়া কেল্লা শাহ মাজারে যাওয়ার কথা বললে, আমি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।
এদিকে নিখোঁজের আড়ালে নিহতের স্ত্রী বড়শালঘর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দপ্তরি তাছলিমা আক্তার (৪০), বড়শালঘর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দুই পুত্র তানজিদ ভূঁইয়া (২২), তৌহিদ ভূঁইয়া (২১), দুই শ্যালক কুয়েত প্রবাসী মোজাম্মেল হক (৪২) ও কৃষক ইসরাফিল (৪০) মিলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে পিটিয়ে হত্যাকরে বাড়ির পাশে নিজেদের সেফটি ট্যাঙ্কিতে গুম করে। তাঁর দুই ছেলে মাদকাসক্ত, তাদের জমি বিক্রি করে বিদেশ পাঠানোর জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দেয়ার চাপ দেয় এবং তাঁর সম্পদগুলো স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়ের নামে লিখে দেয়ার চাপ ছিল।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ঘটনাটি রহস্যাবৃত। নিহত করিম ভূঁইয়ার অনেক সম্পদ ছিল। করিম ভূঁইয়া নেশাগ্রস্থ এবং নারী লোভী ছিলেন। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী, পুত্র, শ্যালক মিলে হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে করিম ভূঁইয়া (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার পর শ্বশুর বাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কিতে ফেলে দেয়। এ ঘটনার ৩৫ দিন পর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত বুধবার ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের গাবুদ্দি সরকার বাড়ির গোমতী নদীর সংযোগ খালের পাড়ে ওই সেফটি ট্যাঙ্কির অবস্থান।
তিনি উপজেলার বড়শালঘর মন্ত্রীপুল সংলগ্ন ভূঁইয়া বাড়ির প্রয়াত কাসেম ভূইয়ার ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।
এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৪০), দুই ছেলে তানজিদ ভূঁইয়া (২২), তৌহিদ ভূঁইয়া (২১), দুই শ্যালক মোজাম্মেল হক (৪২) ও ইসরাফিল (৪০) কে আটক করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় ও নিহতের বড় ভাই আমির হোসেনের (৬০) সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার কেল্লা শাহ দরবারে যাওয়ার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ হন।
ওই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া ১৬ আগস্ট দেবীদ্বার থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন । নিখোঁজ ডায়েরির পর আত্মীয় স্বজনের বাড়ি, নিজ এলাকায় এবং আখাউড়া কেল্লা শাহ মাজার এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিং করেও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মো. আমির হোসেনের ফোন নম্বরে একটি অজ্ঞাতনামা নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলেন, আপনার ভাই করিম ভূঁইয়াকে পেতে আপনার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়ি ও আশপাশের এলাকায় খোঁজলেই পেয়ে যাবেন। আমির হোসেন বিষয়টি বিশ্বাস না করলেও পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলোচনা করে থানায় এসে পুলিশকে অবগত করেন। এবং পরে পুলিশসহ নিহতের শ্বশুর বাড়ি এবং আশপাশ এলাকায় খোঁজ খবর নিতে থাকে এক পর্যায়ে গোমতী নদীর সংযোগখালের পাড়ে তাদের নির্মাণাধীন একটি নতুন সেফটি ট্যাঙ্কির ঢাকনা খুলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় করিম ভূইয়ার গলিত লাশ উদ্ধার করেন।
নিহতের ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া আরো জানান, আমার ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী প্রতিনিয়ত পারিবারিক কলহে জড়িত থাকত। নারী নির্যাতন আইনে আমার ভাইকে জেলও খাটিয়েছে। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দুই ছেলে যুক্ত হয়ে রড দিয়ে, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করত। ভাইয়ের স্ত্রী গত ১৩ আগস্ট আখাউড়া কেল্লা শাহ মাজারে যাওয়ার কথা বললে, আমি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করি।
এদিকে নিখোঁজের আড়ালে নিহতের স্ত্রী বড়শালঘর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দপ্তরি তাছলিমা আক্তার (৪০), বড়শালঘর আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র দুই পুত্র তানজিদ ভূঁইয়া (২২), তৌহিদ ভূঁইয়া (২১), দুই শ্যালক কুয়েত প্রবাসী মোজাম্মেল হক (৪২) ও কৃষক ইসরাফিল (৪০) মিলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে পিটিয়ে হত্যাকরে বাড়ির পাশে নিজেদের সেফটি ট্যাঙ্কিতে গুম করে। তাঁর দুই ছেলে মাদকাসক্ত, তাদের জমি বিক্রি করে বিদেশ পাঠানোর জন্য জমি বিক্রি করে টাকা দেয়ার চাপ দেয় এবং তাঁর সম্পদগুলো স্ত্রী, ২ ছেলে ও এক মেয়ের নামে লিখে দেয়ার চাপ ছিল।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ঘটনাটি রহস্যাবৃত। নিহত করিম ভূঁইয়ার অনেক সম্পদ ছিল। করিম ভূঁইয়া নেশাগ্রস্থ এবং নারী লোভী ছিলেন। এসব কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে স্ত্রী, পুত্র, শ্যালক মিলে হত্যা করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।