• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> কুমিল্লা জেলা
> দেবীদ্বার

জনবল ও চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা বিপর্যয়

দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার
প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৩
logo

জনবল ও চিকিৎসক সংকটে স্বাস্থ্যসেবা বিপর্যয়

এবিএম আতিকুর রহমান বাশার

প্রকাশ : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৩
Photo

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সহস্রাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। শয্যা সংখ্যা ৫০ হলেও অনেক সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে যায়। তাঁদের ফ্লোরে দরজার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে দেখা যায়। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর বড় অংশই এই সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট ২২ চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৯৫ জনসহ মোট ২১৭ পদের জনবল অনুমোদিত। এর মধ্যে ১৩ চিকিৎসক এবং ৫৩ জন অন্যান্য কর্মচারীর পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে ৬৬টি পদ খালি।

চিকিৎসকদের ৬টি পদ শূন্য, আরও ৭ জন প্রেষণে থাকায় ১৩ জন চিকিৎসকই কার্যত অনুপস্থিত। বাকি ৮-৯ জন চিকিৎসকের মধ্যেও জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত রাত্রিকালীন সেবাদানের পরদিন ওই চিকিৎসক ছুটিতে থাকেন, ট্রেনিং, অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে আরো ৩-৪ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকেন। ফলে বাকি ৪-৫ জন চিকিৎসককেই জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোরের শত শত রোগীর চিকিৎসা সামলাতে হয়। এ কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

অপরদিকে জুনিয়র কনসালটেন্টের ১০ পদের মধ্যে ৭টি শূন্য। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, চর্ম ও যৌনরোগ, অর্থোপেডিকস, ইএনটি, চক্ষু বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় চিকিৎসক না থাকায় বিশেষায়িত সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও অ্যানেস্থেশিয়া ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটারের কাজ প্রায় অচল হয়ে আছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তদবির করে প্রেষণে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চলে গেলেও ওই পদ খালি দেখানো হয় না বা বিপরীতে আর কোনো চিকিৎসক আসারও সুযোগ থাকে না।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও ব্যাপক সংকট বিরাজ করছে। মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ এসব পদেই রয়েছে শূন্যতা। ফলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থার পেছনে আরেকটি বড় সমস্যা হলো দালালচক্র ও ওষুধ কোম্পানির প্রভাব। উপজেলা সদরজুড়ে থাকা ৩৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দালালরা দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফুঁসলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়। সেখানে অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করে মুনাফা হাসিল করা হয়।

এছাড়া হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালকদের চাপে কার্যত ব্যবহার বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে স্বল্প আয়ের, দরিদ্র ও মুমূর্ষু রোগীরা সময়মতো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে না পারায় বিপাকে পড়ছেন। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবেও স্বাস্থ্যসেবার মান দিন দিন নিচের দিকে নামছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জনবল পূরণ হলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। তবে প্রেষণে যাওয়া ৮ চিকিৎসকের বিপরীতে চিকিৎসক না পাওয়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎস না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

Thumbnail image

কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক ও জনবল সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

৫০ শয্যার এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন বহির্বিভাগ ও জরুরি বিভাগে সহস্রাধিক রোগী সেবা নিতে আসেন। শয্যা সংখ্যা ৫০ হলেও অনেক সময় ভর্তি রোগীর সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে যায়। তাঁদের ফ্লোরে দরজার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখতে দেখা যায়। দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর বড় অংশই এই সরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মোট ২২ চিকিৎসক এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১৯৫ জনসহ মোট ২১৭ পদের জনবল অনুমোদিত। এর মধ্যে ১৩ চিকিৎসক এবং ৫৩ জন অন্যান্য কর্মচারীর পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে ৬৬টি পদ খালি।

চিকিৎসকদের ৬টি পদ শূন্য, আরও ৭ জন প্রেষণে থাকায় ১৩ জন চিকিৎসকই কার্যত অনুপস্থিত। বাকি ৮-৯ জন চিকিৎসকের মধ্যেও জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত রাত্রিকালীন সেবাদানের পরদিন ওই চিকিৎসক ছুটিতে থাকেন, ট্রেনিং, অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে আরো ৩-৪ জন চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকেন। ফলে বাকি ৪-৫ জন চিকিৎসককেই জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ ও ইনডোরের শত শত রোগীর চিকিৎসা সামলাতে হয়। এ কারণে রোগীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন।

অপরদিকে জুনিয়র কনসালটেন্টের ১০ পদের মধ্যে ৭টি শূন্য। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, চর্ম ও যৌনরোগ, অর্থোপেডিকস, ইএনটি, চক্ষু বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোয় চিকিৎসক না থাকায় বিশেষায়িত সেবা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও অ্যানেস্থেশিয়া ডাক্তার না থাকায় অপারেশন থিয়েটারের কাজ প্রায় অচল হয়ে আছে। জনগুরুত্বপূর্ণ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তদবির করে প্রেষণে ঢাকাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চলে গেলেও ওই পদ খালি দেখানো হয় না বা বিপরীতে আর কোনো চিকিৎসক আসারও সুযোগ থাকে না।

তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যেও ব্যাপক সংকট বিরাজ করছে। মিডওয়াইফ, ফার্মাসিস্ট, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, স্বাস্থ্য সহকারী, অফিস সহকারী, পরিচ্ছন্ন কর্মীসহ এসব পদেই রয়েছে শূন্যতা। ফলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি হাসপাতালের দুরবস্থার পেছনে আরেকটি বড় সমস্যা হলো দালালচক্র ও ওষুধ কোম্পানির প্রভাব। উপজেলা সদরজুড়ে থাকা ৩৭টি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দালালরা দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীদের ফুঁসলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যায়। সেখানে অখ্যাত কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রাইব করে মুনাফা হাসিল করা হয়।

এছাড়া হাসপাতালের একমাত্র অ্যাম্বুলেন্সটি স্থানীয় প্রাইভেট হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সচালকদের চাপে কার্যত ব্যবহার বন্ধ রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে স্বল্প আয়ের, দরিদ্র ও মুমূর্ষু রোগীরা সময়মতো উন্নত চিকিৎসা কেন্দ্রে নিতে না পারায় বিপাকে পড়ছেন। চিকিৎসক সংকটের পাশাপাশি ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী ও যন্ত্রপাতির অভাবেও স্বাস্থ্যসেবার মান দিন দিন নিচের দিকে নামছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মহিবুস সালাম খান বলেন, চিকিৎসক ও জনবল সংকটের বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। জনবল পূরণ হলে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে। তবে প্রেষণে যাওয়া ৮ চিকিৎসকের বিপরীতে চিকিৎসক না পাওয়ায় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎস না থাকায় রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

বগুড়ার এসপি হলেন বরুড়ার শাহাদাত

২

বিএনপি নেতা কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

৩

চান্দিনায় ৩০টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

৪

লটারিতে কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

৫

মনোহরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ - ২০২৫ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী উদ্বোধ ও আলোচনা সভা

সম্পর্কিত

বগুড়ার এসপি হলেন বরুড়ার শাহাদাত

বগুড়ার এসপি হলেন বরুড়ার শাহাদাত

৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপি নেতা কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

বিএনপি নেতা কায়কোবাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ

৭ ঘণ্টা আগে
চান্দিনায় ৩০টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

চান্দিনায় ৩০টি স্টলে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী

৮ ঘণ্টা আগে
লটারিতে কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

লটারিতে কুমিল্লার নতুন পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান

১১ ঘণ্টা আগে