নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার ইতিহাসে প্রথম নারী ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা। কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার ১৮টি থানার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারীকে অফিসার ইন চার্জ (ওসি) হিসেবে পদায়ন করা হলো।
২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তিনি লাকসাম থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পান। এর মধ্য দিয়ে এক নতুন মাইলফলক গড়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কুমিল্লার লাকসাম থানায় দায়িত্ব নেওয়া নাজনীন সুলতানার ওসি হিসেবে নিয়োগ শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং কুমিল্লা জেলা পুলিশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীরের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছরের বেশি সময়েও কোনো নারী ওসি পদে আসেননি। নাজনীন প্রথম, যিনি এই ধারাকে ভেঙে সামনে এলেন।
নাজনীন সুলতানা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মেয়ে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং এলএলবি সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন এবং ফেনী থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে পরিদর্শক এবং ২০১৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ ছিল তাঁর কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বর্তমানে তিনি লাকসাম থানার ৪০তম ওসি এবং প্রথম নারী হিসেবে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজের দায়িত্ব নিয়ে ওসি নাজনীন বলেন, আমি সবসময় চেয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ওসি হওয়ার স্বপ্নটা বরাবরই লালন করেছি। মানুষ ও দল নয়—সঠিক কাজটাই করেছি। থানায় কেউ এলে তাঁর সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনে ব্যবস্থা নিই।”
চাকরিতে আসার গল্পটাও আকর্ষণীয়। ভাইয়ের উৎসাহে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চাকরিতে আবেদন করেন, সেই সুযোগেই পুলিশে ঢোকা। বর্তমানে স্বামীও পুলিশে কর্মরত এবং তাঁদের একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন জানিয়েছেন, ওসি নাজনীন এরই মধ্যে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও থানায় নারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
কুমিল্লায় প্রথম নারী ওসি হিসেবে নাজনীন সুলতানার দায়িত্ব গ্রহণ শুধু প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, সামাজিক অগ্রগতির প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নিঃস্বার্থ কর্মদক্ষতা ও সাহসিকতায় অনেক নারীই অনুপ্রাণিত হবেন—এটাই জেলার নাগরিকদের প্রত্যাশা।
কুমিল্লার ইতিহাসে প্রথম নারী ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন নাজনীন সুলতানা। কুমিল্লার ১৭টি উপজেলার ১৮টি থানার ইতিহাসে এই প্রথম কোনো নারীকে অফিসার ইন চার্জ (ওসি) হিসেবে পদায়ন করা হলো।
২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর তিনি লাকসাম থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পান। এর মধ্য দিয়ে এক নতুন মাইলফলক গড়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
কুমিল্লার লাকসাম থানায় দায়িত্ব নেওয়া নাজনীন সুলতানার ওসি হিসেবে নিয়োগ শুধু তাঁর ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং কুমিল্লা জেলা পুলিশের জন্য একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। ইতিহাসবিদ আহসানুল কবীরের তথ্য অনুযায়ী, কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছরের বেশি সময়েও কোনো নারী ওসি পদে আসেননি। নাজনীন প্রথম, যিনি এই ধারাকে ভেঙে সামনে এলেন।
নাজনীন সুলতানা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের মেয়ে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং এলএলবি সম্পন্ন করেন। ২০০৭ সালে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন এবং ফেনী থেকে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৬ সালে পরিদর্শক এবং ২০১৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ ছিল তাঁর কর্মজীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বর্তমানে তিনি লাকসাম থানার ৪০তম ওসি এবং প্রথম নারী হিসেবে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
নিজের দায়িত্ব নিয়ে ওসি নাজনীন বলেন, আমি সবসময় চেয়েছি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। ওসি হওয়ার স্বপ্নটা বরাবরই লালন করেছি। মানুষ ও দল নয়—সঠিক কাজটাই করেছি। থানায় কেউ এলে তাঁর সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শুনে ব্যবস্থা নিই।”
চাকরিতে আসার গল্পটাও আকর্ষণীয়। ভাইয়ের উৎসাহে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চাকরিতে আবেদন করেন, সেই সুযোগেই পুলিশে ঢোকা। বর্তমানে স্বামীও পুলিশে কর্মরত এবং তাঁদের একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন জানিয়েছেন, ওসি নাজনীন এরই মধ্যে দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও থানায় নারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”
কুমিল্লায় প্রথম নারী ওসি হিসেবে নাজনীন সুলতানার দায়িত্ব গ্রহণ শুধু প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, সামাজিক অগ্রগতির প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে। তাঁর নিঃস্বার্থ কর্মদক্ষতা ও সাহসিকতায় অনেক নারীই অনুপ্রাণিত হবেন—এটাই জেলার নাগরিকদের প্রত্যাশা।