এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে গৃহকর্তা করিম ভূঁইয়াকে (৪৫) হত্যা করার দায় আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী মোসা. তাসলিমা বেগম (৪০), শ্যালক মোজাম্মেল হক (৫০), মো. ইসরাফিল (৩৮) এবং মোজাম্মেলের শ্যালক গোলাম হাক্কানী (৩২)। তবে নিহতের দুই পুত্র তানজিদ ভূঁইয়া (১৯) ও তৌহিদ ভূঁইয়া (২১) এ ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ গতকাল রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে তাসলিমা বেগম জানান, তাঁর স্বামী করিম ভূঁইয়া প্রায়ই মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। বিষয়টি ভাইদের জানালে তাঁরা ১৩ আগস্ট করিম ভূঁইয়াকে ডেকে নেন। একপর্যায়ে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে কথা কাটাকাটির সময় মোজাম্মেল হক লাঠি দিয়ে করিম ভূঁইয়ার মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে প্রথমে লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন হাত-পা বেঁধে মোজাম্মেলের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়। দীর্ঘ ৩৫ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল, ইসরাফিল ও হাক্কানীকে আদালত এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। গতকাল রোববার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান আসামি তাসলিমা বেগম জবানবন্দী দিয়ে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে স্ত্রী তাসলিমা, ভাই মোজাম্মেল, ইসরাফিল, শ্যালক হাক্কানীসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
কুমিল্লার দেবীদ্বারে নিখোঁজ নাটক সাজিয়ে গৃহকর্তা করিম ভূঁইয়াকে (৪৫) হত্যা করার দায় আদালতে স্বীকার করেছেন তার স্ত্রী মোসা. তাসলিমা বেগম (৪০), শ্যালক মোজাম্মেল হক (৫০), মো. ইসরাফিল (৩৮) এবং মোজাম্মেলের শ্যালক গোলাম হাক্কানী (৩২)। তবে নিহতের দুই পুত্র তানজিদ ভূঁইয়া (১৯) ও তৌহিদ ভূঁইয়া (২১) এ ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে।
দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ গতকাল রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে তাসলিমা বেগম জানান, তাঁর স্বামী করিম ভূঁইয়া প্রায়ই মাদকাসক্ত হয়ে স্ত্রী-সন্তানদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। বিষয়টি ভাইদের জানালে তাঁরা ১৩ আগস্ট করিম ভূঁইয়াকে ডেকে নেন। একপর্যায়ে বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে কথা কাটাকাটির সময় মোজাম্মেল হক লাঠি দিয়ে করিম ভূঁইয়ার মাথায় আঘাত করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
পরে প্রথমে লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন হাত-পা বেঁধে মোজাম্মেলের বাড়ির সেফটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা হয়। দীর্ঘ ৩৫ দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর হাত-পা বাঁধা গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত মোজাম্মেল, ইসরাফিল ও হাক্কানীকে আদালত এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। গতকাল রোববার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এর আগে গত শুক্রবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রধান আসামি তাসলিমা বেগম জবানবন্দী দিয়ে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা দেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আমির হোসেন ভূঁইয়া বাদী হয়ে স্ত্রী তাসলিমা, ভাই মোজাম্মেল, ইসরাফিল, শ্যালক হাক্কানীসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
নিহত করিম ভূঁইয়া উপজেলার বড়শালঘর গ্রামের আবুল কাশেম ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি গত ১৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন। এ ঘটনায় তাঁর ভাই থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।