সম্পাদকীয়

মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু দুর্ঘটনা কমছে না। থামছে না সড়ক-মহাসড়কে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এখন যেন কোনো খবরই নয়! অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব দুর্ঘটনার ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না। সড়ক দুর্ঘটনায় কুকুর-শিয়ালের মৃত্যু হলে যতটা শোরগোল হয়, তার ছিটেফোঁটাও হয় না মানুষের মৃত্যুতে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হবে-এটাই তো স্বাভাবিক। কাজেই এ নিয়ে কথা বলার তো কিছুই দেখি না। প্রতিটি মৃত্যুর দায়ভার সরকার কিংবা গণপরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলে এমনিতেই কমে যাবে দুর্ঘটনার পরিমাণ।
৮২টি সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫৪টি দুর্ঘটনার কারণ মালবাহী ট্রাক ও লরি। অর্থাৎ মোট দুর্ঘটনার ৬৫ দশমিক ৮৫ শতাংশের কারণ এসব ভারী যানবাহন। এর মধ্যে ২৫টি দুর্ঘটনা ছিল ট্রাক ও লরির সংঘর্ষ। এসব দুর্ঘটনায় ১৪ জন চালক ও সহকারী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে আরও ২৯টি। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ জন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে মিরসরাই অংশে একের পর এক প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারী যানবাহনের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপিত করা, বিশেষত ট্রকিুলরির গতিসীমা নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বহুমুখী টার্নে দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনভিজ্ঞতা, বেপরোয়া গতি, আইন ভঙ্গের অভ্যাস ও সামনের গাড়িকে অতিক্রম করার প্রয়াস; আমাদের দেশের অধিকাংশ গাড়ি চালকের মধ্যে আছে। আর এসব কারণেই সহজে ঘটে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার বড়ো একটি কারণ হলো আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখবার জন্য দেশে আইন আছে ঠিকই, আইনের প্রয়োগ নেই। এর জন্য পুলিশের অনীহা বেশি দায়ী। বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ব্যতীত সড়কের আইন অমান্য করার শাস্তিগুলো পুলিশ অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমেই সমাধান করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ সমস্যা না হলেও, পুলিশ হয়রানির উদ্দেশ্যে যে-কোনো একটা সমস্যা খুঁজে বের করে। যারা প্রতিনিয়ত সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচল করেন, তাদের কাছে বিষয়টি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ঠিক এই জায়গাটিতে স্বচ্ছতা না এলে, সড়কে আইন অমান্যের প্রবণতা কমবে না। মহাসড়কটিতে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। শুধু মামলা নয়, চাই কঠোর ট্র্যাফিক আইন প্রয়োগ।

মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। কিন্তু দুর্ঘটনা কমছে না। থামছে না সড়ক-মহাসড়কে বিদ্যমান বিশৃঙ্খলা। সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এখন যেন কোনো খবরই নয়! অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব দুর্ঘটনার ব্যাপারে আইনগত কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয় না। সড়ক দুর্ঘটনায় কুকুর-শিয়ালের মৃত্যু হলে যতটা শোরগোল হয়, তার ছিটেফোঁটাও হয় না মানুষের মৃত্যুতে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হবে-এটাই তো স্বাভাবিক। কাজেই এ নিয়ে কথা বলার তো কিছুই দেখি না। প্রতিটি মৃত্যুর দায়ভার সরকার কিংবা গণপরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের নেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলে এমনিতেই কমে যাবে দুর্ঘটনার পরিমাণ।
৮২টি সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি প্রায় ৫৪টি দুর্ঘটনার কারণ মালবাহী ট্রাক ও লরি। অর্থাৎ মোট দুর্ঘটনার ৬৫ দশমিক ৮৫ শতাংশের কারণ এসব ভারী যানবাহন। এর মধ্যে ২৫টি দুর্ঘটনা ছিল ট্রাক ও লরির সংঘর্ষ। এসব দুর্ঘটনায় ১৪ জন চালক ও সহকারী প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়া ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে আরও ২৯টি। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩ জন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে মিরসরাই অংশে একের পর এক প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। ভারী যানবাহনের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপিত করা, বিশেষত ট্রকিুলরির গতিসীমা নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বহুমুখী টার্নে দুর্ঘটনা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনভিজ্ঞতা, বেপরোয়া গতি, আইন ভঙ্গের অভ্যাস ও সামনের গাড়িকে অতিক্রম করার প্রয়াস; আমাদের দেশের অধিকাংশ গাড়ি চালকের মধ্যে আছে। আর এসব কারণেই সহজে ঘটে চলেছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনার বড়ো একটি কারণ হলো আইনের বাস্তবায়ন না হওয়া। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখবার জন্য দেশে আইন আছে ঠিকই, আইনের প্রয়োগ নেই। এর জন্য পুলিশের অনীহা বেশি দায়ী। বড়ো ধরনের দুর্ঘটনা ব্যতীত সড়কের আইন অমান্য করার শাস্তিগুলো পুলিশ অর্থ বিনিময়ের মাধ্যমেই সমাধান করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
সাধারণ সমস্যা না হলেও, পুলিশ হয়রানির উদ্দেশ্যে যে-কোনো একটা সমস্যা খুঁজে বের করে। যারা প্রতিনিয়ত সড়কে যানবাহন নিয়ে চলাচল করেন, তাদের কাছে বিষয়টি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। পুলিশের ঠিক এই জায়গাটিতে স্বচ্ছতা না এলে, সড়কে আইন অমান্যের প্রবণতা কমবে না। মহাসড়কটিতে মৃত্যুর মিছিল বন্ধ করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। শুধু মামলা নয়, চাই কঠোর ট্র্যাফিক আইন প্রয়োগ।