অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ
গেল বছর পার্শ্ববর্তী দেশের জলকেলিতে দেশে এক প্রলয়ংকরী বন্যা হয়ে গেল। বন্যা সামলাতে সরকারের সঙ্গে সারাদেশের সচেতন জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেছে। জনদূর্ভোগ সামলিয়ে সরবরাহও অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিল। সাহায্য সহায়তায় নিম্নআয়ের লোকজন একটু কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই দুই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে আবার ফুলগাজী প্লাবিত। এটাত আর বন্যা নয় এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
ফুলগাজী এলাকার বাসিন্দারা বলাবলি করছেন ১৯.০৬.২৫ইং বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করছে। স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। গেল বছরের বন্যার নাকানি চুবানি শেষ হতে না হতেই আবার এলাকার মানুষ ডুবছে। ফেনি আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ফেনিতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবলোকন করছিল উজানে বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরী নদীর পানি তখনো বিপদ সীমার নিচে। বাঁধের ভাঙ্গন স্থলে স্থানীয়দের নিয়ে চেষ্টা করলেও সে চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধকে নিরাপত্তায় আনতে স্থানীয় লোকজন ব্যর্থ হয়েছে কারণ হিসাবে অনেকেরই ধারণা গতবন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধকে সঠিকভাবে পুণঃনির্মাণ করা হয় নাই বা টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নাই বিধায় বাঁধ ভেঙ্গেছে।
ফুলগাজী বাজারে লোকজন বলবলি করছে, এখানে প্রতিবছর জুন থেকে আগষ্টে সামান্য বৃষ্টিতেই লোকালয়ে পানি জমে যায়। দোকানের জিনিসপত্র ভিজে ক্ষতির মুখে পতিত হয়। মনিপুর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, কর্মকর্তারা বন্যা এলে ঘটনাস্থলে এসে জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কথা বললেও বন্যা শেষে আর খবর রাখেননি।
ভারতের ঢলের পানি ও টানাবৃষ্টির পানিতে ফেনীর ফুলগাজীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বনিকপাড়া সহদেব বৈদ্যের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের একটি স্থানে এবং গোসাইপুর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর বরইয়া, বনিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগতপুর এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ফুলগাজী তরকারিবাজার সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। একই দিনে দুপুর থেকে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় সিলেনিয়া নদীর পানি বেড়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। জনমনে প্রশ্ন বাঁধ উপচে পানি আসাটা মেনে নেয়া যায় কিন্তু বাঁধভেঙ্গে পানি আসাটা মেনে নেয়া যায় না। (সংগৃহীত)
অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ
গেল বছর পার্শ্ববর্তী দেশের জলকেলিতে দেশে এক প্রলয়ংকরী বন্যা হয়ে গেল। বন্যা সামলাতে সরকারের সঙ্গে সারাদেশের সচেতন জনগোষ্ঠী অংশগ্রহণ করেছে। জনদূর্ভোগ সামলিয়ে সরবরাহও অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিল। সাহায্য সহায়তায় নিম্নআয়ের লোকজন একটু কোমড় সোজা করে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই দুই নদীর বাঁধ ভেঙ্গে আবার ফুলগাজী প্লাবিত। এটাত আর বন্যা নয় এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা।
ফুলগাজী এলাকার বাসিন্দারা বলাবলি করছেন ১৯.০৬.২৫ইং বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করছে। স্থানীয়দের নিয়ে অনেক চেষ্টা করেও ভাঙন ঠেকানো যায়নি। গেল বছরের বন্যার নাকানি চুবানি শেষ হতে না হতেই আবার এলাকার মানুষ ডুবছে। ফেনি আবহাওয়া অফিস জানাচ্ছিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ফেনিতে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছিল। ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অবলোকন করছিল উজানে বৃষ্টি হওয়ায় নদীর পানি বাড়ছে। তবে মুহুরী নদীর পানি তখনো বিপদ সীমার নিচে। বাঁধের ভাঙ্গন স্থলে স্থানীয়দের নিয়ে চেষ্টা করলেও সে চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধকে নিরাপত্তায় আনতে স্থানীয় লোকজন ব্যর্থ হয়েছে কারণ হিসাবে অনেকেরই ধারণা গতবন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধকে সঠিকভাবে পুণঃনির্মাণ করা হয় নাই বা টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় নাই বিধায় বাঁধ ভেঙ্গেছে।
ফুলগাজী বাজারে লোকজন বলবলি করছে, এখানে প্রতিবছর জুন থেকে আগষ্টে সামান্য বৃষ্টিতেই লোকালয়ে পানি জমে যায়। দোকানের জিনিসপত্র ভিজে ক্ষতির মুখে পতিত হয়। মনিপুর এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, কর্মকর্তারা বন্যা এলে ঘটনাস্থলে এসে জিও ব্যাগ দিয়ে মেরামতের কথা বললেও বন্যা শেষে আর খবর রাখেননি।
ভারতের ঢলের পানি ও টানাবৃষ্টির পানিতে ফেনীর ফুলগাজীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে এ ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের বনিকপাড়া সহদেব বৈদ্যের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধের একটি স্থানে এবং গোসাইপুর এলাকার সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর বরইয়া, বনিকপাড়া, বসন্তপুর ও জগতপুর এলাকা প্লাবিত হয়। এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ফুলগাজী তরকারিবাজার সংলগ্ন স্থানে মুহুরী নদীর পানি প্রবেশ করে বাজারের একটি অংশ প্লাবিত হয়েছে। একই দিনে দুপুর থেকে পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের মনিপুর এলাকায় সিলেনিয়া নদীর পানি বেড়ে বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করতে শুরু করে। জনমনে প্রশ্ন বাঁধ উপচে পানি আসাটা মেনে নেয়া যায় কিন্তু বাঁধভেঙ্গে পানি আসাটা মেনে নেয়া যায় না। (সংগৃহীত)
অধ্যাপক ডাঃ মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ