লাকড়ি দিয়ে পোড়ানো হচ্ছে ইট
আব্দুল আলীম, দেবীদ্বার

কুমিল্লার জেলার দেবীদ্বার একটি কৃষি স্বনির্ভর উপজেলা। এ উপজেলার ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী কৃষি ও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এ অঞ্চলে ইটভাটার মাটি কেটে ধ্বংস করে দিচ্ছে কৃষি জমিগুলো। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে ওঠেছে ২২টি ইটভাটা। এরই মধ্যে ১৫টি ইটভাটার নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহলকে হাত করেই চলছে ইটভাটার এ অবৈধ ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যোগসাজশে গড়ে ওঠেছে অবৈধ এ ব্রিকস্ ফিল্ডগুলো। আর এ উপজেলায় এতগুলো ইটভাটা গড়ে ওঠার একমাত্র কারণ হচ্ছে গোমতী নদী। খুব সহজে কম দামে জোরপূর্বক ও বলপ্রয়োগ করে গোমতী নদী থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাটি। আর সেই কারণে এ উপজেলায় রমরমা ব্যবসা হিসেবে বেছে নেয় ব্রিকস্ ফিল্ডের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, দেবীদ্বার ২২টি ইটভাটার মধ্যে ১৫ টির পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। তবে অবৈধ ইটভাটাগুলো রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে ইটভাটাগুলোর মালিকানা ও পরিচালনা পরিবর্তন হয়ে যায়। সে কারণে এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
গোমতী নদীর চরের এক বাসিন্দা জানান, দেবীদ্বারের অধিকাংশ ইটভাটা গোমতী নদীর চরের মাটির ওপর নির্ভরশীল। এগুলো গোমতী নদীর আশেপাশেই অবস্থিত। ছলেবলে, জোরপূর্বক, কৌশলে গোমতীর মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটার মাটি সিন্ডিকেট গ্রুপ। আমরা কোনোভাবেই বাধা দিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করতে পারি না। বেশি কিছু বললে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ২৪ এর বন্যার সময় গোমতী বাঁধ ভাঙনের ভয়ে কত আতঙ্কে দিন কাটিয়েছি। কিন্তু তখনই এ নিয়ে জনমনে প্রতিবাদ সৃষ্টি হলেও এখন আর নেই। আবার বন্যা আসলে প্রতিবাদ আসবে, কিন্তু কোনো ফায়দা হয় না। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে দেখছি সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্ষমতাশালী দলের নেতাকর্মীরা ইটভাটার মালিক ও পরিচালক হয়ে যায়। সে কারণে তাদের সাথে আমাদের মতো সাধারণ মানুষগুলো বুঝে উঠতে পারি না। গোমতী চরের ফসলি জমি ও আশেপাশের ফসলি জমির মাটি কেটে ফসলি জমি শেষ করে দিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা।
এ বিষয়ে এইচবিসি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী সবুর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আগে আমাদের পরিবেশের ছাড়পত্র ছিল, তবে বর্তমানে নেই। ফিরে পেতে হাইকোর্ট রিট করেছি।
এ বিষয়ে গোমতী ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী ও ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওলি আহমেদ সওদাগর বলেন, তাহার মালিকানাধীন গোমতী ব্রিকসের পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। তবে যাদের নেই তারা পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, দেবীদ্বারের সকল ইটভাটা বিষয়ে আমরা তথ্য নিচ্ছি। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ফসলি জমি ও গোমতী নদীর মাটি কাটার বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। তাঁরা রাতে মাটি কাটে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

কুমিল্লার জেলার দেবীদ্বার একটি কৃষি স্বনির্ভর উপজেলা। এ উপজেলার ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠী কৃষি ও প্রবাসী আয়ের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে এ অঞ্চলে ইটভাটার মাটি কেটে ধ্বংস করে দিচ্ছে কৃষি জমিগুলো। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই গড়ে ওঠেছে ২২টি ইটভাটা। এরই মধ্যে ১৫টি ইটভাটার নেই পরিবেশের ছাড়পত্র। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একটি প্রভাবশালী মহলকে হাত করেই চলছে ইটভাটার এ অবৈধ ব্যবসা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের যোগসাজশে গড়ে ওঠেছে অবৈধ এ ব্রিকস্ ফিল্ডগুলো। আর এ উপজেলায় এতগুলো ইটভাটা গড়ে ওঠার একমাত্র কারণ হচ্ছে গোমতী নদী। খুব সহজে কম দামে জোরপূর্বক ও বলপ্রয়োগ করে গোমতী নদী থেকে পাওয়া যাচ্ছে মাটি। আর সেই কারণে এ উপজেলায় রমরমা ব্যবসা হিসেবে বেছে নেয় ব্রিকস্ ফিল্ডের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, দেবীদ্বার ২২টি ইটভাটার মধ্যে ১৫ টির পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। তবে অবৈধ ইটভাটাগুলো রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ক্ষমতা বদলের সাথে সাথে ইটভাটাগুলোর মালিকানা ও পরিচালনা পরিবর্তন হয়ে যায়। সে কারণে এগুলোর বিরুদ্ধে কোনো আইনি বা প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় না।
গোমতী নদীর চরের এক বাসিন্দা জানান, দেবীদ্বারের অধিকাংশ ইটভাটা গোমতী নদীর চরের মাটির ওপর নির্ভরশীল। এগুলো গোমতী নদীর আশেপাশেই অবস্থিত। ছলেবলে, জোরপূর্বক, কৌশলে গোমতীর মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটার মাটি সিন্ডিকেট গ্রুপ। আমরা কোনোভাবেই বাধা দিয়ে মাটিকাটা বন্ধ করতে পারি না। বেশি কিছু বললে আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ২৪ এর বন্যার সময় গোমতী বাঁধ ভাঙনের ভয়ে কত আতঙ্কে দিন কাটিয়েছি। কিন্তু তখনই এ নিয়ে জনমনে প্রতিবাদ সৃষ্টি হলেও এখন আর নেই। আবার বন্যা আসলে প্রতিবাদ আসবে, কিন্তু কোনো ফায়দা হয় না। এছাড়া দীর্ঘ সময় ধরে দেখছি সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্ষমতাশালী দলের নেতাকর্মীরা ইটভাটার মালিক ও পরিচালক হয়ে যায়। সে কারণে তাদের সাথে আমাদের মতো সাধারণ মানুষগুলো বুঝে উঠতে পারি না। গোমতী চরের ফসলি জমি ও আশেপাশের ফসলি জমির মাটি কেটে ফসলি জমি শেষ করে দিচ্ছে ইটভাটার মালিকরা।
এ বিষয়ে এইচবিসি ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী সবুর আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আগে আমাদের পরিবেশের ছাড়পত্র ছিল, তবে বর্তমানে নেই। ফিরে পেতে হাইকোর্ট রিট করেছি।
এ বিষয়ে গোমতী ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী ও ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওলি আহমেদ সওদাগর বলেন, তাহার মালিকানাধীন গোমতী ব্রিকসের পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে। তবে যাদের নেই তারা পরিবেশের ছাড়পত্রের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানান, দেবীদ্বারের সকল ইটভাটা বিষয়ে আমরা তথ্য নিচ্ছি। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ফসলি জমি ও গোমতী নদীর মাটি কাটার বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। তাঁরা রাতে মাটি কাটে। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।