লাকসাম প্রতিনিধি

লাকসামে এশিয়ার প্রথম মহিয়সী নারী জমিদার ও সমাজসেবিকা নবাব ফয়জুন্নেছার সম্পত্তি ঘিরে দালালচক্রের তৎপরতা প্রতিরোধ এবং তার সম্পত্তি রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে লাকসাম নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গতকাল রোববার দুপুরে লাকসাম পৌর শহরে জহুরা মার্কেটের দ্বিতীয় তালায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ইদ্রিস মজুমদার, জেলা শাহজাহান মজুমদার, উপজেলা সভাপতি কামাল মিয়া ও শিহাব উদ্দিন আইমন।
সম্মেলনে নারী নবাব ফয়জুন্নেছার সম্পত্তির চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লাকসাম নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আবুল কালাম বিপু। তিনি বলেন,উপমহাদেশের প্রথম নারী নবাবের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় একটি দালালচক্র সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীও এই চক্রের সহায়তায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ১৮৩৪ সালে লাকসামের পশ্চিমগাঁওয়ে জন্ম নেওয়া নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী নবাব, যিনি শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তার রেখে যাওয়া জমিদারি সম্পত্তির মালিকানা ঘিরে নানা অনিয়ম, ভুয়া দলিল ও লুটপাটের অভিযোগে স্থানীয় জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বৈধ মালিকানার দলিল ও ঐতিহাসিক নথি উপেক্ষা করে সম্পত্তি সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রকৃত মালিকদের অধিকার পুনর্বহালেরও আহ্বান জানান।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বৃটিশ সরকার সকল সম্পত্তি তাদের দখলে নেওয়ার পর ইসি নং-৫৪৮, ইসি নং-৫৪৭ ও ইসি নং-৫৪৬ রেফারেন্সের ওপর ভিত্তি করে বৃটিশ সরকার ১৯৩৪ সালে বঙ্গীয় ওয়াকফ আইনের ৪৪ ধারায় ওয়াকফ তালিকা করে দেন তৎকালীন বৃটিশ কমিশনার সাহেব বাহাদুর ভরাভ রেজু মোহাম্মদ। ওয়াকফ শ্রেণি ছাবি লিল্লায় ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ও বদরুন্নেচ্ছা চৌধুরানীর নাম রয়েছে। বদরুন্নেছা চৌধুরানী হতে ওয়াকফ উল আওলাদ সূত্রে সৈয়দ শাহ আজহারুল হক একাধিক দাগে অনেক সম্পত্তির মালিক।
অপরদিকে ২০২০ সালে ওয়াকফ পরিদর্শকের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ওইসব দাগের সম্পত্তিগুলো ওয়াকফ প্রমাণিত না হওয়ায় ২০২০ সালের ৩ অক্টবরে নোটিশ প্রত্যাহারসহ সকল কার্যক্রম বৈধ কাগজপত্র মালিকরা ওই সম্পত্তি ভোগদখল করিবে বলে জানায়। ১৯৬২ এর ৫০ ধারা মতে ওই দাগের সম্পত্তিগুলো মূলত বৈধ মালিকানা কার? প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।

লাকসামে এশিয়ার প্রথম মহিয়সী নারী জমিদার ও সমাজসেবিকা নবাব ফয়জুন্নেছার সম্পত্তি ঘিরে দালালচক্রের তৎপরতা প্রতিরোধ এবং তার সম্পত্তি রক্ষার্থে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে লাকসাম নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
গতকাল রোববার দুপুরে লাকসাম পৌর শহরে জহুরা মার্কেটের দ্বিতীয় তালায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ-সময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান ইদ্রিস মজুমদার, জেলা শাহজাহান মজুমদার, উপজেলা সভাপতি কামাল মিয়া ও শিহাব উদ্দিন আইমন।
সম্মেলনে নারী নবাব ফয়জুন্নেছার সম্পত্তির চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লাকসাম নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি আবুল কালাম বিপু। তিনি বলেন,উপমহাদেশের প্রথম নারী নবাবের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় একটি দালালচক্র সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরে ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে সম্পত্তি দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এমনকি ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারীও এই চক্রের সহায়তায় জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও জানান, ১৮৩৪ সালে লাকসামের পশ্চিমগাঁওয়ে জন্ম নেওয়া নবাব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী নবাব, যিনি শিক্ষা, সাহিত্য ও সমাজ সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তার রেখে যাওয়া জমিদারি সম্পত্তির মালিকানা ঘিরে নানা অনিয়ম, ভুয়া দলিল ও লুটপাটের অভিযোগে স্থানীয় জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বৈধ মালিকানার দলিল ও ঐতিহাসিক নথি উপেক্ষা করে সম্পত্তি সরকারি গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে স্বচ্ছ তদন্ত ও প্রকৃত মালিকদের অধিকার পুনর্বহালেরও আহ্বান জানান।
স্থানীয় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বৃটিশ সরকার সকল সম্পত্তি তাদের দখলে নেওয়ার পর ইসি নং-৫৪৮, ইসি নং-৫৪৭ ও ইসি নং-৫৪৬ রেফারেন্সের ওপর ভিত্তি করে বৃটিশ সরকার ১৯৩৪ সালে বঙ্গীয় ওয়াকফ আইনের ৪৪ ধারায় ওয়াকফ তালিকা করে দেন তৎকালীন বৃটিশ কমিশনার সাহেব বাহাদুর ভরাভ রেজু মোহাম্মদ। ওয়াকফ শ্রেণি ছাবি লিল্লায় ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ও বদরুন্নেচ্ছা চৌধুরানীর নাম রয়েছে। বদরুন্নেছা চৌধুরানী হতে ওয়াকফ উল আওলাদ সূত্রে সৈয়দ শাহ আজহারুল হক একাধিক দাগে অনেক সম্পত্তির মালিক।
অপরদিকে ২০২০ সালে ওয়াকফ পরিদর্শকের কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ওইসব দাগের সম্পত্তিগুলো ওয়াকফ প্রমাণিত না হওয়ায় ২০২০ সালের ৩ অক্টবরে নোটিশ প্রত্যাহারসহ সকল কার্যক্রম বৈধ কাগজপত্র মালিকরা ওই সম্পত্তি ভোগদখল করিবে বলে জানায়। ১৯৬২ এর ৫০ ধারা মতে ওই দাগের সম্পত্তিগুলো মূলত বৈধ মালিকানা কার? প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান তিনি।