ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে আট হাট, দুই লাখের বেশি পশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
Thumbnail image

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুমিল্লায় জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট। জেলার ১৭টি উপজেলায় এবার বসছে ৪০১টি হাট। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বসেছে আটটি বড় হাট।

সড়কপথে বসা হাটগুলোর মধ্যে দাউদকান্দিতে ২টি, চান্দিনায় ২টি, সদর দক্ষিণে ২টি, বুড়িচংয়ে ১টি এবং চৌদ্দগ্রামে ১টি হাট রয়েছে। তবে এবার ঐতিহ্যবাহী নিমসার বাজারে পশুর হাট বসছে না। কেউ সিডিউল না নেওয়ায় বাজারটি এ বছর বসছে না বলে জানান স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ১ লাখ ৯১ হাজার গরু, ছাগল ৫৬ হাজার ৯৪০, ভেড়া ১১ হাজার ৮০৫, মহিষ ৬০৮ এবং অন্যান্য ৩১৭টি পশু। জেলার চাহিদার তুলনায় ২৩ হাজার ১৬৬টি পশু বেশি থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তবে এখনো আশানুরূপ বেচাকেনা শুরু হয়নি বলে জানালেন খামারিরা। তাদের আশা, আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে হাটে জমে উঠবে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দার বলেন, ৩৬ হাজার খামারি এবার পশু প্রস্তুত করেছেন। স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত পশু অন্যান্য জেলায় পাঠানো যাবে। প্রতিটি হাটে মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।

খামারিরা বলছেন, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় লালন-পালনের খরচ বেড়েছে। বুড়িচং উপজেলার শাহাদাত মিয়া বলেন, তিনটি গরু প্রস্তুত করেছি। খরচ অনেক বেশি হওয়ায় লাভ ছাড়া বিক্রি করব না।

চৌদ্দগ্রামের রফিকুল হক জানান, বাড়িতে লালন করা গরুর চাহিদা বেশি। তবে দাম অনেক বেশি চাচ্ছেন খামারিরা।

ভারতীয় গরু প্রবেশের আশঙ্কা নিয়ে শঙ্কিত খামারিরা। তবে বিজিবির ১০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মীর আলী এজাজ বলেন, জিরো টলারেন্স নীতিতে সীমান্তে টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভারতীয় গরু ঢোকার সুযোগ নেই।

জেলা প্রশাসন হাটগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, জাল টাকা শনাক্তকরণ, ব্যাংক বুথ ও সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, চাঁদাবাজি ও হয়রানি ঠেকাতে এবারও কড়া নজরদারি থাকবে। প্রতিটি হাটকেন্দ্রিক কন্ট্রোল রুম, গোয়েন্দা নজরদারি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার জানান, মহাসড়কে অবৈধভাবে কোনও হাট বসতে দেওয়া হবে না। পশুবাহী যানবাহন যেন কোনোভাবেই বাধার মুখে না পড়ে, সে বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সম্পর্কিত