• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> মতামত

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই

সম্পাদকীয়
প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৮
logo

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই

সম্পাদকীয়

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৮
Photo

দেশে বৃষ্টিপাত কমলেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছর ইতিমধ্যে ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না; বরং জানুয়ারির আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনাও কম। এই পরিসংখ্যান শুধু এক বছরের রোগব্যাধির চিত্র নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা ও দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছেন, ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু সেই প্রতিরোধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ অনুপস্থিত। নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হলেও এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট। রাজধানীসহ দেশের ৬৩টি জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহার দেখাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কেবল প্রচারণা বা প্রতীকী ফগিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কীটতত্ত্ববিদদের মতে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মূল চাবিকাঠি হলো ‘হটস্পট ম্যানেজমেন্ট’। অর্থাৎ যেখানে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি, সেই এলাকাকে ঘিরে লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি রোগীর বাড়ির আশপাশে নিয়মিত ফগিং, লার্ভা ধ্বংসে পানি জমা স্থান অপসারণ, এবং স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন ও জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা বা কার্যকারিতা কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমন্বিত পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনিক পর্যায়ে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। নাগরিকদেরও বুঝতে হবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ কেবল সরকারি নয়, সামাজিক দায়িত্বও বটে। ডেঙ্গুর বিস্তার আমাদের নগর ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যনীতির দীর্ঘদিনের ত্রুটিকে উন্মোচন করেছে। এটি শুধু মশা নিধনের লড়াই নয়, বরং প্রশাসনিক জবাবদিহি ও নাগরিক অংশগ্রহণের পরীক্ষাও। এখনই যদি বাস্তবসম্মত, বৈজ্ঞানিক ও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে ডেঙ্গু আগামী বছর আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। সময় থাকতে রাষ্ট্র ও নাগরিক উভয়েরই দায়িত্ব নিতে হবে-প্রচার নয়, কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে।

Thumbnail image

দেশে বৃষ্টিপাত কমলেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য বলছে, চলতি বছর ইতিমধ্যে ৭৬ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনেরও বেশি। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে না; বরং জানুয়ারির আগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনাও কম। এই পরিসংখ্যান শুধু এক বছরের রোগব্যাধির চিত্র নয়, বরং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা ও দায়িত্বহীনতার প্রতিফলন। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা স্পষ্টভাবে বলছেন, ডেঙ্গুজনিত মৃত্যু প্রতিরোধযোগ্য। কিন্তু সেই প্রতিরোধে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ অনুপস্থিত। নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব হলেও এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতা স্পষ্ট। রাজধানীসহ দেশের ৬৩টি জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার এবং ক্রমবর্ধমান মৃত্যুহার দেখাচ্ছে, নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা কেবল প্রচারণা বা প্রতীকী ফগিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কীটতত্ত্ববিদদের মতে, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মূল চাবিকাঠি হলো ‘হটস্পট ম্যানেজমেন্ট’। অর্থাৎ যেখানে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি, সেই এলাকাকে ঘিরে লক্ষ্যভিত্তিক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রতিটি রোগীর বাড়ির আশপাশে নিয়মিত ফগিং, লার্ভা ধ্বংসে পানি জমা স্থান অপসারণ, এবং স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন ও জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এসব পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা বা কার্যকারিতা কোথাও দেখা যাচ্ছে না। ডেঙ্গু মোকাবিলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিটি করপোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে সমন্বিত পরিকল্পনা এখন সময়ের দাবি। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো, স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসনিক পর্যায়ে দায়িত্ববোধ জাগিয়ে তোলা প্রয়োজন। নাগরিকদেরও বুঝতে হবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধ কেবল সরকারি নয়, সামাজিক দায়িত্বও বটে। ডেঙ্গুর বিস্তার আমাদের নগর ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যনীতির দীর্ঘদিনের ত্রুটিকে উন্মোচন করেছে। এটি শুধু মশা নিধনের লড়াই নয়, বরং প্রশাসনিক জবাবদিহি ও নাগরিক অংশগ্রহণের পরীক্ষাও। এখনই যদি বাস্তবসম্মত, বৈজ্ঞানিক ও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে ডেঙ্গু আগামী বছর আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। সময় থাকতে রাষ্ট্র ও নাগরিক উভয়েরই দায়িত্ব নিতে হবে-প্রচার নয়, কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

২

পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিন

৩

একজন চিকিৎসকের জন্যও ডেঙ্গুর বাস্তবতা

৪

এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি

৫

প্রস্তুতি নেই ভূমিকম্প সামলাতে

সম্পর্কিত

বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

১১ ঘণ্টা আগে
পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিন

পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিন

১ দিন আগে
একজন চিকিৎসকের জন্যও ডেঙ্গুর বাস্তবতা

একজন চিকিৎসকের জন্যও ডেঙ্গুর বাস্তবতা

২ দিন আগে
এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি

এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি

২ দিন আগে