মতামত
ড. হাসিব আহসান নাদিম
আমি একটি রাজনৈতিক পরিবারে বিয়ে করি। ইন্টারেস্টিংলি, আমার নিজের পরিবারে ফার্স্ট ব্লাডে সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে কেউ নেই। আমাদের মূলত এ্যাকাডেমিক পরিবার।
আমার শ্বশুরের নাম মনিরুল হক চৌধুরী ু তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় সংসদের তিনবারের নির্বাচিত এমপি (কুমিল্লা-৯) এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারতের আগরতলা থেকে ট্রেনিং নিয়ে তিনি কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘ইন্ডাকশন ইনচার্জ’ ছিলেন এবং জেলা কমান্ডার ও সাব-কমান্ডারের অধীনে থেকে প্রায় ২০০টি অপারেশনের সমন্বয় করেন। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩-৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত করেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একেবারে শীর্ষে অবস্থান করলেও কখনও আওয়ামী লীগের তৃণমূল রাজনীতিতে জড়াননি—অর্থাৎ আওয়ামী লীগ করেননি। জুলাই ২০২৪-এর ম্যাসাকার বা দীর্ঘদিনের অন্যায়গুলোর ভাগীদার তাহলে ওনাকেও হতে হতো। জাতীয় পর্যায়ে আর গ্রাসরুটে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।
এই পরিবারে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যেই ব্যাপারটি আমাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে, তা হলো আমার শ্বশুরের উচ্চশিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগ—যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। তিনি তাঁর চার কন্যাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ বিদেশে পিএইচডি করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কেউ আমেরিকায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক ও মেডিকেল ডিরেক্টর, কেউ ইউরোপে নিউরোডাইভারজেন্ট চাইল্ড ও আর্লি চাইল্ডহুড স্পেশালিস্ট, কেউ বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি তাঁদের বিয়েও দিয়েছেন উচ্চশিক্ষিত পাত্রদের সঙ্গে—মিলিয়নিয়ার বা বিলিয়নিয়ার পরিবারের সঙ্গে নয়।
এই ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, একজন জাতীয় রাজনীতিক হিসেবে তিনি কেমন করে দেশকে অনুভব করেন, সন্তানদের কেমন নৈতিক শিক্ষা দিতে চেয়েছেন—তার প্রমাণ উচ্চশিক্ষার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার। যদি দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা বলা হয়, তাহলে তাঁর কুমিল্লার মানুষ হয়তো সন্তানদের চেয়েও বেশি কাছের। প্রায় প্রতিটি কথোপকথনে কুমিল্লা, কুমিল্লার উন্নয়ন, বা কুমিল্লার মানুষের প্রসঙ্গ না এলে তাঁর কথা অসম্পূর্ণ থাকে। আমি আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই এসব বলছি।
ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট গঠনে অবদান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা তৈরি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা (যা আমি সেখানকার শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনেছি) সহ কুমিল্লায় অসংখ্য অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন তিনি, এমপি থাকাকালীন এবং তার বাইরেও।
তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় একটি বড় ধাক্কা আসে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল নামে পরিচিত, যিনি পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রী হন)-কে জয়ী করতে মনিরুল হক চৌধুরীর কুমিল্লা-৯ আসন ভেঙে ফেলা হয়, যাতে তাঁর ভোট বিভক্ত হয়। কুমিল্লা-৯ আসন বিলুপ্ত করে তা কুমিল্লা-৬, কুমিল্লা-৮ ও কুমিল্লা-১০ এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। চার-পাঁচবার সীমানা পরিবর্তনের পর বর্তমানে বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ এর অংশ রয়েছে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা-৯ পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন, এমনকি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু সেই দাবি আজও মানা হয়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা মার্চে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি এবং অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যেখানে কুমিল্লা-৯ পুনর্বহাল করা উচিত ছিল, সেখানে তা না করে কুমিল্লা-১০ আসন ত্রিখণ্ডিত করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
হতে পারে, ২০০৮ সালে যাঁরা ভেঙে দিয়েছিলেন, তাঁদের এখনও সরকারের ভিতরে বা কমিশনে প্রভাব রয়েছে। কিংবা কুমিল্লা বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বা কিছু নেতৃবৃন্দ চান না এই আসনটি পুনরুদ্ধার হোক, কারণ একীভূত হলে মনিরুল হক চৌধুরী স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনে লেভারেজ পেয়ে যাবেন। আমি নিজে রাজনৈতিক ব্যক্তি নই, তবে একজন অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন নাগরিক—দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই। কখনও সামাজিক মাধ্যমে শ্বশুরকে নিয়ে কোনও রাজনৈতিক পোস্ট দেইনি। কিন্তু এবার দিলাম, কারণ ওনার আসনের মানুষজনকে নিয়ে তাঁর কান্না আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। যেমনটা বলেছি, তিনি তাঁদের সন্তানের মতোই দেখেন। আর সন্তান বিচ্ছিন্ন হলে আবেগ আসবেই, কান্নাও।
আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ, একজন অ্যাকাডেমিক ও গবেষক। আমার লেখার রিচ হয়তো অনেক কম। তবুও যদি ইন্টারিম সরকারের কেউ, নির্বাচন কমিশনের কেউ বা বিএনপি আর অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই লেখা পড়েন—তাহলে অনুরোধ, কুমিল্লা-৯ আসনটি পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনুন, যদি সত্যিই মনে করেন, এখানে অন্যায় হয়েছিল।
ধন্যবাদ।
ড. হাসিব আহসান নাদিম: পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চার ডেনমার্ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
আমি একটি রাজনৈতিক পরিবারে বিয়ে করি। ইন্টারেস্টিংলি, আমার নিজের পরিবারে ফার্স্ট ব্লাডে সরাসরি জাতীয় রাজনীতিতে কেউ নেই। আমাদের মূলত এ্যাকাডেমিক পরিবার।
আমার শ্বশুরের নাম মনিরুল হক চৌধুরী ু তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, জাতীয় সংসদের তিনবারের নির্বাচিত এমপি (কুমিল্লা-৯) এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময়, ভারতের আগরতলা থেকে ট্রেনিং নিয়ে তিনি কুমিল্লা, চাঁদপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘ইন্ডাকশন ইনচার্জ’ ছিলেন এবং জেলা কমান্ডার ও সাব-কমান্ডারের অধীনে থেকে প্রায় ২০০টি অপারেশনের সমন্বয় করেন। ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩-৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তাঁকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত করেন।
তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একেবারে শীর্ষে অবস্থান করলেও কখনও আওয়ামী লীগের তৃণমূল রাজনীতিতে জড়াননি—অর্থাৎ আওয়ামী লীগ করেননি। জুলাই ২০২৪-এর ম্যাসাকার বা দীর্ঘদিনের অন্যায়গুলোর ভাগীদার তাহলে ওনাকেও হতে হতো। জাতীয় পর্যায়ে আর গ্রাসরুটে তিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত আর বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।
এই পরিবারে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যেই ব্যাপারটি আমাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে, তা হলো আমার শ্বশুরের উচ্চশিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগ—যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম দেখা যায়। তিনি তাঁর চার কন্যাকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ বিদেশে পিএইচডি করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, কেউ আমেরিকায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসক ও মেডিকেল ডিরেক্টর, কেউ ইউরোপে নিউরোডাইভারজেন্ট চাইল্ড ও আর্লি চাইল্ডহুড স্পেশালিস্ট, কেউ বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স করেছেন। তিনি তাঁদের বিয়েও দিয়েছেন উচ্চশিক্ষিত পাত্রদের সঙ্গে—মিলিয়নিয়ার বা বিলিয়নিয়ার পরিবারের সঙ্গে নয়।
এই ব্যাকগ্রাউন্ড দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, একজন জাতীয় রাজনীতিক হিসেবে তিনি কেমন করে দেশকে অনুভব করেন, সন্তানদের কেমন নৈতিক শিক্ষা দিতে চেয়েছেন—তার প্রমাণ উচ্চশিক্ষার প্রতি তাঁর অঙ্গীকার। যদি দেশের প্রতি ভালোবাসার কথা বলা হয়, তাহলে তাঁর কুমিল্লার মানুষ হয়তো সন্তানদের চেয়েও বেশি কাছের। প্রায় প্রতিটি কথোপকথনে কুমিল্লা, কুমিল্লার উন্নয়ন, বা কুমিল্লার মানুষের প্রসঙ্গ না এলে তাঁর কথা অসম্পূর্ণ থাকে। আমি আমার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকেই এসব বলছি।
ছাত্রলীগের নেতা থাকাকালীন শেখ মুজিবুর রহমানের মাধ্যমে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট গঠনে অবদান, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা তৈরি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা (যা আমি সেখানকার শিক্ষকদের কাছ থেকে শুনেছি) সহ কুমিল্লায় অসংখ্য অবকাঠামো গড়ে তুলেছেন তিনি, এমপি থাকাকালীন এবং তার বাইরেও।
তবে ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় একটি বড় ধাক্কা আসে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল নামে পরিচিত, যিনি পরবর্তীতে অর্থমন্ত্রী হন)-কে জয়ী করতে মনিরুল হক চৌধুরীর কুমিল্লা-৯ আসন ভেঙে ফেলা হয়, যাতে তাঁর ভোট বিভক্ত হয়। কুমিল্লা-৯ আসন বিলুপ্ত করে তা কুমিল্লা-৬, কুমিল্লা-৮ ও কুমিল্লা-১০ এর সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। চার-পাঁচবার সীমানা পরিবর্তনের পর বর্তমানে বিলুপ্ত কুমিল্লা-৯ এর অংশ রয়েছে কুমিল্লা-১০ (সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনে। তিনি ও তাঁর সমর্থকেরা দীর্ঘদিন ধরে কুমিল্লা-৯ পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছেন, এমনকি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন, কিন্তু সেই দাবি আজও মানা হয়নি।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা মার্চে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি এবং অন্যান্য কর্মসূচির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যেখানে কুমিল্লা-৯ পুনর্বহাল করা উচিত ছিল, সেখানে তা না করে কুমিল্লা-১০ আসন ত্রিখণ্ডিত করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
হতে পারে, ২০০৮ সালে যাঁরা ভেঙে দিয়েছিলেন, তাঁদের এখনও সরকারের ভিতরে বা কমিশনে প্রভাব রয়েছে। কিংবা কুমিল্লা বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতি বা কিছু নেতৃবৃন্দ চান না এই আসনটি পুনরুদ্ধার হোক, কারণ একীভূত হলে মনিরুল হক চৌধুরী স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনে লেভারেজ পেয়ে যাবেন। আমি নিজে রাজনৈতিক ব্যক্তি নই, তবে একজন অত্যন্ত রাজনীতি সচেতন নাগরিক—দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই। কখনও সামাজিক মাধ্যমে শ্বশুরকে নিয়ে কোনও রাজনৈতিক পোস্ট দেইনি। কিন্তু এবার দিলাম, কারণ ওনার আসনের মানুষজনকে নিয়ে তাঁর কান্না আমাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। যেমনটা বলেছি, তিনি তাঁদের সন্তানের মতোই দেখেন। আর সন্তান বিচ্ছিন্ন হলে আবেগ আসবেই, কান্নাও।
আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ, একজন অ্যাকাডেমিক ও গবেষক। আমার লেখার রিচ হয়তো অনেক কম। তবুও যদি ইন্টারিম সরকারের কেউ, নির্বাচন কমিশনের কেউ বা বিএনপি আর অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এই লেখা পড়েন—তাহলে অনুরোধ, কুমিল্লা-৯ আসনটি পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনুন, যদি সত্যিই মনে করেন, এখানে অন্যায় হয়েছিল।
ধন্যবাদ।
ড. হাসিব আহসান নাদিম: পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চার ডেনমার্ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।