নিজস্ব প্রতিবেদক

মুরাদনগরের সাঈদ আহমেদকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহত সাঈদের স্বজন ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা বাজার জামে মসজিদের সামনে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা। বাড়িতে অবস্থানকালে এই মসজিদেই তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন। দারোরা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সাঈদ আহমেদের সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিচার দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

একই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় দারোরা বাজার দীনেশ হাইস্কুলের গেইটে জড়ো হন এলাকাবাসী। মানববন্ধনের ব্যানারের এক পাশে নিহত সাঈদ আহমেদের ছবি, আরেক পাশে হত্যাকারী রায়হানের ছবি সাঁটিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সর্বোচ্চ বিচার না পেলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি মেম্বার জহিরুল হকের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ড এবং লাশ গুমের সাথে জড়িত বাকি আসামিদের ধরতে না পারা রহস্যজনক। দারোরা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, সাঈদ ভাই খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। তিনি সর্বস্ব হারিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত হত্যকাণ্ডের শিকারও হয়েছেন। আমরা সবাই এই ঘটনায় শোকাহত। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং আত্মসাৎকৃত ৭৬ লাখ টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের চর দড়ি কুষ্টিয়া নামাপাড়া সংলগ্ন মন্নাছের গুদারঘাটের পাশে একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ ভেসে থাকার খবর পায় ময়মনসিংহ পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে বংশাল থানায় সাঈদ আহমেদ নিখোঁজের জিডির তথ্য পায় ময়মনসিংহের কোতায়ালি থানা পুলিশ। এই সূত্র ধরে মুরাদনগরের সাঈদ আহমেদ হত্যাকাণ্ডের তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনার বিবরণ, ডিএনও রিপোর্ট, মরদেহ উদ্ধারের পর সংগৃহীত ছবি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিই সাঈদ আহমেদ। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় হাজির হয়ে সন্দেহভাজন আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সন্দেহজনক বক্তব্য দেওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে নিজে ও তাঁর ভাইয়ের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নিহতের ছোট ভাইয়ের ছেলে মাহদী হাসান সুমন জানান, আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। আমার মেজ আব্বার হত্যাকারীদের চরম শাস্তি চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম ফকির বলেন, আসামিরা ঢাকার ভাড়া বাসায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে সাঈদ আহমেদকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে ফেলে দেন। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পাওনা টাকা ফেরত না দিতে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তিনি বলেন, প্রধান আসামি আবু রায়হানকে দেখে যে কেউ ধোঁকা খেতে পারেন। তাঁর ব্যবহার বেশভূষা দেখে সন্দেহ করার অবকাশ নেই। তিনিই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

মুরাদনগরের সাঈদ আহমেদকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের শিকার নিহত সাঈদের স্বজন ও এলাকার সর্বস্তরের জনগণ হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার দারোরা বাজার জামে মসজিদের সামনে জড়ো হন বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা। বাড়িতে অবস্থানকালে এই মসজিদেই তিনি নিয়মিত নামাজ পড়তেন। দারোরা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সাঈদ আহমেদের সরলতার সুযোগ নিয়ে টাকা আত্মসাৎ ও নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ এবং দোষীদের বিচার দাবিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ মানববন্ধনে অংশ নেন।

একই দিন বিকেল সাড়ে চারটায় দারোরা বাজার দীনেশ হাইস্কুলের গেইটে জড়ো হন এলাকাবাসী। মানববন্ধনের ব্যানারের এক পাশে নিহত সাঈদ আহমেদের ছবি, আরেক পাশে হত্যাকারী রায়হানের ছবি সাঁটিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা সর্বোচ্চ বিচার না পেলে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি মেম্বার জহিরুল হকের ভাষ্য, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই হত্যাকাণ্ড এবং লাশ গুমের সাথে জড়িত বাকি আসামিদের ধরতে না পারা রহস্যজনক। দারোরা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আমির হোসেন বলেন, সাঈদ ভাই খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। তিনি সর্বস্ব হারিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত হত্যকাণ্ডের শিকারও হয়েছেন। আমরা সবাই এই ঘটনায় শোকাহত। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং আত্মসাৎকৃত ৭৬ লাখ টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থাও করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রের চর দড়ি কুষ্টিয়া নামাপাড়া সংলগ্ন মন্নাছের গুদারঘাটের পাশে একটি অজ্ঞাত মৃতদেহ ভেসে থাকার খবর পায় ময়মনসিংহ পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে বংশাল থানায় সাঈদ আহমেদ নিখোঁজের জিডির তথ্য পায় ময়মনসিংহের কোতায়ালি থানা পুলিশ। এই সূত্র ধরে মুরাদনগরের সাঈদ আহমেদ হত্যাকাণ্ডের তথ্য বেরিয়ে আসে। ঘটনার বিবরণ, ডিএনও রিপোর্ট, মরদেহ উদ্ধারের পর সংগৃহীত ছবি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিই সাঈদ আহমেদ। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় হাজির হয়ে সন্দেহভাজন আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সন্দেহজনক বক্তব্য দেওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে নিজে ও তাঁর ভাইয়ের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নিহতের ছোট ভাইয়ের ছেলে মাহদী হাসান সুমন জানান, আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। আমার মেজ আব্বার হত্যাকারীদের চরম শাস্তি চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম ফকির বলেন, আসামিরা ঢাকার ভাড়া বাসায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে সাঈদ আহমেদকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে ফেলে দেন। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পাওনা টাকা ফেরত না দিতে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তিনি বলেন, প্রধান আসামি আবু রায়হানকে দেখে যে কেউ ধোঁকা খেতে পারেন। তাঁর ব্যবহার বেশভূষা দেখে সন্দেহ করার অবকাশ নেই। তিনিই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।