কুমিল্লা-২ ( হোমনা ও তিতাস) আসন
নিজস্ব প্রতিবেদক

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে কোনভাবেই মানতে নারাজ বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস প্রকৌশলী এম এ মতিন খান ও হোমনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আজিজুর রহমান মোল্লা। তাঁরা সেলিম ভূঁইয়াকে ‘বহিরাগত’ প্রার্থী দাবি করে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন। মতিন ও আজিজ দুইজনই এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে বিএনপি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেয়।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর কুমিল্লা জেলার ১১ টি আসনের মধ্যে নয়টি আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করে। একমাস পর ৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা-২ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। কুমিল্লা-৭ ( চান্দিনা) আসনটি এখনও ফাঁকা। এখানে বিএনপি কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ( এলডিপি)। এলডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের জন্য আসনটি খালি রাখা হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিলুপ্ত কুমিল্লা-২ ( হোমনা ও মেঘনা) আসনে গণসংযোগ করেছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ বছর নতুন করে সীমানা পুনর্বিন্যাস করায় মেঘনা উপজেলাকে কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দি উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। কুমিল্লা-১ ( দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মোশাররফকে কুমিল্লা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায়, দল কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম ভূঁইয়াকে কুমিল্লা-২ আসনে মনোনয়ন দিল। অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া নির্বাচন উপলক্ষে হোমনা উপজেলার ছয়ফুল্লাহকান্দি এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেন।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সবার বাড়িতে গেছি। দলে অনেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন। কিন্তু দল আমাকে দিয়েছে। আসুন সবাই মিলে ধানের শীষের জন্য কাজ করি। তফসিল ঘোষণার আগেই সবাই এককাট্টা হবেন। ইতিমধ্যে একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি তিতাস উপজেলায়।
সেলিম ভূঁইয়া বলেন,‘ আমাকে যাঁরা বহিরাগত বলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, আগে তো হোমনা ও মেঘনা নিয়ে কুমিল্লা-২ আসন ছিল। এখন মেঘনা আলাদা হয়েছে। কিন্তু হোমনা তো রয়েছে। হোমনায় আমার বাড়ি আছে। আমি মোটেই বহিরাগত নই।’
মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমি দলের বাইরে যাব না।’
হোমনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোল্লার বাড়ি হোমনা পৌরসভার শ্রীমর্দ্দি এলাকায়। তিনি হোমনা সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। হোমনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
জানতে চাইলে এডভোকেট মো. আজিজুর রহমান মোল্লা বলেন,‘ আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, তখন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত । সেলিম ভূঁইয়া আমাদের এলাকার নন। তিনি কুমিল্লা-১ নির্বাচনী এলাকার মানুষ। হোমনার মানুষ বাইরের লোককে ভোট দেয় না। আমার বিশ্বাস, জনগণের বিশ্বাস এই মনোনয়ন পরিবর্তন হবে। হোমনার মানুষ গর্জে উঠবে। হানড্রেড পারসেন্ট বিশ্বাস আমাকে দিলে বিএনপি এই আসনে পাস করবে। সামনের নির্বাচনে জনগণকে নিয়ে আমি মাঠে আছি। মাঠে থাকব। হোমনার মানুষ উপযুক্ত লোককে ভোট দেবে। তাঁরা এই মনোনয়ন মানে না। ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান করে। এবারও করব।’
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস প্রকৌশলী এম এ মতিন খান সরকারের উপসচিব ছিলেন। তিনি সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অবসরে যান। তাঁর বাড়ি তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে। তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। গত শনিবার রাতে বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া এপিএস মতিন খানের বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁকে বাড়িতে পাননি।
প্রকৌশলী এম এ মতিন খান বলেন, আমি বহিরাগত প্রার্থী মানি না। আমি নির্বাচন করব।

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে কোনভাবেই মানতে নারাজ বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস প্রকৌশলী এম এ মতিন খান ও হোমনা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট মো. আজিজুর রহমান মোল্লা। তাঁরা সেলিম ভূঁইয়াকে ‘বহিরাগত’ প্রার্থী দাবি করে প্রকাশ্যেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন। মতিন ও আজিজ দুইজনই এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ধাপে বিএনপি অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়াকে দলীয় মনোনয়ন দেয়।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর কুমিল্লা জেলার ১১ টি আসনের মধ্যে নয়টি আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করে। একমাস পর ৪ ডিসেম্বর কুমিল্লা-২ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। কুমিল্লা-৭ ( চান্দিনা) আসনটি এখনও ফাঁকা। এখানে বিএনপি কোন প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিএনপি জোটের অন্যতম শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ( এলডিপি)। এলডিপির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদের জন্য আসনটি খালি রাখা হয়েছে বলে জনশ্রুতি আছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংগঠনিক রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি বিলুপ্ত কুমিল্লা-২ ( হোমনা ও মেঘনা) আসনে গণসংযোগ করেছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায়। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এ বছর নতুন করে সীমানা পুনর্বিন্যাস করায় মেঘনা উপজেলাকে কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দি উপজেলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। কুমিল্লা-১ ( দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনে বিএনপির প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মোশাররফকে কুমিল্লা-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায়, দল কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম ভূঁইয়াকে কুমিল্লা-২ আসনে মনোনয়ন দিল। অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া নির্বাচন উপলক্ষে হোমনা উপজেলার ছয়ফুল্লাহকান্দি এলাকায় জায়গা কিনে বাড়ি করেন।
অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সবার বাড়িতে গেছি। দলে অনেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন। কিন্তু দল আমাকে দিয়েছে। আসুন সবাই মিলে ধানের শীষের জন্য কাজ করি। তফসিল ঘোষণার আগেই সবাই এককাট্টা হবেন। ইতিমধ্যে একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার আমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি তিতাস উপজেলায়।
সেলিম ভূঁইয়া বলেন,‘ আমাকে যাঁরা বহিরাগত বলছেন, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলি, আগে তো হোমনা ও মেঘনা নিয়ে কুমিল্লা-২ আসন ছিল। এখন মেঘনা আলাদা হয়েছে। কিন্তু হোমনা তো রয়েছে। হোমনায় আমার বাড়ি আছে। আমি মোটেই বহিরাগত নই।’
মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘আমি দলের বাইরে যাব না।’
হোমনা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোল্লার বাড়ি হোমনা পৌরসভার শ্রীমর্দ্দি এলাকায়। তিনি হোমনা সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। হোমনা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন।
জানতে চাইলে এডভোকেট মো. আজিজুর রহমান মোল্লা বলেন,‘ আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়ি, তখন থেকেই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত । সেলিম ভূঁইয়া আমাদের এলাকার নন। তিনি কুমিল্লা-১ নির্বাচনী এলাকার মানুষ। হোমনার মানুষ বাইরের লোককে ভোট দেয় না। আমার বিশ্বাস, জনগণের বিশ্বাস এই মনোনয়ন পরিবর্তন হবে। হোমনার মানুষ গর্জে উঠবে। হানড্রেড পারসেন্ট বিশ্বাস আমাকে দিলে বিএনপি এই আসনে পাস করবে। সামনের নির্বাচনে জনগণকে নিয়ে আমি মাঠে আছি। মাঠে থাকব। হোমনার মানুষ উপযুক্ত লোককে ভোট দেবে। তাঁরা এই মনোনয়ন মানে না। ২০১৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান করে। এবারও করব।’
বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক এপিএস প্রকৌশলী এম এ মতিন খান সরকারের উপসচিব ছিলেন। তিনি সর্বশেষ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অবসরে যান। তাঁর বাড়ি তিতাস উপজেলার মাছিমপুর গ্রামে। তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। গত শনিবার রাতে বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়া এপিএস মতিন খানের বাড়িতে যান। কিন্তু তাঁকে বাড়িতে পাননি।
প্রকৌশলী এম এ মতিন খান বলেন, আমি বহিরাগত প্রার্থী মানি না। আমি নির্বাচন করব।