আমার শহর ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বৈরাচার আর রাজাকার একাকার হয়ে গেছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতা হত্যার রক্তে রঞ্জিত স্বৈরাচারের হাতে হাত মিলিয়েছে জামায়াত।
তবে এই সখ্যতা নতুন নয়, ১৯৮৬ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াত হাত মিলিয়ে আরেক স্বৈরাচার এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল। যাদের হাতে জামায়াতের নেতাদের রক্ত, যারা গত ১৫ বছরে তাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে, তাদের সঙ্গেই ক্ষমতার লোভে হাত মিলিয়েছে জামায়াত।
আজ বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর জেলা পরিষদ সভাকক্ষে উত্তর জেলা মহিলা দল আয়োজিত সংগঠনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালেহ প্রিন্স এ কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছাত্রশিবির কোনোভাবেই ডাকসুতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটে জয়লাভ করতে পারে না। প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে, যাতে ছাত্রলীগের ভোটও কাস্ট হয়েছে। এই ছাত্রলীগের ভোট গেল কার পকেটে? এটা অনুসন্ধান করলেই শিবিরের বিজয় কীভাবে হলো, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দিল্লীতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। পত্রিকায় দেখলাম, দিল্লীতে বসে তার আমলে সুবিধা নেওয়া শিল্প মালিকদের কাছ থেকে শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা নিচ্ছেন। দেশের গণতন্ত্র ও আগামী নির্বাচন নস্যাৎ করতে সেই টাকা ব্যবহার হচ্ছে। সেই টাকার উত্তাপ বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে। গতকাল ডাকসু নির্বাচনেও সেই টাকার প্রভাব ছিল কি না, সেটা প্রশ্ন থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। এটি মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির সূতিকাগার। মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চিন্তার বিষয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির বিরোধীরা বিজয়ী হলো? এই নির্বাচনে স্বৈরাচার আর রাজাকার একাকার হয়ে গেছে। এটা বিজয় নয়, ছাত্র-জনতার বিজয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডাকসুর নির্বাচন গভীর ষড়যন্ত্রের ফল, যা আমরা অনুমান করেছিলাম কিন্তু ব্যর্থ করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা, অস্বীকার করব না।
সভায় বিএনপির নেত্রীকে আপোষহীন উল্লেখ করে সালেহ প্রিন্স বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসংখ্য নির্যাতন সহ্য করেও ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেননি। শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, শেখ হাসিনা শুধু বাড়ি থেকেই নয়, দেশ থেকেও বিতাড়িত হয়েছেন। আজ তিনি দিল্লীতে পলাতক জীবনযাপন করছেন।
আলোচনা সভায় উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি তানজিল চৌধুরী লিলির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নিলুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন।
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফেজ আজিজুল হক, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম কামাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেল, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক হযরত আহমেদ শাকিল প্রমুখ।
এ সময় একজন শিশু সমর্থক নিজেকে বেগম খালেদা জিয়ার সাজে সজ্জিত করে র্যালিতে অংশ নিয়ে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানায়। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে স্বৈরাচার আর রাজাকার একাকার হয়ে গেছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতা হত্যার রক্তে রঞ্জিত স্বৈরাচারের হাতে হাত মিলিয়েছে জামায়াত।
তবে এই সখ্যতা নতুন নয়, ১৯৮৬ সালেও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াত হাত মিলিয়ে আরেক স্বৈরাচার এরশাদকে বৈধতা দিয়েছিল। যাদের হাতে জামায়াতের নেতাদের রক্ত, যারা গত ১৫ বছরে তাদের নেতাদের ফাঁসি দিয়েছে, তাদের সঙ্গেই ক্ষমতার লোভে হাত মিলিয়েছে জামায়াত।
আজ বুধবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর জেলা পরিষদ সভাকক্ষে উত্তর জেলা মহিলা দল আয়োজিত সংগঠনের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালেহ প্রিন্স এ কথা বলেন।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ছাত্রশিবির কোনোভাবেই ডাকসুতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটে জয়লাভ করতে পারে না। প্রায় ৮০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে, যাতে ছাত্রলীগের ভোটও কাস্ট হয়েছে। এই ছাত্রলীগের ভোট গেল কার পকেটে? এটা অনুসন্ধান করলেই শিবিরের বিজয় কীভাবে হলো, তা সহজেই অনুমান করা যায়।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, দিল্লীতে বসে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। পত্রিকায় দেখলাম, দিল্লীতে বসে তার আমলে সুবিধা নেওয়া শিল্প মালিকদের কাছ থেকে শেখ হাসিনা হাজার হাজার কোটি টাকা নিচ্ছেন। দেশের গণতন্ত্র ও আগামী নির্বাচন নস্যাৎ করতে সেই টাকা ব্যবহার হচ্ছে। সেই টাকার উত্তাপ বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে। গতকাল ডাকসু নির্বাচনেও সেই টাকার প্রভাব ছিল কি না, সেটা প্রশ্ন থেকে যায়।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নয়। এটি মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির সূতিকাগার। মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান এবং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। চিন্তার বিষয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে মুক্তচিন্তা ও মুক্তবুদ্ধির বিরোধীরা বিজয়ী হলো? এই নির্বাচনে স্বৈরাচার আর রাজাকার একাকার হয়ে গেছে। এটা বিজয় নয়, ছাত্র-জনতার বিজয় কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ডাকসুর নির্বাচন গভীর ষড়যন্ত্রের ফল, যা আমরা অনুমান করেছিলাম কিন্তু ব্যর্থ করতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা, অস্বীকার করব না।
সভায় বিএনপির নেত্রীকে আপোষহীন উল্লেখ করে সালেহ প্রিন্স বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অসংখ্য নির্যাতন সহ্য করেও ফ্যাসিবাদের কাছে মাথা নত করেননি। শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস, শেখ হাসিনা শুধু বাড়ি থেকেই নয়, দেশ থেকেও বিতাড়িত হয়েছেন। আজ তিনি দিল্লীতে পলাতক জীবনযাপন করছেন।
আলোচনা সভায় উত্তর জেলা মহিলা দলের সভাপতি তানজিল চৌধুরী লিলির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হোসনে আরা নিলুর সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন।
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন গৌরীপুর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাফেজ আজিজুল হক, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোজাম্মেল হক টুটু, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম কামাল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরুজ্জামান সোহেল, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক হযরত আহমেদ শাকিল প্রমুখ।
এ সময় একজন শিশু সমর্থক নিজেকে বেগম খালেদা জিয়ার সাজে সজ্জিত করে র্যালিতে অংশ নিয়ে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানায়। পরে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেউ প্রতিহত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ার দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়, তবে ভোটের আগের পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আমরা জাতিকে ওয়াদা দিয়েছি একটা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আমরা উপহার দিতে চাই।
২ দিন আগে