মুরাদনগর প্রতিনিধি
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়কসহ মুরাদনগর উপজেলার সদরের আল্লাহু চত্বর থেকে রামচন্দপুর সড়ক,হোমনা সড়কে, মুরাদনগর থানা বেড়িবাঁধ ও কোম্পানিগঞ্জ বেড়িবাঁধ এবং দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি থেকে ফুলগাছতলা পর্যন্ত প্রায় সময় সড়কে বর্তমানে চালক ও যাত্রীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। এ অংশে খানাখন্দে বেহাল অবস্থার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে। একদিকে যানজট,অন্যদিকে রাস্তার কাদা-পানি ও ধুলোবালি সব মিলিয়ে যাত্রী ও চালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
এ মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট বিভাগের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। বিকল্প সড়কের দূরত্ব বেশি হওয়ায় মুরাদনগর,তিতাস, হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবীদ্বারসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর মানুষও এ রাস্তায় নির্ভরশীল। কিন্তু গত তিন মাস ধরে সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহনও আটকা পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা। সচেতন মহলের দাবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বেড়িবাঁধ থেকে দেবিদ্বার উপজেলা ভিংলাবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে পান্নারপুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটে অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। ভিংলাবাড়ি ও দেবিদ্বার নিউমার্কেট থেকে ফুলগাছতলা পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে এ অংশ দিয়ে যান চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) মাঝে মাঝে ইট ও বালি ফেলে প্রাথমিক সংস্কারের চেষ্টা করলেও তা সমস্যার সমাধান করছে না। বরং এসব অস্থায়ী সংস্কার কাজ লোক দেখানো মনে করছেন স্থানীয়রা।
ট্রাকচালক আবুল হাশেম বলেন, সপ্তাহে অন্তত একদিন সিলেট থেকে পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে এ পথে যাই। এখানে আসলেই ভয় লাগে যেন যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে যেতে পারে।
বাসচালক মোহাম্মদ জাকির বলেন, আগে মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা যেতে এক ঘণ্টা লাগত, এখন লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। রাস্তার অবস্থা এমন বেহাল, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
আকলিমা আক্তার নামে কুমিল্লা থেকে আসা এক যাত্রী জানান, সকালে বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে কুমিল্লা যাচ্ছিলাম, কিন্তু যানজটে আটকে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার না দেখিয়েই ফিরতে হয়েছে। যানজটে পড়ে এক কিলোমিটার হেঁটে মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ আসতে হয়েছে।
সড়ক ও জনপথের কুমিল্লা জেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা রাস্তাটির ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামত করেছি।তবে এ রাস্তাটি বর্তমানে আর মেরামতের যোগ্য না। আমরা রাস্তাটির এস্টিমেট তৈরি করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। আশা করছি রাস্তাটির কাজে টেন্ডার চলে আসবে ।
কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহা-সড়কসহ মুরাদনগর উপজেলার সদরের আল্লাহু চত্বর থেকে রামচন্দপুর সড়ক,হোমনা সড়কে, মুরাদনগর থানা বেড়িবাঁধ ও কোম্পানিগঞ্জ বেড়িবাঁধ এবং দেবীদ্বার উপজেলার ভিংলাবাড়ি থেকে ফুলগাছতলা পর্যন্ত প্রায় সময় সড়কে বর্তমানে চালক ও যাত্রীদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে উঠেছে। এ অংশে খানাখন্দে বেহাল অবস্থার কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকে। একদিকে যানজট,অন্যদিকে রাস্তার কাদা-পানি ও ধুলোবালি সব মিলিয়ে যাত্রী ও চালকদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।
এ মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সিলেট বিভাগের অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। বিকল্প সড়কের দূরত্ব বেশি হওয়ায় মুরাদনগর,তিতাস, হোমনা, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবীদ্বারসহ আশপাশের উপজেলাগুলোর মানুষও এ রাস্তায় নির্ভরশীল। কিন্তু গত তিন মাস ধরে সড়কটি মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পরিবহনও আটকা পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা। সচেতন মহলের দাবি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি যেন দ্রুত সংস্কার করে যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করা হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বেড়িবাঁধ থেকে দেবিদ্বার উপজেলা ভিংলাবাড়ি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে পান্নারপুল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানজটে অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন। ভিংলাবাড়ি ও দেবিদ্বার নিউমার্কেট থেকে ফুলগাছতলা পর্যন্ত সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ফলে এ অংশ দিয়ে যান চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) মাঝে মাঝে ইট ও বালি ফেলে প্রাথমিক সংস্কারের চেষ্টা করলেও তা সমস্যার সমাধান করছে না। বরং এসব অস্থায়ী সংস্কার কাজ লোক দেখানো মনে করছেন স্থানীয়রা।
ট্রাকচালক আবুল হাশেম বলেন, সপ্তাহে অন্তত একদিন সিলেট থেকে পাথরবোঝাই ট্রাক নিয়ে এ পথে যাই। এখানে আসলেই ভয় লাগে যেন যেকোনো সময় গাড়ি উল্টে যেতে পারে।
বাসচালক মোহাম্মদ জাকির বলেন, আগে মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ থেকে কুমিল্লা যেতে এক ঘণ্টা লাগত, এখন লাগে আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। রাস্তার অবস্থা এমন বেহাল, যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
আকলিমা আক্তার নামে কুমিল্লা থেকে আসা এক যাত্রী জানান, সকালে বাচ্চাকে ডাক্তার দেখাতে কুমিল্লা যাচ্ছিলাম, কিন্তু যানজটে আটকে নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত ডাক্তার না দেখিয়েই ফিরতে হয়েছে। যানজটে পড়ে এক কিলোমিটার হেঁটে মুরাদনগর কোম্পানীগঞ্জ আসতে হয়েছে।
সড়ক ও জনপথের কুমিল্লা জেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, আমাদের নিজস্ব জনবল দ্বারা রাস্তাটির ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলো মেরামত করেছি।তবে এ রাস্তাটি বর্তমানে আর মেরামতের যোগ্য না। আমরা রাস্তাটির এস্টিমেট তৈরি করেছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করেছি। আশা করছি রাস্তাটির কাজে টেন্ডার চলে আসবে ।