সম্পাদকীয়

বাংলাদেশে একসময় কলেরা বা ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগে মানুষের মৃত্যু হতো বেশি। বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও রোগ ব্যবস্থাপনার বিকাশের কারণে সংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। বিপরীতে গড় আয়ু বৃদ্ধি, জীবনযাপনে পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণে অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এসব রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০০৯ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান ১০টি কারণের তালিকা দিয়েছে দ্য ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের। ২০০৯ সালে মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণ ছিল স্ট্রোক, স্কেমিক হার্ট ডিজিজ, নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যক্ষ্মা, ডায়রিয়াজনিত রোগ, সিরোসিস, ডায়াবেটিস, নবজাতকের অসুখ এবং পানিতে ডোবা। ২০১৯ সালে মৃত্যুর প্রধান ১০ কারণ ছিল স্ট্রোক, স্কেমিক হার্ট ডিজিজ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ, নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, সিরোসিস, ক্যানসার ও নবজাতকের অসুখ। আঘাত ও দুর্ঘটনাও আছে বহু ধরনের। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু, এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত। এসব ধরন আছে মোট ৩৪টি। এই ৩৪ ধরনকে ৪টি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে—সড়ক দুর্ঘটনা; অনিচ্ছাকৃত আঘাত; নিজেকে নিজে আঘাত ও আন্তর্ব্যক্তিক সহিংসতা এবং বলপ্রয়োগ; দ্বন্দ্ব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড; মৃত্যুদণ্ড ও পুলিশি সংঘাত। প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি লোক অসংক্রামক রোগের কারণে মারা যায় যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর হার বাড়ে। প্রতি বছর ৩০-৬৯ বছর বয়সী দেড় কোটি লোক অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছে; এই অকালমৃত্যুর ৮৫ শতাংশ ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়। গবেষক ও চিকিৎসকরা জানান, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ব্যাপক হারে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, বিভিন্ন রকম ক্যানসারসহ নানা ধরনের অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মারা যায় অসংক্রামক ব্যাধিতে এবং অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যুর ৮০ ভাগই হয় স্ট্রোকের কারণে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে এমন তিনজনের একজন কিডনি রোগে ভুগছেন। তা তারা জানে না। দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনই জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অর্ধেকের বেশি জানেন না উচ্চ রক্তচাপ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। যারা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারকে প্রতিরোধের উপর জোর দিতে হবে। এ প্রতিরোধের জন্য আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।

বাংলাদেশে একসময় কলেরা বা ম্যালেরিয়ার মতো সংক্রামক রোগে মানুষের মৃত্যু হতো বেশি। বিজ্ঞানের উৎকর্ষ ও রোগ ব্যবস্থাপনার বিকাশের কারণে সংক্রামক রোগে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। বিপরীতে গড় আয়ু বৃদ্ধি, জীবনযাপনে পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণে অসংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। এসব রোগে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। ২০০৯ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান ১০টি কারণের তালিকা দিয়েছে দ্য ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যাট্রিক্স অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশনের। ২০০৯ সালে মৃত্যুর শীর্ষ ১০ কারণ ছিল স্ট্রোক, স্কেমিক হার্ট ডিজিজ, নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ, যক্ষ্মা, ডায়রিয়াজনিত রোগ, সিরোসিস, ডায়াবেটিস, নবজাতকের অসুখ এবং পানিতে ডোবা। ২০১৯ সালে মৃত্যুর প্রধান ১০ কারণ ছিল স্ট্রোক, স্কেমিক হার্ট ডিজিজ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসতন্ত্রের রোগ, নিম্ন শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ, ডায়াবেটিস, ডায়রিয়াজনিত রোগ, যক্ষ্মা, সিরোসিস, ক্যানসার ও নবজাতকের অসুখ। আঘাত ও দুর্ঘটনাও আছে বহু ধরনের। সড়ক দুর্ঘটনা থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত্যু, এমনকি মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত। এসব ধরন আছে মোট ৩৪টি। এই ৩৪ ধরনকে ৪টি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে—সড়ক দুর্ঘটনা; অনিচ্ছাকৃত আঘাত; নিজেকে নিজে আঘাত ও আন্তর্ব্যক্তিক সহিংসতা এবং বলপ্রয়োগ; দ্বন্দ্ব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড; মৃত্যুদণ্ড ও পুলিশি সংঘাত। প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় ৪ কোটি লোক অসংক্রামক রোগের কারণে মারা যায় যা বিশ্বের মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর হার বাড়ে। প্রতি বছর ৩০-৬৯ বছর বয়সী দেড় কোটি লোক অসংক্রামক রোগে মারা যাচ্ছে; এই অকালমৃত্যুর ৮৫ শতাংশ ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোয়। গবেষক ও চিকিৎসকরা জানান, শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত ব্যাপক হারে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস, বিভিন্ন রকম ক্যানসারসহ নানা ধরনের অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশই মারা যায় অসংক্রামক ব্যাধিতে এবং অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যুর ৮০ ভাগই হয় স্ট্রোকের কারণে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস আছে এমন তিনজনের একজন কিডনি রোগে ভুগছেন। তা তারা জানে না। দেশে ১০০ জনের মধ্যে ৫০ জনই জানে না তাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তাদের অর্ধেকের বেশি জানেন না উচ্চ রক্তচাপ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। যারা অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত তাদের চিকিৎসা নিশ্চিতের পাশাপাশি সরকারকে প্রতিরোধের উপর জোর দিতে হবে। এ প্রতিরোধের জন্য আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।