নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি

২০২৪ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ সোলাইমানের (৩৮) শরীরের বিভিন্নস্থানে এখনো কয়েকটি গুলি রয়েছে। গত প্রায় দেড় বছরেও শরীরের বিভিন্নস্থানের একাধিক গুলি থাকায় গুলির যন্ত্রণায় তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সোলাইমান কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার গোত্রশাল গ্রামের প্রয়াত আবদুল লতিফের ছেলে।
সোলাইমান জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে ওই সময় সোলাইমানসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রজনতা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার নয়া পল্টন ভিআইপি সড়কের মসজিদ গলি এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আওয়ামী লীগের ক্যাডারবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে অন্তত ১০-১২জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের গুলি থেকে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরাও রক্ষা পায়নি। মসজিদের মুসল্লিরা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে সোলাইমানের সাথে রাব্বানি নামে একজনও গুলিবিদ্ধ হয়। অন্য একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। অন্যদের সাথে সোলাইমানও হাত এবং পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে সোলাইমানের হাত ও পিঠ রক্তে ভেসে যায়। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা সোলাইমানকেও উদ্ধার করে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতাল আনোয়ার খাঁন মর্ডান হাসপাতাল ও আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোন হাসপাতাল তাকে চিকিৎসা দেয়নি।
পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে রাত প্রায় ১১টার দিকে সোলাইমানকে ঢাকার নয়া পল্টনের ইসলামী ব্যাংক স্পেশালাইজড এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার শরীর থেকে ৭-৮টি গুলি বের করেন। পরে ঢাকার নিজ বাসায় দুইদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর একদিন রাতের অন্ধকারে সোলাইমান দেশের বাড়ি নাঙ্গলকোটের গোত্রশাল চলে আসেন। বাড়ি এসে নাঙ্গলকোটের বেসরকারি পদ্মা হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. মো. রকিবুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। ডা. রকিবুল হাসানও সোলাইমানের শরীর থেকে একাধিক গুলি বের করেন।
সোলাইমান আরো জানান, তার ডান হাতে এখনো একটি গুলি রয়েছে। গুলির যন্ত্রণায় তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ডান হাতে গুলি থাকায় তিনি স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। ডান হাতে গুলি থাকায় তার কাছে মনে হচ্ছে হাতের মধ্যে রড ঢুকে রয়েছে।
ছাত্রজনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশ এগিয়ে গেলেও গত প্রায় দেড় বছরেও সোলাইমান জুলাই যোদ্ধাহতের তালিকায় নাম উঠাতে পারেননি বলে জানান। তিনি জুলাই যুদ্ধাহতদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।

২০২৪ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে গুলিবিদ্ধ সোলাইমানের (৩৮) শরীরের বিভিন্নস্থানে এখনো কয়েকটি গুলি রয়েছে। গত প্রায় দেড় বছরেও শরীরের বিভিন্নস্থানের একাধিক গুলি থাকায় গুলির যন্ত্রণায় তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সোলাইমান কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার গোত্রশাল গ্রামের প্রয়াত আবদুল লতিফের ছেলে।
সোলাইমান জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৮টার দিকে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতার আন্দোলন যখন তুঙ্গে ওই সময় সোলাইমানসহ অর্ধশতাধিক ছাত্রজনতা সরকার বিরোধী আন্দোলনে ঢাকার নয়া পল্টন ভিআইপি সড়কের মসজিদ গলি এলাকায় জড়ো হন। এ সময় আওয়ামী লীগের ক্যাডারবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিতভাবে গুলি চালায়। তাদের গুলিতে অন্তত ১০-১২জন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের গুলি থেকে মসজিদের সাধারণ মুসল্লিরাও রক্ষা পায়নি। মসজিদের মুসল্লিরা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে সোলাইমানের সাথে রাব্বানি নামে একজনও গুলিবিদ্ধ হয়। অন্য একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। অন্যদের সাথে সোলাইমানও হাত এবং পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। গুলিতে সোলাইমানের হাত ও পিঠ রক্তে ভেসে যায়। স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। স্থানীয় জনতা সোলাইমানকেও উদ্ধার করে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতাল আনোয়ার খাঁন মর্ডান হাসপাতাল ও আজগর আলী হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কোন হাসপাতাল তাকে চিকিৎসা দেয়নি।
পরে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে রাত প্রায় ১১টার দিকে সোলাইমানকে ঢাকার নয়া পল্টনের ইসলামী ব্যাংক স্পেশালাইজড এন্ড জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার শরীর থেকে ৭-৮টি গুলি বের করেন। পরে ঢাকার নিজ বাসায় দুইদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর একদিন রাতের অন্ধকারে সোলাইমান দেশের বাড়ি নাঙ্গলকোটের গোত্রশাল চলে আসেন। বাড়ি এসে নাঙ্গলকোটের বেসরকারি পদ্মা হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. মো. রকিবুল হাসানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেন। ডা. রকিবুল হাসানও সোলাইমানের শরীর থেকে একাধিক গুলি বের করেন।
সোলাইমান আরো জানান, তার ডান হাতে এখনো একটি গুলি রয়েছে। গুলির যন্ত্রণায় তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ডান হাতে গুলি থাকায় তিনি স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারছেন না। ডান হাতে গুলি থাকায় তার কাছে মনে হচ্ছে হাতের মধ্যে রড ঢুকে রয়েছে।
ছাত্রজনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে অন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে দেশ এগিয়ে গেলেও গত প্রায় দেড় বছরেও সোলাইমান জুলাই যোদ্ধাহতের তালিকায় নাম উঠাতে পারেননি বলে জানান। তিনি জুলাই যুদ্ধাহতদের তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।