আমার শহর ডেস্ক

বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলে জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে এনসিপি বলে জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।
আজ শনিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন এনসিপির সদস্যসচিব। জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হতে যাচ্ছে, তা জানতে গিয়েছিল এনসিপি। কমিশন তাদের জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একটি সাংবিধানিক আদেশের খসড়া প্রণয়ন চলছে। এনসিপি নেতারা জানান, কমিশন তাদেরকে এই খসড়া দেখায়নি।
আখতার হোসেন বলেছেন, শুধু স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব না। বাস্তবায়নের জায়গাটা সুনিশ্চিত হলে এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষরে আগ্রহী। কমিশন জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, একে অগ্রগতি হিসেবে দেখি। আদেশে কী আছে- তা উপস্থাপনে অপারগতা প্রকাশ করেছে কমিশন, যা আমাদেরকে আশাবাদী হতে দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন করেছে। নতুন নিয়মে পলাতক আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জোটের প্রার্থীদেরও দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি এবং দলটির সমমনারা এই নিয়মে প্রশ্ন তুলে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। এই দলগুলো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়।
জামায়াতে ইসলামীর মত এনসিপিও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতাকে সমর্থন করছে। বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সংশোধনী ইতিবাচক হিসেবে দেখি। খেয়াল করেছি, আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে। আরপিওর সংশোধনী বাতিলে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদনের কথা বলছে। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।
তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী আটকে দেওয়ার যে মানসিকতা, তাতে মনে হয়, সরকারের কোনো বিশেষ উপদেষ্টার কোনো কোনো দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে। যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে আবারও প্রতীয়মান হবে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, কোনোভাবেই জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে যাতে জুলাই সনদ কাগুজে দলিল হিসেবে জাতির কাছে বাস্তবায়ন পরিপন্থিভাবে উপস্থাপিত না হয়। এ ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে সর্বাধিক খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারির বিরোধী। দলটি বলছে, সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণভোটই যথেষ্ট। আগামী নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট। এতে দ্বিমত জানিয়ে আখতার বলেছেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—যে আদেশ জারি করা হবে, তাতে কী তা পরিষ্কার করা। নয়তো শুধুমাত্র গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়নকে সুরক্ষা দিতে পারবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৈঠকে ছিলেন। এনসিপির পক্ষে ছিলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা পেলে জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে এনসিপি বলে জানিয়েছেন দলটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধিত প্রস্তাব থেকে সরে এলে, সরকার লন্ডনের বৈঠকের ধারাবাহিকতায় বিএনপির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হবে।
আজ শনিবার ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেছেন এনসিপির সদস্যসচিব। জাতীয় সংসদের এলডি হলে সকাল ১০টা থেকে তিন ঘণ্টা এই বৈঠক চলে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি কী হতে যাচ্ছে, তা জানতে গিয়েছিল এনসিপি। কমিশন তাদের জানায়, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে একটি সাংবিধানিক আদেশের খসড়া প্রণয়ন চলছে। এনসিপি নেতারা জানান, কমিশন তাদেরকে এই খসড়া দেখায়নি।
আখতার হোসেন বলেছেন, শুধু স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতায় জুলাই সনদ বাস্তবায়ন সম্ভব না। বাস্তবায়নের জায়গাটা সুনিশ্চিত হলে এনসিপির জুলাই সনদে স্বাক্ষরে আগ্রহী। কমিশন জানিয়েছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ প্রস্তুত করছেন, একে অগ্রগতি হিসেবে দেখি। আদেশে কী আছে- তা উপস্থাপনে অপারগতা প্রকাশ করেছে কমিশন, যা আমাদেরকে আশাবাদী হতে দেয়নি।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) সংশোধন অনুমোদন করেছে। নতুন নিয়মে পলাতক আসামিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। জোটের প্রার্থীদেরও দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। বিএনপি এবং দলটির সমমনারা এই নিয়মে প্রশ্ন তুলে পরিবর্তনের দাবি তুলেছে। এই দলগুলো ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়।
জামায়াতে ইসলামীর মত এনসিপিও দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতাকে সমর্থন করছে। বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সংশোধনী ইতিবাচক হিসেবে দেখি। খেয়াল করেছি, আরপিওতে সংশোধনী আনার পরে বিএনপি তাদের আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে। আরপিওর সংশোধনী বাতিলে আইন মন্ত্রণালয়ে আবেদনের কথা বলছে। কিন্তু আইন উপদেষ্টা এই প্রক্রিয়ার অংশ নন।
তিনি বলেন, ‘আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করে আরপিও সংশোধনী আটকে দেওয়ার যে মানসিকতা, তাতে মনে হয়, সরকারের কোনো বিশেষ উপদেষ্টার কোনো কোনো দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে। যদি কোনো দলের কারণে সরকার এই সংশোধনী থেকে সরে আসে, তাহলে আবারও প্রতীয়মান হবে, সরকার লন্ডনে যে বৈঠক করেছিল তার ধারাবাহিকতায়, সেভাবেই তারা ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এনসিপির এই নেতা বলেন, কোনোভাবেই জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে যাতে জুলাই সনদ কাগুজে দলিল হিসেবে জাতির কাছে বাস্তবায়ন পরিপন্থিভাবে উপস্থাপিত না হয়। এ ব্যাপারে ঐকমত্য কমিশনকে সর্বাধিক খেয়াল রাখার আহ্বান জানিয়েছি।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারির বিরোধী। দলটি বলছে, সংস্কারের জন্য প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গণভোটই যথেষ্ট। আগামী নির্বাচনের দিনে হবে গণভোট। এতে দ্বিমত জানিয়ে আখতার বলেছেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে—যে আদেশ জারি করা হবে, তাতে কী তা পরিষ্কার করা। নয়তো শুধুমাত্র গণভোট সংস্কারের বাস্তবায়নকে সুরক্ষা দিতে পারবে না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ, কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বৈঠকে ছিলেন। এনসিপির পক্ষে ছিলেন দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, জাবেদ রাসিন, খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।


ছোটখাট সমস্যা দূরে রেখে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমুন্নত রাখতে সব রাজনৈতিক দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
৪ দিন আগে