দেবীদ্বার
দেবীদ্বার প্রতিনিধি
দেবীদ্বারের বীর মুক্তিযোদ্ধ আলফু ফকিকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বুধবার (০২ জুলাই) সকাল ১১টায় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
দেবীদ্বার উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন।
এ সময় জাতীয় পতাকা দিযয়ে আচ্ছাদিত মরহুমের মরদেহে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং অন্যান্যরা শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
কুমিল্লা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়। এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে একই স্থানে জানাজা এবং পরে নিজের তৈরী দরগাহে তাকে দাফন করা হয়।
জানাযার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকিরের জীবন কর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ, বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাকুর রহমান ফুল মিয়া মাস্টার, দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, আমাদের দেবীদ্বার পত্রিকার সম্পাদক এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম, সমাজ সেবক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ছোবহান চৌধূরী প্রমূখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকির (৭৮), উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বাজেবাকর গ্রামের মৃতঃ চান মিয়ার পুত্র। তিনি বিশিষ্ট বুজুর্গ কামেল এলাহী শাহ’র মুরিদ ছিলেন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি এলাহী শাহ’র মুরিদ হওয়ায় ১২ বছর থেকেই পড়নে লাল সালু কাপড় এবং খালি গায়ে, নেড়া মাথায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাটিয়ে গেছেন। ঝর-বৃষ্টি-তুফান, খড়া-শীতে কখনো গায়ে কাপড় জড়াননি। এ সাধক প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা বা জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন না। তবে ধর্মতত্বে তিনি ছিলেন, অঘাত জ্ঞানের অধিকারী।
আলফু ফকির ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ ৩১ মার্চ, ঐতিহাসিক ‘ভিংলাবাড়ি-জাফরগঞ্জ শ্রীপুকুরপাড় জামে মসজিদ যুদ্ধে অংশ নেন। ওই যুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ৫ দিনের মাথায় আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ১৫ সদস্যের একটি পাকিস্তানি সেনা দলকে পরাস্ত করে দেবীদ্বারের নিরস্ত্র বাঙ্গালীর গৌরব উজ্জল বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ওই যুদ্ধে ১৫ পাক সেনাকে হত্যা করতে ৩৩ বাঙ্গালী শহীদ এবং অর্ধশতাধিক বাঙ্গালী আহত হয়েছিলেন। আহতদের একজন আলফু ফকির জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে ডানহাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই যুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙ্গালীরা ঢাকা রাজারবাগ থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে আসা ইপিআর সদস্যদের সহযোগীতায়, দেবীদ্বার থানার অস্ত্রাগার থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র দিয়ে এবং মরিচের গুড়া নামক বঙ্গজ হাতিয়ার দিয়ে যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরব অর্জণ করেছিলেন।
দেবীদ্বারের বীর মুক্তিযোদ্ধ আলফু ফকিকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
বুধবার (০২ জুলাই) সকাল ১১টায় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
দেবীদ্বার উপজেলা যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রের পক্ষে সালাম গ্রহণ করেন।
এ সময় জাতীয় পতাকা দিযয়ে আচ্ছাদিত মরহুমের মরদেহে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং অন্যান্যরা শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন।
কুমিল্লা পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেয়। বিউগলে করুন সুর বাজানো হয়। এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে একই স্থানে জানাজা এবং পরে নিজের তৈরী দরগাহে তাকে দাফন করা হয়।
জানাযার পূর্বে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকিরের জীবন কর্ম নিয়ে আলোকপাত করেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আব্দুস সামাদ, বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাকুর রহমান ফুল মিয়া মাস্টার, দেবীদ্বার উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এবিএম আতিকুর রহমান বাশার, আমাদের দেবীদ্বার পত্রিকার সম্পাদক এটিএম সাইফুল ইসলাম মাসুম, সমাজ সেবক মো. আনোয়ার হোসেন, মো. ছোবহান চৌধূরী প্রমূখ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আলফু ফকির (৭৮), উপজেলার জাফরগঞ্জ ইউনিয়নের বাজেবাকর গ্রামের মৃতঃ চান মিয়ার পুত্র। তিনি বিশিষ্ট বুজুর্গ কামেল এলাহী শাহ’র মুরিদ ছিলেন এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে একজন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি এলাহী শাহ’র মুরিদ হওয়ায় ১২ বছর থেকেই পড়নে লাল সালু কাপড় এবং খালি গায়ে, নেড়া মাথায় মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাটিয়ে গেছেন। ঝর-বৃষ্টি-তুফান, খড়া-শীতে কখনো গায়ে কাপড় জড়াননি। এ সাধক প্রাতিষ্ঠানিক কোন শিক্ষা বা জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন না। তবে ধর্মতত্বে তিনি ছিলেন, অঘাত জ্ঞানের অধিকারী।
আলফু ফকির ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ৫ দিনের মাথায় অর্থাৎ ৩১ মার্চ, ঐতিহাসিক ‘ভিংলাবাড়ি-জাফরগঞ্জ শ্রীপুকুরপাড় জামে মসজিদ যুদ্ধে অংশ নেন। ওই যুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণার মাত্র ৫ দিনের মাথায় আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ১৫ সদস্যের একটি পাকিস্তানি সেনা দলকে পরাস্ত করে দেবীদ্বারের নিরস্ত্র বাঙ্গালীর গৌরব উজ্জল বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। ওই যুদ্ধে ১৫ পাক সেনাকে হত্যা করতে ৩৩ বাঙ্গালী শহীদ এবং অর্ধশতাধিক বাঙ্গালী আহত হয়েছিলেন। আহতদের একজন আলফু ফকির জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করে ডানহাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ওই যুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙ্গালীরা ঢাকা রাজারবাগ থেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে আসা ইপিআর সদস্যদের সহযোগীতায়, দেবীদ্বার থানার অস্ত্রাগার থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র দিয়ে এবং মরিচের গুড়া নামক বঙ্গজ হাতিয়ার দিয়ে যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রথম যুদ্ধে বিজয় ছিনিয়ে আনার গৌরব অর্জণ করেছিলেন।