নিজস্ব প্রতিবেদক

নিখোঁজের পর ময়নমনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদে কুমিল্লার মো. সাঈদ আহমেদের (৫৭) মরদেহ পাওয়া গেছে। গত ২২ অক্টোবর পুরান ঢাকার বংশালের আগামাসি লেনের নিজ বাড়ি থেকে কুমিল্লার মুরাদনগরের দারোরায় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর ২৭ অক্টোবর ব্রহ্মপুত্র নদে তাঁর মরদেহটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাঁরা হলেন- ঢাকার বঙ্গবাজার জামে মসজিদের সাবেক খতিব ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার নিমতলী গ্রামের মো. আবু রায়হান ও রায়হানের ভাই মো. ইয়াছিন। গত ৩১ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকার বংশালে সাঈদ আহমেদের বাড়ি ও দোকান আছে। বাড়ি ও দোকান ভাড়া দিয়ে তিনি সংসার চালান। রায়হানের সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে সুসস্পর্ক হয় সাঈদের। রায়হানের ব্যবহার খুবই চমৎকার ছিল। যার কারণে তাঁকে সহজে বিশ্বাস করেন সাঈদ। সম্পর্কের কারণে ধাপে ধাপে রায়হানকে ৭৫ লাখ টাকা ধার দেন তিনি। কিন্তু রায়হান ওই টাকা পরিশোধ না করে গড়িমসি করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেবেন বলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসায় দাওয়াত করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের দিন গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে যাচ্ছেন বলে বের হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সবাই সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাঁখুঁজি করেন। এমনকি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত খতিব আবু রায়হানের সঙ্গেও কথা বলেন। ২৪ অক্টোবর বংশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাঈদ আহমেদের ছেলে মো. সজিব। ২৭ অক্টোবর ৯৯৯-এ কলের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের কোতায়ালি থানাধীন চর দড়িকুষ্টিয়া নামাপাড়া সংলগ্ন মন্নাছের গুদারঘাটের পাশে একটি মৃতদেহ ভেসে থাকার খবর পায় পুলিশ। এরপর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারের পর সুরতহাল করে। সিআইডির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য প্রথমে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। পরিচয় না পেয়ে দাঁত ও চুল সংগ্রহ করে সিআইডি। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার আলামত সংগ্রহ করে মরদেহটি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশেনের ভাটি কাশর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে বংশাল থানায় জিডির তথ্য পায় ময়মনসিংহের কোতায়ালি থানা পুলিশ। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য সাঈদ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। ঘটনার বিবরণ, ডিএনও রিপোর্ট, মরদেহ উদ্ধারের পর সংগৃহীত ছবি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিই সাঈদ আহমেদ। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় হাজির হয়ে সন্দেহভাজন খতিব আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য দেন। একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে নিজে ও তাঁর ভাইয়ের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নিহতের ছোট ভাইয়ের ছেলে মাহদী হাসান সুমন জানান, আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। আমার মেজ আব্বার হত্যাকারীদের চরম শাস্তি চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম ফকির বলেন, আসামিরা ঢাকার ভাড়া বাসায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে সাঈদ আহমেদকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে ফেলে দেন। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পাওনা টাকা ফেরত না দিতে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তিনি বলেন, প্রধান আসামি আবু রায়হানকে দেখে যে কেউ ধোঁকা খেতে পারেন। তাঁর ব্যবহার বেশভূষা দেখে সন্দেহ করার অবকাশ নেই। তিনিই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

নিখোঁজের পর ময়নমনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদে কুমিল্লার মো. সাঈদ আহমেদের (৫৭) মরদেহ পাওয়া গেছে। গত ২২ অক্টোবর পুরান ঢাকার বংশালের আগামাসি লেনের নিজ বাড়ি থেকে কুমিল্লার মুরাদনগরের দারোরায় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর ২৭ অক্টোবর ব্রহ্মপুত্র নদে তাঁর মরদেহটি পাওয়া যায়। এ ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তাঁরা হলেন- ঢাকার বঙ্গবাজার জামে মসজিদের সাবেক খতিব ও ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার নিমতলী গ্রামের মো. আবু রায়হান ও রায়হানের ভাই মো. ইয়াছিন। গত ৩১ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, ঢাকার বংশালে সাঈদ আহমেদের বাড়ি ও দোকান আছে। বাড়ি ও দোকান ভাড়া দিয়ে তিনি সংসার চালান। রায়হানের সঙ্গে মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়ে সুসস্পর্ক হয় সাঈদের। রায়হানের ব্যবহার খুবই চমৎকার ছিল। যার কারণে তাঁকে সহজে বিশ্বাস করেন সাঈদ। সম্পর্কের কারণে ধাপে ধাপে রায়হানকে ৭৫ লাখ টাকা ধার দেন তিনি। কিন্তু রায়হান ওই টাকা পরিশোধ না করে গড়িমসি করতে থাকেন। একপর্যায়ে টাকা ফেরত দেবেন বলে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাড়া বাসায় দাওয়াত করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজের দিন গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে যাচ্ছেন বলে বের হয়ে যান তিনি। এরপর থেকে তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের সবাই সম্ভাব্য সকল স্থানে খোজাঁখুঁজি করেন। এমনকি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত খতিব আবু রায়হানের সঙ্গেও কথা বলেন। ২৪ অক্টোবর বংশাল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাঈদ আহমেদের ছেলে মো. সজিব। ২৭ অক্টোবর ৯৯৯-এ কলের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্রের কোতায়ালি থানাধীন চর দড়িকুষ্টিয়া নামাপাড়া সংলগ্ন মন্নাছের গুদারঘাটের পাশে একটি মৃতদেহ ভেসে থাকার খবর পায় পুলিশ। এরপর পুলিশ মরদেহটি উদ্ধারের পর সুরতহাল করে। সিআইডির মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের জন্য প্রথমে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হয়। পরিচয় না পেয়ে দাঁত ও চুল সংগ্রহ করে সিআইডি। এরপর ডিএনএ পরীক্ষার আলামত সংগ্রহ করে মরদেহটি ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশেনের ভাটি কাশর কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে। এরই মধ্যে বংশাল থানায় জিডির তথ্য পায় ময়মনসিংহের কোতায়ালি থানা পুলিশ। ঘটনার বিস্তারিত জানার জন্য সাঈদ আহমেদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। ঘটনার বিবরণ, ডিএনও রিপোর্ট, মরদেহ উদ্ধারের পর সংগৃহীত ছবি দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিটিই সাঈদ আহমেদ। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ঢাকায় হাজির হয়ে সন্দেহভাজন খতিব আবু রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন তথ্য দেন। একপর্যায়ে হত্যাকাণ্ডে নিজে ও তাঁর ভাইয়ের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন তিনি।
নিহতের ছোট ভাইয়ের ছেলে মাহদী হাসান সুমন জানান, আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। আমার মেজ আব্বার হত্যাকারীদের চরম শাস্তি চাই।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মাহবুব আলম ফকির বলেন, আসামিরা ঢাকার ভাড়া বাসায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে সাঈদ আহমেদকে হত্যা করেন। এরপর মরদেহটি গাড়িতে করে ময়মনসিংহের বিদ্যাগঞ্জ ঘাট এলাকায় নদীতে ফেলে দেন। আসামিরা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। পাওনা টাকা ফেরত না দিতে তাঁরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
তিনি বলেন, প্রধান আসামি আবু রায়হানকে দেখে যে কেউ ধোঁকা খেতে পারেন। তাঁর ব্যবহার বেশভূষা দেখে সন্দেহ করার অবকাশ নেই। তিনিই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।