• কুমিল্লা সিটি করপোরেশন
  • কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • আদর্শ সদর
  • বরুড়া
  • লাকসাম
  • দাউদকান্দি
  • আরও
    • চৌদ্দগ্রাম
    • সদর দক্ষিণ
    • নাঙ্গলকোট
    • বুড়িচং
    • ব্রাহ্মণপাড়া
    • মনোহরগঞ্জ
    • লালমাই
    • চান্দিনা
    • মুরাদনগর
    • দেবীদ্বার
    • হোমনা
    • মেঘনা
    • তিতাস
  • সর্বশেষ
  • রাজনীতি
  • বাংলাদেশ
  • অপরাধ
  • বিশ্ব
  • বাণিজ্য
  • মতামত
  • খেলা
  • বিনোদন
  • চাকরি
  • জীবনযাপন
  • ইপেপার
  • ইপেপার
facebooktwittertiktokpinterestyoutubelinkedininstagramgoogle
স্বত্ব: ©️ আমার শহর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. গাজীউল হক ভূঁইয়া ( সোহাগ)।

নাহার প্লাজা, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা-৩৫০০

ই-মেইল: [email protected]

ফোন: 01716197760

> মতামত

যেমন চলছে কপ-৩০

অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৪
logo

যেমন চলছে কপ-৩০

অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৪৪
Photo

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের ভিত্তিতে চলতি জলবায়ু সম্মেলনে প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধি, মন্ত্রী ও বিশেষ দূত উপস্থিত হয়েছেন। এমন অবস্থায় কপ-৩০ এর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দৃষ্টি এখন ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের বেলেম শহরের দিকে। সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরে তাপমাত্রা বিশ্ব প্যারিস চুক্তির ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন টঘঙ বিজ্ঞানীরা। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস ফিল্ড বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখা জরুরি, কারণ পৃথিবী যত বেশি সময় ধরে এর বাইরে থাকবে, অ্যন্টার্কটিকা, গ্রিনল্যান্ড এবং আমাজন রেইনফরেস্টসহ আরও বেশ কিছু অঞ্চলের টিপিং পয়েন্ট অতিক্রমের ঝুঁকি তত বেশি হবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনেক প্রবালপ্রাচীর ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সেই সর্বোচ্চ বিন্দু অতিক্রম করে ফেলেছে। বিজ্ঞানীরা চাইছেন কপ-৩০ এর মাধ্যমে এই টিপিং পয়েন্ট বা বিপজ্জনক মাত্রা প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্ববাসীকে একত্র করতে। বিপর্যয়কর টিপিং পয়েন্ট এড়াতে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড অপসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইয়েন্ট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী এবং জাতিসংঘ ও কপ-৩০ প্রেসিডেন্সির একজন প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা জোহান রকস্ট্রোম। তিনি আরও বলেন যে, বিশ্বের উষ্ণতা ১.৭ ডিগ্রি সে. এ সীমাবদ্ধ রাখতে প্রতিবছর বাতাস থেকে ১০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড সংগ্রহ বা অপসারণ করতে হবে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কার্বন নি:সরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ের কোন উচ্চ প্রতিনিধিদল পাঠায়নি। দেশটি লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডে সীমিত অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববাজারের ফসিল জ্বালানি সম্প্রসারণে আগ্রহী থাকায় সম্মেলনের মূল আলোচনায় যুক্ত হওয়ায় অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে মার্কিন কয়েকটি উপজাতীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম নিজ উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন।

সম্মেলনে একমাত্র মার্কিন কর্মকর্তা হিসাবে উপস্থিত হয়েছেন সিনেটার শেলডন হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বললেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বের হওয়ার সময় নির্ধারণে অনীহা প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যারিস চুক্তি অনুসারে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সে. লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখতে স্পষ্ট রূপরেখা চেয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নি:সরণকারী দেশ চীন অবশ্য ৩০০ সদস্যের বিশাল প্রতিনিধি নিয়ে সম্মেলনে হাজির হয়েছে।

চীন বলছে, তারা তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি কার্বন নি:সরণ কমাতে আন্তর্জাতিকভাবে অংশগ্রহণ করবে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণের স্পষ্ট সময়সীমা দেয়নি।

জীবাশ্ম জ্বালানির বন্ধের দাবিতে বিভক্ত হয়ে গেছে রাষ্ট্রগুলো অন্যদিকে দূষণ না ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপালের মতো দেশগুলোর দাবি ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ তহবিলের কাঠামো চূড়ান্ত করা, অ্যাডাপ্টেশন ফিন্যান্স, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে ২ আসতে আর্থিক সহায়তা, প্রযুক্তি ও সক্ষমতা স্থানান্তর। তবে এসব বিষয়ে এখনো আসেনি কোন আশার বাণী সব মিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলনটা কতটুকু সফলতা বয়ে আনবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিগত কপ-২৮ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ একটি সাধারণ বিবৃতিতে সম্মত হয় যে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক শক্তি ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে। তবে বাস্তবে অনেক দেশ এখনও স্পষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি। এখনো জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন অনুসন্ধান বা অনুসন্ধান লাইসেন্স দেয়া এবং সাবসিডি দেয়া চলমান আছে। এ নিয়ে সরগরম এবারের কপ-৩০। প্রতিটা দেশ নিজের স্বার্থ হাসিল ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে জোর দিচ্ছে।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ ব্রাজিল আমাজন বন রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে। তারা দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর জন্য বেশি অর্থায়ন দাবি করছে। দেশটি জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের .রোডম্যাপের কথা বললেও এটা বন্ধের ব্যাপারে স্পস্ট বক্তব্য দেয়নি। তবে দেশটির সাম্প্রতিক নতুন তেল গ্যাস অনুসন্ধান লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত সম্মেলনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য ১.৫ ডিগ্রি সে. সীমাকে ‘একটি জীবন রেখা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং বিশ্ব এটিকে সম্মান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছে। কপ-৩০ এ মূলত জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাস্তবায়নভিত্তিক কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, জলবায়ু অর্থায়নে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতিটির অগ্রগতি, লস এন্ড ড্যামেজের তহবিল কাঠামো চূড়ান্ত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির রোডম্যাপ, কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসা, অভিযোজন সহায়তা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তর ও সক্ষমতা উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়গুলোর সাথে বন সংরক্ষণ, সমুদ্র ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু ন্যায় বিচার, কার্বন বাজার সংক্রান্ত আলোচনাসমূহও পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।

অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ।

Thumbnail image

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের ভিত্তিতে চলতি জলবায়ু সম্মেলনে প্রায় ২০০ দেশের প্রতিনিধি, মন্ত্রী ও বিশেষ দূত উপস্থিত হয়েছেন। এমন অবস্থায় কপ-৩০ এর মতো অতীব গুরুত্বপূর্ণ জলবায়ু সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিশ্বের দৃষ্টি এখন ব্রাজিলের আমাজন অঞ্চলের বেলেম শহরের দিকে। সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে সাবধানতা অবলম্বনের আহ্বান করেছেন। বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী কয়েক বছরে তাপমাত্রা বিশ্ব প্যারিস চুক্তির ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন টঘঙ বিজ্ঞানীরা। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিস ফিল্ড বলেছেন, বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখা জরুরি, কারণ পৃথিবী যত বেশি সময় ধরে এর বাইরে থাকবে, অ্যন্টার্কটিকা, গ্রিনল্যান্ড এবং আমাজন রেইনফরেস্টসহ আরও বেশ কিছু অঞ্চলের টিপিং পয়েন্ট অতিক্রমের ঝুঁকি তত বেশি হবে। বিজ্ঞানীদের ধারণা অনেক প্রবালপ্রাচীর ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সেই সর্বোচ্চ বিন্দু অতিক্রম করে ফেলেছে। বিজ্ঞানীরা চাইছেন কপ-৩০ এর মাধ্যমে এই টিপিং পয়েন্ট বা বিপজ্জনক মাত্রা প্রতিরোধ করার জন্য বিশ্ববাসীকে একত্র করতে। বিপর্যয়কর টিপিং পয়েন্ট এড়াতে বায়ুমণ্ডল থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড অপসারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পটসডাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইয়েন্ট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী এবং জাতিসংঘ ও কপ-৩০ প্রেসিডেন্সির একজন প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা জোহান রকস্ট্রোম। তিনি আরও বলেন যে, বিশ্বের উষ্ণতা ১.৭ ডিগ্রি সে. এ সীমাবদ্ধ রাখতে প্রতিবছর বাতাস থেকে ১০ বিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড সংগ্রহ বা অপসারণ করতে হবে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কার্বন নি:সরণকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবারের সম্মেলনে জাতীয় পর্যায়ের কোন উচ্চ প্রতিনিধিদল পাঠায়নি। দেশটি লস এন্ড ড্যামেজ ফান্ডে সীমিত অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। একাধিক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ট্রাম্প প্রশাসন বিশ্ববাজারের ফসিল জ্বালানি সম্প্রসারণে আগ্রহী থাকায় সম্মেলনের মূল আলোচনায় যুক্ত হওয়ায় অনিচ্ছুক ছিলেন। তবে মার্কিন কয়েকটি উপজাতীয় পর্যায়ের প্রতিনিধি যেমন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম নিজ উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সম্মেলনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনাও করেছেন।

সম্মেলনে একমাত্র মার্কিন কর্মকর্তা হিসাবে উপস্থিত হয়েছেন সিনেটার শেলডন হোয়াইট হাউস। যুক্তরাষ্ট্র নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বললেও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বের হওয়ার সময় নির্ধারণে অনীহা প্রকাশ করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্যারিস চুক্তি অনুসারে তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সে. লক্ষ্যমাত্রা বজায় রাখতে স্পষ্ট রূপরেখা চেয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ কার্বন নি:সরণকারী দেশ চীন অবশ্য ৩০০ সদস্যের বিশাল প্রতিনিধি নিয়ে সম্মেলনে হাজির হয়েছে।

চীন বলছে, তারা তাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করার পাশাপাশি কার্বন নি:সরণ কমাতে আন্তর্জাতিকভাবে অংশগ্রহণ করবে। তবে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উত্তরণের স্পষ্ট সময়সীমা দেয়নি।

জীবাশ্ম জ্বালানির বন্ধের দাবিতে বিভক্ত হয়ে গেছে রাষ্ট্রগুলো অন্যদিকে দূষণ না ঘটিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, নেপালের মতো দেশগুলোর দাবি ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ তহবিলের কাঠামো চূড়ান্ত করা, অ্যাডাপ্টেশন ফিন্যান্স, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে সরে ২ আসতে আর্থিক সহায়তা, প্রযুক্তি ও সক্ষমতা স্থানান্তর। তবে এসব বিষয়ে এখনো আসেনি কোন আশার বাণী সব মিলে এবারের জলবায়ু সম্মেলনটা কতটুকু সফলতা বয়ে আনবে তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বিগত কপ-২৮ সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশ একটি সাধারণ বিবৃতিতে সম্মত হয় যে জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক শক্তি ব্যবস্থাকে ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করা হবে। তবে বাস্তবে অনেক দেশ এখনও স্পষ্ট সময়সীমা ঘোষণা করেনি। এখনো জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন অনুসন্ধান বা অনুসন্ধান লাইসেন্স দেয়া এবং সাবসিডি দেয়া চলমান আছে। এ নিয়ে সরগরম এবারের কপ-৩০। প্রতিটা দেশ নিজের স্বার্থ হাসিল ও ক্ষতিপূরণ আদায়ে জোর দিচ্ছে।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ ব্রাজিল আমাজন বন রক্ষায় উদ্যোগী হয়েছে। তারা দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোর জন্য বেশি অর্থায়ন দাবি করছে। দেশটি জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের .রোডম্যাপের কথা বললেও এটা বন্ধের ব্যাপারে স্পস্ট বক্তব্য দেয়নি। তবে দেশটির সাম্প্রতিক নতুন তেল গ্যাস অনুসন্ধান লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত সম্মেলনে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো বৈশ্বিক উষ্ণতার জন্য ১.৫ ডিগ্রি সে. সীমাকে ‘একটি জীবন রেখা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং বিশ্ব এটিকে সম্মান করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছে। কপ-৩০ এ মূলত জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় বাস্তবায়নভিত্তিক কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

আশা করা হচ্ছে, জলবায়ু অর্থায়নে ১০০ বিলিয়ন ডলার প্রতিশ্রুতিটির অগ্রগতি, লস এন্ড ড্যামেজের তহবিল কাঠামো চূড়ান্ত করা, নবায়নযোগ্য জ্বালানির রোডম্যাপ, কয়লা ও জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসা, অভিযোজন সহায়তা বৃদ্ধি এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তি স্থানান্তর ও সক্ষমতা উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়গুলোর সাথে বন সংরক্ষণ, সমুদ্র ও জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু ন্যায় বিচার, কার্বন বাজার সংক্রান্ত আলোচনাসমূহও পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।

অধ্যাপক ডা. মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ: সাবেক অধ্যক্ষ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১

বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

২

পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিন

৩

একজন চিকিৎসকের জন্যও ডেঙ্গুর বাস্তবতা

৪

এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি

৫

প্রস্তুতি নেই ভূমিকম্প সামলাতে

সম্পর্কিত

বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

বাড়ছে অসংক্রামক ব্যাধিতে মৃত্যু: প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন

১১ ঘণ্টা আগে
পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিন

পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিন

১ দিন আগে
একজন চিকিৎসকের জন্যও ডেঙ্গুর বাস্তবতা

একজন চিকিৎসকের জন্যও ডেঙ্গুর বাস্তবতা

২ দিন আগে
এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি

এআই প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি

২ দিন আগে