• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> মতামত

এই সময়ে স্মরণ

নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ফারিয়া লারা

আমার শহর ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৫৭
আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৪০
logo

নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ফারিয়া লারা

আমার শহর ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১৩: ৫৭
Photo

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ফারিয়া হোসেন লারা বাংলাদেশের একজন নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক। তিনি ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় নিহত হন। এয়ার পারাবতের একটি বিমানে আগুন লেগে তার বিমান বিধ্বস্ত হয়। ঢাকার পোস্তগোলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে তিনি নিহত হন। একই বিমান দুর্ঘটনাতে কো-পাইলট সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিহত হন। বিধ্বস্থ বিমানটি সেসনা-১৫০ প্রকৃতির ছিল।

১৯৭০ সালের ১৬ এপ্রিল রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে ফারিহা লারার জন্ম।

মা প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

বাবা বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান।

ফারিহা লারা উদয়ন বিদ্যালয়, হলিক্রস কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৯২ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন। কিছুদিন সাপ্তাহিক সময় পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে। ছিলেন ভালো বিতার্কিকও। ১৯৭৮ সালে কোরিয়ান চিলড্রেন সেন্টার৷

১৯৭৯ সালে ফিলিপস বাংলাদেশ পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে নিপ্পন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পান। এছাড়া ১৯৮৪ সালে ভারতের শঙ্কর আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ১৯৭৮ সালের নতুনকুঁড়ি প্রতিযোগিতায় ছবি আঁকা ও উপস্থিত বক্তৃতায় পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৯৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর লারা সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রাইভেট পাইলটের লাইসেন্স অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালের ১৯ মার্চ লারা বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স লাভ করেন। এরপরই তিনি পাইলটদের প্রশিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট প্রশিক্ষক। পাইলট হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পঞ্চাশ ঘন্টার এই প্রশিক্ষণের শেষ দিনটিতে ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ সালে বিমান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন।

১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার পর পোস্তগোলা এলাকায় সেসনা-১৫০ বিমানের কো পাইলট সহ তিনি নিহত হন।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তাঁর ফেসবুকে লেখেন,

'আমার ছোটবেলার বন্ধু ফারিয়া লারা। আজ তোকে অনেক মনে পড়ছে বন্ধু। কত মজার মজার আনন্দ আর গল্প আছে আমাদের। সেই নতুন কুঁড়ি,টেলিভিশন প্রোগ্রাম ,শহীদ মতিয়ুর পুরস্কার প্রতিযোগিতা, আড্ডা!

ফারিয়া লারার কথা অনেকেই ভুলে গেছেন হয়তো। ৯০ দশকে যারা আছেন,ছিলেন তারা চিনবেন।

লারা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট প্রশিক্ষক।

১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার পোস্তগোলায় একটি সেসনা ১৫০ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান এই মহিলা পাইলট।

প্রশিক্ষক বৈমানিক হতে আর মাত্র তিন মিনিট বাকি ছিল তাঁর। মেধাবী ফারিয়া লারা ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের মেয়ে এবং অমার বন্ধু Lazeena Muna এর বোন।

প্লেন থেকে তাঁর শেষ বার্তা ছিল, 'পৃথিবীতে আমি আর কয়েকমিনিট বেঁচে আছি'।

তাঁকে নিয়ে লেখা লারা বইটা সেলিনা আন্টি আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন বানানোর জন্যে। কিন্ত আমার হয়ে ওঠেনি।

মাইলষ্টোন স্কুল এন্ড কলেজ এন্ড কলেজের সকল শিক্ষক, মা বাবা আর সোনামনিদের জন্যে প্রার্থনা, দোয়া।আর কী করার আছে?

লারা তোকে অনেক অনেক মনে পড়ছে বন্ধু। পরপাড়ে ভালো থাকিস। আমরাও আসছি তোর কাছে খুব শিগগিরই। '

বিমান থেকে পাঠানো জরুরি বার্তাকে বলা হয় 'মে ডে কল'। বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ার কিছুক্ষণ আগে লারা নিয়ন্ত্রণকক্ষকে মে ডে জানিয়েছিলেন।

( উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া তথ্য অবলম্বনে)

Thumbnail image

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী ফারিয়া হোসেন লারা বাংলাদেশের একজন নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ছিলেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক। তিনি ১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর প্রশিক্ষণ উড্ডয়নের সময় নিহত হন। এয়ার পারাবতের একটি বিমানে আগুন লেগে তার বিমান বিধ্বস্ত হয়। ঢাকার পোস্তগোলায় বিমানটি বিধ্বস্ত হলে তিনি নিহত হন। একই বিমান দুর্ঘটনাতে কো-পাইলট সৈয়দ রফিকুল ইসলাম নিহত হন। বিধ্বস্থ বিমানটি সেসনা-১৫০ প্রকৃতির ছিল।

১৯৭০ সালের ১৬ এপ্রিল রাত ১২ টা ৪০ মিনিটে ফারিহা লারার জন্ম।

মা প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।

বাবা বাংলাদেশ বিমানের সাবেক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান।

ফারিহা লারা উদয়ন বিদ্যালয়, হলিক্রস কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৯২ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ও ১৯৯৪ সালে স্নাতকোত্তর পাস করেন। কিছুদিন সাপ্তাহিক সময় পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে। ছিলেন ভালো বিতার্কিকও। ১৯৭৮ সালে কোরিয়ান চিলড্রেন সেন্টার৷

১৯৭৯ সালে ফিলিপস বাংলাদেশ পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে নিপ্পন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় স্বর্ণপদক পান। এছাড়া ১৯৮৪ সালে ভারতের শঙ্কর আন্তর্জাতিক পুরস্কার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ১৯৭৮ সালের নতুনকুঁড়ি প্রতিযোগিতায় ছবি আঁকা ও উপস্থিত বক্তৃতায় পুরস্কার লাভ করেন।

১৯৯৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর লারা সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অফ বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রাইভেট পাইলটের লাইসেন্স অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালের ১৯ মার্চ লারা বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স লাভ করেন। এরপরই তিনি পাইলটদের প্রশিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট প্রশিক্ষক। পাইলট হতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি উড্ডয়নের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। পঞ্চাশ ঘন্টার এই প্রশিক্ষণের শেষ দিনটিতে ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ সালে বিমান দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন।

১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বরিশাল থেকে ঢাকায় ফেরার পর পোস্তগোলা এলাকায় সেসনা-১৫০ বিমানের কো পাইলট সহ তিনি নিহত হন।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনার পর নাট্য নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী তাঁর ফেসবুকে লেখেন,

'আমার ছোটবেলার বন্ধু ফারিয়া লারা। আজ তোকে অনেক মনে পড়ছে বন্ধু। কত মজার মজার আনন্দ আর গল্প আছে আমাদের। সেই নতুন কুঁড়ি,টেলিভিশন প্রোগ্রাম ,শহীদ মতিয়ুর পুরস্কার প্রতিযোগিতা, আড্ডা!

ফারিয়া লারার কথা অনেকেই ভুলে গেছেন হয়তো। ৯০ দশকে যারা আছেন,ছিলেন তারা চিনবেন।

লারা ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট প্রশিক্ষক।

১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার পোস্তগোলায় একটি সেসনা ১৫০ বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান এই মহিলা পাইলট।

প্রশিক্ষক বৈমানিক হতে আর মাত্র তিন মিনিট বাকি ছিল তাঁর। মেধাবী ফারিয়া লারা ছিলেন কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের মেয়ে এবং অমার বন্ধু Lazeena Muna এর বোন।

প্লেন থেকে তাঁর শেষ বার্তা ছিল, 'পৃথিবীতে আমি আর কয়েকমিনিট বেঁচে আছি'।

তাঁকে নিয়ে লেখা লারা বইটা সেলিনা আন্টি আমাকে অনুমতি দিয়েছিলেন বানানোর জন্যে। কিন্ত আমার হয়ে ওঠেনি।

মাইলষ্টোন স্কুল এন্ড কলেজ এন্ড কলেজের সকল শিক্ষক, মা বাবা আর সোনামনিদের জন্যে প্রার্থনা, দোয়া।আর কী করার আছে?

লারা তোকে অনেক অনেক মনে পড়ছে বন্ধু। পরপাড়ে ভালো থাকিস। আমরাও আসছি তোর কাছে খুব শিগগিরই। '

বিমান থেকে পাঠানো জরুরি বার্তাকে বলা হয় 'মে ডে কল'। বিমানটি দুর্ঘটনায় পড়ার কিছুক্ষণ আগে লারা নিয়ন্ত্রণকক্ষকে মে ডে জানিয়েছিলেন।

( উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া তথ্য অবলম্বনে)

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

গরমে শিশুর রোগবালাই

২

নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ফারিয়া লারা

৩

জাতির আকাশে আগুন, শিশুর খাতায় ছাই...

৪

আইনশৃঙ্খলা ও দুদক সামলানো জরুরি

৫

জুলাই ডায়েরি

সম্পর্কিত

গরমে শিশুর রোগবালাই

গরমে শিশুর রোগবালাই

৬ দিন আগে
জাতির আকাশে আগুন, শিশুর খাতায় ছাই...

জাতির আকাশে আগুন, শিশুর খাতায় ছাই...

১১ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা ও দুদক সামলানো জরুরি

আইনশৃঙ্খলা ও দুদক সামলানো জরুরি

১৫ দিন আগে
জুলাই ডায়েরি

জুলাই ডায়েরি

১৯ দিন আগে