মুরাদনগরে পাশবিক নির্যাতন
নিজস্ব প্রতিবেদক
চড় মারায় বড় ভাই ফজর আলীর ওপর প্রতিশোধ নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুরাদনগরের সমালোচিত ঘটনায় ভুক্তভোগী সেই নারীর ভিডিও ছড়ান শাহপরান।
র্যাব ১১ অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য দেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার কাওরান বাজারে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, শাহপরান কে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কাবিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ওই নারীকে দুইভাই ফজর আলী ও শাহপরান দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ হয়। হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরপর গ্রামে সালিস হয়। এতে ফজর আলী তাঁর ভাইকে চড় মারেন। এতে ক্ষুব্ধ হন শাহপরান। এর জের নিতে তিনি অপেক্ষায় থাকেন।
ফজর আলী সুদ ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে সুদে ৫০ হাজার টাকা নেন ওই নারীর মা। সুদের টাকা আনার অজুহাত দেখিয়ে ২৬ জুন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ওই বাড়িতে যান ফজর আলী। তখন ওই নারীর মা বাবা ঘরে ছিলেন না। এক পর্যায়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে শাহপরান অন্তত আট দশ জনকে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীকে প্রথমে শ্লীলতাহানি ও পরে শারীরিক নির্যাতন করেন। তখন শাহপরান ভিডিও করেন। তিনি বিবস্ত্র নারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। নির্যাতনের সময় উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম। শাহপরান ও কালামের সঙ্গে ফজর আলীর শত্রুতা। এটা এলাকার সবাই জানেন। দুইজনে আগ থেকেই পরামর্শ করে প্রস্তুত ছিলেন ফজর আলীকে যেকোনভাবে অপদস্ত করবেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাহপরান, কালাম, আরিফ, রমজান, অনিক ও সুমনসহ কয়েকজন নারীকে নির্যাতনে অংশ নেন। ওই ঘটনা ঘটিয়ে শাহপরান ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় ২৭ জুন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শাহপরানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁকে মুরাদনগর থানায় পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ কুমিল্লায় এসে বলেছিলেন,নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করবে কুইক রেসপন্স দল। তাঁর ওই বক্তব্যের পরই র্যাব গ্রেপ্তার করে শাহপরান কে। এর আগে ফজর আলীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হন। তাঁরা রিমান্ডে আছেন।
চড় মারায় বড় ভাই ফজর আলীর ওপর প্রতিশোধ নিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুরাদনগরের সমালোচিত ঘটনায় ভুক্তভোগী সেই নারীর ভিডিও ছড়ান শাহপরান।
র্যাব ১১ অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন এসব তথ্য দেন।
আজ শুক্রবার ঢাকার কাওরান বাজারে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, শাহপরান কে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কাবিলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ওই নারীকে দুইভাই ফজর আলী ও শাহপরান দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ হয়। হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনাও ঘটে। এরপর গ্রামে সালিস হয়। এতে ফজর আলী তাঁর ভাইকে চড় মারেন। এতে ক্ষুব্ধ হন শাহপরান। এর জের নিতে তিনি অপেক্ষায় থাকেন।
ফজর আলী সুদ ব্যবসায়ী। তাঁর কাছ থেকে সুদে ৫০ হাজার টাকা নেন ওই নারীর মা। সুদের টাকা আনার অজুহাত দেখিয়ে ২৬ জুন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ওই বাড়িতে যান ফজর আলী। তখন ওই নারীর মা বাবা ঘরে ছিলেন না। এক পর্যায়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে শাহপরান অন্তত আট দশ জনকে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ওই নারীকে প্রথমে শ্লীলতাহানি ও পরে শারীরিক নির্যাতন করেন। তখন শাহপরান ভিডিও করেন। তিনি বিবস্ত্র নারীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। নির্যাতনের সময় উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম। শাহপরান ও কালামের সঙ্গে ফজর আলীর শত্রুতা। এটা এলাকার সবাই জানেন। দুইজনে আগ থেকেই পরামর্শ করে প্রস্তুত ছিলেন ফজর আলীকে যেকোনভাবে অপদস্ত করবেন। পূর্বপরিকল্পিতভাবে শাহপরান, কালাম, আরিফ, রমজান, অনিক ও সুমনসহ কয়েকজন নারীকে নির্যাতনে অংশ নেন। ওই ঘটনা ঘটিয়ে শাহপরান ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান।
এই ঘটনায় ২৭ জুন ভুক্তভোগী নারী মুরাদনগর থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় শাহপরানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁকে মুরাদনগর থানায় পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ কুমিল্লায় এসে বলেছিলেন,নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করবে কুইক রেসপন্স দল। তাঁর ওই বক্তব্যের পরই র্যাব গ্রেপ্তার করে শাহপরান কে। এর আগে ফজর আলীসহ পাঁচজন গ্রেপ্তার হন। তাঁরা রিমান্ডে আছেন।