নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আর অংশ নেবেন না টানা দুইবার করে নির্বাচিত ও পরাজিত মো. মনিরুল হক সাক্কু। বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির নতুন মেরুকরণের কারণে টানা দুইবার করে পরাজিত সাবেক ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচন করবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। সাক্কু ও কায়সার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত। সাক্কু ও কায়সার যুগের অবসানের কারণে বিএনপিতে এখন মেয়র পদে দুইজন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর নাম আলোচনায় আছে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন। খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে সাক্কুর দেওয়া বক্তৃতার পর নতুন করে মেয়র প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলে থাকাবস্থায় আবু ও টিপু একসঙ্গে ঠিকাদারি ও রাজনীতি করেছেন। ওই সময়ে তাঁরা মনিরুল হক সাক্কুর অনুসারি ছিলেন। ২০০৫ সালের জুন মাসে সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) আকবর হোসেনের মৃত্যুর পর কুমিল্লা সদর আসনে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। এরপর ইয়াছিনের সঙ্গে উৎবাতুল বারী আবু রাজনীতিতে যুক্ত হন। অন্যদিকে টিপু ২০২২ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনের আগে সাক্কুকে ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ইয়াছিনের সঙ্গে যোগ দেন টিপু। ইয়াছিন ও টিপুর মধ্যে এখন হরিহর আত্নার সম্পর্ক। দুইজনই দুজনকে প্রশংসা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । অন্যদিকে আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে আবুর সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় না। সময়ের পরিক্রমায় তাঁরা এখন নানা রাজনৈতিক সমীকরণে আছেন। এ অবস্থায় চলতি বছর আবু ‘মানবিক কুমিল্লা’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নাম দিয়ে বিনামূল্যে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ বিতরণ করছেন। বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে পুরস্কার দিচ্ছেন। সামাজিক কাজ বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে পাঁচ বছর আগে ইউসুফ মোল্লা টিপু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিবেক’ প্রতিষ্ঠা করে করোনাকালীন লাশ দাফন, অক্সিজেন সরবরাহ, খাবার ও ওষুধ বিতরণ করেন। সম্প্রতি তিনি মশক নিধন কার্যক্রম ও খাল-নালার ময়লা পরিষ্কার করছেন। টিপুর এইসব কর্মযজ্ঞে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ইয়াছিন। আবুর কর্মসূচিতে বিভিন্ন সময়ে অতিথি হিসেবে থাকেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত জেলা ও মহানগর পর্যায়ের কর্মসূচিতে ইয়াছিন, ওয়াসিম, আবু ও টিপু সবাই একসঙ্গে থাকেন।
বিএনপির জেলা ও মহানগরের অন্তত ছয়জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে এখন নানা মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। এতে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী কে? তা এই মুহুর্তে বলা মুশকিল। আবু ও টিপুর বাইরে দলীয় হেভিওয়েট প্রার্থীও থাকতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। সংসদ নির্বাচনে কে এমপি হবেন, তার ওপর নির্ভর করবে মেয়র প্রার্থী কে? কুমিল্লায় সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বা দল সমর্থিত প্রার্থীর বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নেবেন। আবু ও টিপুর কর্মসূচি প্রমাণ করে তাঁরা নির্বাচনকে ঘিরে নানামুখী সামাজিক কাজ করছেন।
এ প্রসঙ্গে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,‘ সিটি নির্বাচন এলে, নির্বাচনের তপশিল দিলে সবাইকে নিয়ে বসে মতামত নেব। এরপর সিদ্ধান্ত নেব। দলীয় নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে নির্বাচন করার জন্য বলছেন। এটা আসলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহোদয়ের সিদ্ধান্ত।’
জানতে চাইলে উৎবাতুল বারী আবু বলেন,‘ আগামী সিটি নির্বাচনে দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহোদয়ের কাছে চাইব। দলীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ’
বিএনপির অন্তত এক ডজন নেতার ভাষ্য, সাক্কু নির্বাচন করবেন না, নিজেই জানিয়েছেন। তিনি এমপি নির্বাচন করবেন। কায়সার অনেক ‘যদি, কিন্তুর ’মধ্যে আছেন। এ অবস্থায় আবু ও টিপুই মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে বিএনপির হাইকমান্ড চাইলে হেভিওয়েট প্রার্থীও দলের সমর্থন বা মনোনয়ন যেটাই হোক পেতে পারেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আর অংশ নেবেন না টানা দুইবার করে নির্বাচিত ও পরাজিত মো. মনিরুল হক সাক্কু। বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির নতুন মেরুকরণের কারণে টানা দুইবার করে পরাজিত সাবেক ছাত্রনেতা নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচন করবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। সাক্কু ও কায়সার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করায় দল থেকে আজীবনের জন্য বহিস্কৃত। সাক্কু ও কায়সার যুগের অবসানের কারণে বিএনপিতে এখন মেয়র পদে দুইজন সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীর নাম আলোচনায় আছে বলে দলীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন। খালেদা জিয়ার জন্মদিন উপলক্ষে সাক্কুর দেওয়া বক্তৃতার পর নতুন করে মেয়র প্রার্থী নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সভাপতি উৎবাতুল বারী আবু ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলে থাকাবস্থায় আবু ও টিপু একসঙ্গে ঠিকাদারি ও রাজনীতি করেছেন। ওই সময়ে তাঁরা মনিরুল হক সাক্কুর অনুসারি ছিলেন। ২০০৫ সালের জুন মাসে সাবেক মন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) আকবর হোসেনের মৃত্যুর পর কুমিল্লা সদর আসনে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করেন সাবেক সংসদ সদস্য আমিন উর রশিদ ইয়াছিন। এরপর ইয়াছিনের সঙ্গে উৎবাতুল বারী আবু রাজনীতিতে যুক্ত হন। অন্যদিকে টিপু ২০২২ সালের ১৫ জুনের সিটি নির্বাচনের আগে সাক্কুকে ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ইয়াছিনের সঙ্গে যোগ দেন টিপু। ইয়াছিন ও টিপুর মধ্যে এখন হরিহর আত্নার সম্পর্ক। দুইজনই দুজনকে প্রশংসা করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন । অন্যদিকে আমিন উর রশিদ ইয়াছিনকে আবুর সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী কোন কর্মসূচিতে দেখা যায় না। সময়ের পরিক্রমায় তাঁরা এখন নানা রাজনৈতিক সমীকরণে আছেন। এ অবস্থায় চলতি বছর আবু ‘মানবিক কুমিল্লা’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নাম দিয়ে বিনামূল্যে নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যসেবা ও ওষুধ বিতরণ করছেন। বিভিন্ন খেলার আয়োজন করে পুরস্কার দিচ্ছেন। সামাজিক কাজ বাড়িয়েছেন। অন্যদিকে পাঁচ বছর আগে ইউসুফ মোল্লা টিপু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিবেক’ প্রতিষ্ঠা করে করোনাকালীন লাশ দাফন, অক্সিজেন সরবরাহ, খাবার ও ওষুধ বিতরণ করেন। সম্প্রতি তিনি মশক নিধন কার্যক্রম ও খাল-নালার ময়লা পরিষ্কার করছেন। টিপুর এইসব কর্মযজ্ঞে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন ইয়াছিন। আবুর কর্মসূচিতে বিভিন্ন সময়ে অতিথি হিসেবে থাকেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ভিপি আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম। তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত জেলা ও মহানগর পর্যায়ের কর্মসূচিতে ইয়াছিন, ওয়াসিম, আবু ও টিপু সবাই একসঙ্গে থাকেন।
বিএনপির জেলা ও মহানগরের অন্তত ছয়জন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপিতে এখন নানা মেরুকরণের রাজনীতি চলছে। এতে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী কে? তা এই মুহুর্তে বলা মুশকিল। আবু ও টিপুর বাইরে দলীয় হেভিওয়েট প্রার্থীও থাকতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর। সংসদ নির্বাচনে কে এমপি হবেন, তার ওপর নির্ভর করবে মেয়র প্রার্থী কে? কুমিল্লায় সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বা দল সমর্থিত প্রার্থীর বিষয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিদ্ধান্ত নেবেন। আবু ও টিপুর কর্মসূচি প্রমাণ করে তাঁরা নির্বাচনকে ঘিরে নানামুখী সামাজিক কাজ করছেন।
এ প্রসঙ্গে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন,‘ সিটি নির্বাচন এলে, নির্বাচনের তপশিল দিলে সবাইকে নিয়ে বসে মতামত নেব। এরপর সিদ্ধান্ত নেব। দলীয় নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে নির্বাচন করার জন্য বলছেন। এটা আসলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহোদয়ের সিদ্ধান্ত।’
জানতে চাইলে উৎবাতুল বারী আবু বলেন,‘ আগামী সিটি নির্বাচনে দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়ন চাইব। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মহোদয়ের কাছে চাইব। দলীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ’
বিএনপির অন্তত এক ডজন নেতার ভাষ্য, সাক্কু নির্বাচন করবেন না, নিজেই জানিয়েছেন। তিনি এমপি নির্বাচন করবেন। কায়সার অনেক ‘যদি, কিন্তুর ’মধ্যে আছেন। এ অবস্থায় আবু ও টিপুই মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে বিএনপির হাইকমান্ড চাইলে হেভিওয়েট প্রার্থীও দলের সমর্থন বা মনোনয়ন যেটাই হোক পেতে পারেন।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে সংলাপ শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুশীল সমাজ ও শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে অংশীজনের সঙ্গে এ সংলাপ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবলায়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ।
২০ ঘণ্টা আগেকোন নির্বাচনী এলাকায় কোন প্রার্থীকে গ্রিন সিগন্যল বা সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। প্রত্যাশীদের মধ্যে দলীয় নানা কার্যক্রমে যার পারফরমেন্স ভালো তাকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
১ দিন আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১ দিন আগে