সম্পাদকীয়

আধুনিক বা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের কৃষি। বর্তমান সময়েও কৃষির সঙ্গে অনেক তরুণ-যুবক জড়িত হচ্ছে ভাগ্যের চাকা বদলানোর আশায়। অনেকে শখ করে শুরু করলেও পরবর্তীকালে এ পেশাকে জীবিকা অর্জনের একমাত্র উপায় হিসাবে গ্রহণ করে। অল্প সময়ে লাভবান হওয়ার জন্য কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির সঙ্গে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে হরেক রকমের রাসায়নিক সার। ফসল যাতে বিনষ্ট না হয় বা পোকামাকড় যাতে আক্রমণ না করে সে জন্য ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। অনেক কৃষক মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করছে, যা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ধ্বংস করতে গিয়ে ফসলের উপকারী পোকামাকড়ও ধ্বংস হচ্ছে। কীটনাশকের কারণে বহু বিল-হাওড় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। বহু প্রজাতির পাখি হারিয়ে গেছে। ফসল রক্ষাকারী পোকামাকড় ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। কৃষিতে কীটনাশকের ব্যাপক অপপ্রয়োগ দেশের জনস্বাস্থ্যকে বিশাল ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। কৃষিপণ্যকে কীটনাশক থেকে রক্ষা করা গেলে মানুষ অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে। খাদ্যে যেসব রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাতে হৃদপিণ্ড, পাকস্থলি, কিডনি ও লিভারের রোগ এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ফসলে রোগবালাই বেড়ে যাওয়ায় গত পাঁচ বছরে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ। ধান, শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল, এমনকি মাছ চাষেও ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে কীটনাশক। জলবায়ু পরিবর্তন ফসলের সহনশীলতাকেও হ্রাস করে। স্বাধীনতার পর হতে এখন পর্যন্ত কীটনাশকের ব্যবহারের মাত্রা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ গুণ। কীটনাশক যেভাবে ছিটানো হয়, তা দূরবর্তী জলজ পরিবেশ, চারণ এলাকা ও মানববসতিতেও বাহিত হয়। কীটনাশক কৃষিজমিকে দূষিত করো ফেলে, যা ফসলের সঙ্গে মিশে মানবদেহে প্রবেশ করে। এতে কৃষক নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ক্যান্সারে আক্রান্তের ৬৪ শতাংশই কৃষক। আমরা মনে করি, কীটনাশকের ব্যবহারবিধি ও নীতিমালা বিষয়ে কৃষককে অবহিত করতে হবে। কীটনাশক ব্যবহারের সময় মুখোশ পরিধান, বায়ুর বিপরীত দিকে প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কৃষক সচেতন না হলে তাতে তারাই আক্রান্ত হবেন। সেইসঙ্গে কৃষককে এটাও অবহিতকরণ জরুরি যে, সর্বক্ষেত্রে কীটনাশকই একমাত্র সমাধান নয়। এই ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা সহজলভ্য করা জরুরি। জৈব কীটনাশক বা সমন্বিত পোকা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং পরিবেশসম্মত বিকল্প ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কৃষি বিভাগ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাসে বাজার ব্যবস্থাপনাও শক্তিশালী করা দরকার।

আধুনিক বা উন্নত কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের কৃষি। বর্তমান সময়েও কৃষির সঙ্গে অনেক তরুণ-যুবক জড়িত হচ্ছে ভাগ্যের চাকা বদলানোর আশায়। অনেকে শখ করে শুরু করলেও পরবর্তীকালে এ পেশাকে জীবিকা অর্জনের একমাত্র উপায় হিসাবে গ্রহণ করে। অল্প সময়ে লাভবান হওয়ার জন্য কৃষিকাজে আধুনিক যন্ত্রপাতির সঙ্গে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে হরেক রকমের রাসায়নিক সার। ফসল যাতে বিনষ্ট না হয় বা পোকামাকড় যাতে আক্রমণ না করে সে জন্য ব্যবহার করা হয় কীটনাশক। অনেক কৃষক মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করছে, যা মানব শরীরের জন্য ক্ষতিকারক এবং জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এতে ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ ধ্বংস করতে গিয়ে ফসলের উপকারী পোকামাকড়ও ধ্বংস হচ্ছে। কীটনাশকের কারণে বহু বিল-হাওড় মাছশূন্য হয়ে পড়েছে। বহু প্রজাতির পাখি হারিয়ে গেছে। ফসল রক্ষাকারী পোকামাকড় ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর হাজার কোটি টাকার ফসল নষ্ট হচ্ছে। কৃষিতে কীটনাশকের ব্যাপক অপপ্রয়োগ দেশের জনস্বাস্থ্যকে বিশাল ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। কৃষিপণ্যকে কীটনাশক থেকে রক্ষা করা গেলে মানুষ অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত হতে পারে। খাদ্যে যেসব রাসায়নিকের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাতে হৃদপিণ্ড, পাকস্থলি, কিডনি ও লিভারের রোগ এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া স্বাভাবিক। জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে ফসলে রোগবালাই বেড়ে যাওয়ায় গত পাঁচ বছরে দেশে কীটনাশকের ব্যবহার বেড়েছে ৮১ দশমিক ৫ শতাংশ। ধান, শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল, এমনকি মাছ চাষেও ব্যাপক হারে ব্যবহার হচ্ছে কীটনাশক। জলবায়ু পরিবর্তন ফসলের সহনশীলতাকেও হ্রাস করে। স্বাধীনতার পর হতে এখন পর্যন্ত কীটনাশকের ব্যবহারের মাত্রা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১০ গুণ। কীটনাশক যেভাবে ছিটানো হয়, তা দূরবর্তী জলজ পরিবেশ, চারণ এলাকা ও মানববসতিতেও বাহিত হয়। কীটনাশক কৃষিজমিকে দূষিত করো ফেলে, যা ফসলের সঙ্গে মিশে মানবদেহে প্রবেশ করে। এতে কৃষক নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ক্যান্সারে আক্রান্তের ৬৪ শতাংশই কৃষক। আমরা মনে করি, কীটনাশকের ব্যবহারবিধি ও নীতিমালা বিষয়ে কৃষককে অবহিত করতে হবে। কীটনাশক ব্যবহারের সময় মুখোশ পরিধান, বায়ুর বিপরীত দিকে প্রয়োগ ইত্যাদি বিষয়ে কৃষক সচেতন না হলে তাতে তারাই আক্রান্ত হবেন। সেইসঙ্গে কৃষককে এটাও অবহিতকরণ জরুরি যে, সর্বক্ষেত্রে কীটনাশকই একমাত্র সমাধান নয়। এই ক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা সহজলভ্য করা জরুরি। জৈব কীটনাশক বা সমন্বিত পোকা ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এবং পরিবেশসম্মত বিকল্প ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে কৃষি বিভাগ ভূমিকা পালন করতে পারে। স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাসে বাজার ব্যবস্থাপনাও শক্তিশালী করা দরকার।