আমার শহর ডেস্ক

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এক নতুন মেরুকরণ চলছে, ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে দলীয় কাঠামোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রদবদল আনলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অন্যতম উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
তাকে বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো হলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে এই নিয়োগটি বিএনপির কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ,
যার মাধ্যমে দলটি পরিবর্তিত বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বাস্তবতায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে।হুমায়ুন কবিরের রাজনৈতিক প্রোফাইল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি বিএনপির মূলধারার বা তৃণমূলের রাজনীতিতে সরাসরি পরিচিত মুখ না হলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অত্যন্ত আস্থাভাজন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বা লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং সেখানে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপনের সময় থেকেই হুমায়ুন কবির তার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন এবং দলের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক লবিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তাকে সরাসরি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম শীর্ষ পদ যুগ্ম মহাসচিব, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে, নিয়োগ দেওয়াকে তারেক রহমানের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রতিফলন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এটি প্রমাণ করে যে, বিএনপি তার আন্তর্জাতিক উইং এবং প্রবাসী নেতাদের দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী।এই পদায়নটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন জুলাই বিপ্লবের পর দেশের শাসনব্যবস্থার কাঠামো পরিবর্তিত হয়েছে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। এই নতুন বাস্তবতায় প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দলের জন্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে বিএনপি, যারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে এবং একটি দমন-পীড়নমূলক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছে, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন ও স্বীকৃতি অত্যন্ত জরুরি। জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী অন্যতম দল হিসেবে বিএনপিকে একদিকে যেমন দেশের ভেতরের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য বজায় রাখতে হচ্ছে, অন্যদিকে প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তি, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের কাছে নিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও রাষ্ট্রপরিচালনার রূপরেখা তুলে ধরতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক এই গুরুত্বপূর্ণ পদে হুমায়ুন কবিরের মতো একজন লন্ডন-কেন্দ্রিক এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি সম্ভবত তাদের কূটনৈতিক বার্তাগুলো আরও সরাসরি এবং সমন্বিতভাবে প্রেরণ করতে চায়।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে বিএনপি তাদের আন্তর্জাতিক লবিং প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করছে। এতদিন দলের বিভিন্ন সিনিয়র নেতা, যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য বা ভাইস চেয়ারম্যান পর্যায়ের নেতারা বিক্ষিপ্তভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
তাকে এখন লন্ডনের রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে এসে ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি বৈশ্বিক কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে হবে, যা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠতে

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এক নতুন মেরুকরণ চলছে, ঠিক সেই সন্ধিক্ষণে দলীয় কাঠামোতে একটি গুরুত্বপূর্ণ রদবদল আনলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অন্যতম উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।
তাকে বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো হলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের আগে এই নিয়োগটি বিএনপির কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করার একটি কৌশলগত পদক্ষেপ,
যার মাধ্যমে দলটি পরিবর্তিত বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বাস্তবতায় নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে চাইছে।হুমায়ুন কবিরের রাজনৈতিক প্রোফাইল পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, তিনি বিএনপির মূলধারার বা তৃণমূলের রাজনীতিতে সরাসরি পরিচিত মুখ না হলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অত্যন্ত আস্থাভাজন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বা লন্ডনে অবস্থান করছেন এবং সেখানে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে নির্বাসিত জীবনযাপনের সময় থেকেই হুমায়ুন কবির তার উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন এবং দলের যুক্তরাজ্য শাখার কার্যক্রম ও আন্তর্জাতিক লবিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তাকে সরাসরি দলের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম শীর্ষ পদ যুগ্ম মহাসচিব, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে, নিয়োগ দেওয়াকে তারেক রহমানের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের সরাসরি প্রতিফলন হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এটি প্রমাণ করে যে, বিএনপি তার আন্তর্জাতিক উইং এবং প্রবাসী নেতাদের দলের নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে আগ্রহী।এই পদায়নটি এমন এক সময়ে ঘটলো যখন জুলাই বিপ্লবের পর দেশের শাসনব্যবস্থার কাঠামো পরিবর্তিত হয়েছে এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। এই নতুন বাস্তবতায় প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক দলের জন্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে বিএনপি, যারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে এবং একটি দমন-পীড়নমূলক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছে বলে দাবি করে আসছে, তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন ও স্বীকৃতি অত্যন্ত জরুরি। জুলাই সনদে স্বাক্ষরকারী অন্যতম দল হিসেবে বিএনপিকে একদিকে যেমন দেশের ভেতরের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য বজায় রাখতে হচ্ছে, অন্যদিকে প্রধান আন্তর্জাতিক শক্তি, যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং নিকটতম প্রতিবেশী ভারতের কাছে নিজেদের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা ও রাষ্ট্রপরিচালনার রূপরেখা তুলে ধরতে হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক এই গুরুত্বপূর্ণ পদে হুমায়ুন কবিরের মতো একজন লন্ডন-কেন্দ্রিক এবং তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়ার মাধ্যমে বিএনপি সম্ভবত তাদের কূটনৈতিক বার্তাগুলো আরও সরাসরি এবং সমন্বিতভাবে প্রেরণ করতে চায়।রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই নিয়োগের মাধ্যমে বিএনপি তাদের আন্তর্জাতিক লবিং প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী ও কেন্দ্রীভূত করার চেষ্টা করছে। এতদিন দলের বিভিন্ন সিনিয়র নেতা, যেমন স্থায়ী কমিটির সদস্য বা ভাইস চেয়ারম্যান পর্যায়ের নেতারা বিক্ষিপ্তভাবে কূটনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা করতেন।
তাকে এখন লন্ডনের রাজনৈতিক বলয় থেকে বেরিয়ে এসে ঢাকার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি বৈশ্বিক কূটনৈতিক নেটওয়ার্ক পরিচালনা করতে হবে, যা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়কালে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হয়ে উঠতে

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেউ প্রতিহত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, তবে ভোটের আগের পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
১২ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা জাতিকে ওয়াদা দিয়েছি একটা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আমরা উপহার দিতে চাই।
২ দিন আগে